মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

ফরিদপুরে পাওনা টাকা না দিয়ে হুমকির অভিযোগে থানায় জিডি, পর্ব-২

Home Page » প্রথমপাতা » ফরিদপুরে পাওনা টাকা না দিয়ে হুমকির অভিযোগে থানায় জিডি, পর্ব-২
মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১



শেখ ফয়েজ আহমেদ
ব্যুরো চিফ, ফরিদপুরঃ-

ফরিদপুর সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাংক এর তথা কথিত চেয়ারম্যান শেখ ফয়েজ আহমেদ এর বিরুদ্ধে হুমকি ধমকির অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল ২০২১ দুপুরে মোঃ শহিদুল করিম এই সাধারণ ডায়েরিটি করেন।
ডায়েরিতে অভিযোগকারী মোঃ শহিদুল করিম উল্লেখ করেন, আমি ফরিদপুর সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাংক এর নিকট হতে ডিপিএস, এফডিআর অন্যান্য আমানতের লাভের টাকা ও মুল টাকা ফেরৎ চাইলে ব্যাংকের ম্যানেজার শেখ ফয়েজ আহম্মেদ আমাকে হুমকি ধমকি এবং নিজে প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি হওয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমার প্রাপ্য টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো আমাকে বেধে রাখবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি একজন নিরীহ মানুষ। সামান্য ব্যবসা বানিজ্য করে সংসার চালাই। করোনা সংকটে বেঁচে থাকা দুস্কর হয়ে পেড়েছে। এই টাকাগুলো না পেলে আমার পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে। আমি গত ১৩ এপ্রিল ২০২১ জেলা সমবায় অফিসার বরাবর এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
উল্লেখ্য, ইতোপুর্বে এই শহিদুল করিম তার এফডিআর, ডিপিএসসহ অন্যান্য আমানত ও লাভের টাকা চাইতে গেলে ব্যাংকের অবৈধ চেয়ারম্যান শেখ ফয়েজ তাকে টাকা না দিয়ে বরং হুমকি ধমকি প্রদান করেন এবং টাকা দিবেনা বলে শাসানি দেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি দফতরে অভিযোগ দেন শহিদুল করিম।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খোজ নিয়ে জানা যায়, ফরিদপুর সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাংক আপাদমন্তক অনিয়ম আর দুর্নীতিতে মোড়া। ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবার মাঝে মাঝে প্রধান নির্বাহী দাবী করা শেখ ফয়েজ ব্যাংকের কোন পদেই নেই। বিগত নয় বছর তিনি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি থাকার সুবাদে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন কিন্তু গত ২৭/০৬/২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত তিন বছর মেয়াদী নির্বাচনে সাত সদস্য বিশিষ্ট্য যে ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্বাচিত হয়েছেন তাতে তার নাম না থাকলেও তিনি কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে এখনো বহাল তবিয়তে এই চেয়ারম্যানের পদ জবর দখল করে বসে আছেন। বিগত নয় বছরের হিসাব নতুন এই কমিটিকে বুঝিয়ে না দিয়ে নিজেই সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
আরও জানা যায়, যে সকল সমিতি সক্রিয় থাকবে শুধু তারাই এই ব্যাংকের সদস্য হতে পারবে। ব্যাংকের ৩৮ টি সদস্য সমিতির অনেকগুলোরই কোন অস্তিত্ব নেই আবার কিছু আছে যাদের কোন কার্যক্রম নেই। অথচ এসব অনেক নামধারী সমিতির সদস্যদের লোন দিয়েছেন কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে। প্রশ্ন উঠেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সমবায় শেখ ফয়েজের মত এ রকম দুর্নীতিবাজ, সুদখোর, অর্থলোভী কর্মকর্তাদের হাতে পড়ে ক্রমান্বয়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে কি?
আরও কিছু তথ্য নিয়ে পরবর্তী পর্বে সংবাদ প্রকাশ করা হবে, বঙ্গ-নিউজের সাথে থাকুন।

বাংলাদেশ সময়: ২১:০৮:২৩   ৮৪৯ বার পঠিত   #  #  #