বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১

ভাঙ্গায় অতর্কিত হামলায় শিশুসহ আহত-১৫ বসতঘর ভাংচুর-লুটপাট

Home Page » প্রথমপাতা » ভাঙ্গায় অতর্কিত হামলায় শিশুসহ আহত-১৫ বসতঘর ভাংচুর-লুটপাট
বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১



ভাঙ্গায় হামলার শিকার ঘরটি দেখিয়ে দিচ্ছেন স্থানীয়রা
ব্যুরো চিফ, ফরিদপুরঃ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গ্রাম্য দলাদলির জেরে প্রতিপক্ষের উপর অতর্কিত হামলায় শিশুসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে পালিয়ে যায়। বুধবার দুপুরে উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের চতলারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় আহতদেরকে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে শিশুসহ ৩ জনকে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার জাঙ্গালপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম মাষ্টারের ছেলে আজিজুল ও মিয়াপাড়া গ্রামের মনার ছেলের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে গত সোমবার দু’দল গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র, ঢাল-সড়কি নিয়ে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ওই সংঘর্ষে উভয় দলের প্রায় ১৫/২০ জন আহত হয়। ওই সংঘর্ষের ঘটনা মিমাংশার জন্য ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আল হাবিবের নেতৃত্বে ভাঙ্গাসহ আশপাশের কয়েকজন জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা একটি শালিস বৈঠকের আয়োজন করেন। বুধবার সকালে আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনার মিমাংশার উদ্দ্যেশ্যে উভয় পক্ষের লোকজন একত্র হয়। এসময় আজিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেবের সভাপতিত্বে শালিশী কার্যক্রম শুরু হলে এক পক্ষ নুরুল হক (সাবেক চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা) শালিষের চেয়ারে বসা নিয়ে অপর পক্ষ প্রধান শিক্ষক জসিম মাষ্টার তাকে বাধা প্রদান করে। এই নিয়ে উভয় পক্ষ আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় শালিস করতে আসা সকল জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা শালিস কক্ষ ত্যাগ করেন। একপর্যায়ে জসিম মাষ্টারের লোকজন শিমুল বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আলমগীর সরদারের বাড়িতে অতর্কিত হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
এ ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হকের সমর্থক আলমগীর সরদার জানান, আমরা দুই গ্রামের বিবাদমান ঝগড়াকে মিমাংসার জন্য শালিসে হাজির হই। কিন্তু হটাৎ শলিস না মেনে জসিম মাষ্টারের লোকজন আমার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে আমার পরিবারের নারী সদস্য ও শিশুসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে। হামলা কারীরা আমার নগদ অর্থ, স্বর্নলংকারসহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
অপরদিকে জসীম মাষ্টারের ছোট ভাই ইলিয়াছ জানান, শালিসে চেয়ারে বসা নিয়ে মোতালেব চেয়ারম্যান পক্ষ পাতিত্ব করেছেন। তাই আমাদের লোকজন শালিস থেকে উঠে গেছেন। বরং নুরুল হকের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
আজিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেব জানান, আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দু’দল গ্রামবাসীর ঝগড়া মিমাংসার জন্য একটি শালিস বৈঠকের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু কয়েকজন উগ্রপন্থি লোকের জন্য তা সম্ভব হয়নি।
থানার উপ-পরিদর্শক এনায়েত হোসেন জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে যাবতীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:০১:১৪   ১৫২৩ বার পঠিত   #  #  #