বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট ২০১৩
“ক্ষুদে গানরাজ ঝুমা এখন পুলিশ হেফাজতে”
Home Page » জাতীয় » “ক্ষুদে গানরাজ ঝুমা এখন পুলিশ হেফাজতে”বঙ্গ-নিউজ ডটকম:ক্ষুদে গানরাজ ঝুমা আক্তারকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে, যাকে অপহরণের অভিযোগ এনে তার মা মামলা করেছিলঝুমা গত দুদিন ধরে তেজগাঁও থানা প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে ছিল। বুধবার তাকে নরসিংদী পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।ঝুমার মা জেসমিন বেগম গত ৪ অগাস্ট মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে নরসিংদীর আদালতে মামলা করেন। ঝুমাকে নরসিংদী পুলিশের হেফাজতে দেয়ার সময় তিনিও উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) শামীমা বেগম বলেন, গত সোমবার শিল্পাঞ্চল থানায় এসে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে ঝুমা একটি সাধারণ ডায়েরি করে। এরপর তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে এনে রাখা হয়।
মায়ের সঙ্গে ‘ভুল বোঝাবুঝির’ কারণে বাড়ি ছেড়েছিল বলে ঝুমা পুলিশকে জানিয়েছে।
ঝুমার মায়ের অভিযোগ, তার অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে গত ২৩ জুলাই অপহরণ করে ঢাকার আশুলিয়ার বাসিন্দা মো. ইসরাফিল।
পরিবারের পূর্বপরিচিত ইসরাফিল ঝুমাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার কথা জানায় বলে জেসমিন মামলায় অভিযোগ করেন।
ঝুমার মায়ের দায়ের করা ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নরসিংদী সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বদরুল আলম বলেন, “ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে আমরা ঝুমাকে বুঝে নিয়েছি। আগামীকাল তাকে আদালতে হাজির করা হবে।”
২০০৮ সালে ‘মেরিডিয়ান চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয় ঝুমা। নরসিংদীর এই মেয়ে এখন ঢাকা ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজে নবম শ্রেণিতে পড়ে।
মায়ের সঙ্গে সে থাকত ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়।
জেসমিন বলেন, সাভারের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে আশুলিয়ার বাদাইল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইসরাফিলের সঙ্গে ঝুমার পরিচয় ঘটে।
এরপর বসুন্ধরার বাসায়ও আসা-যাওয়া শুরু হয় ইসরাফিলের। তবে ইসরাফিলের সঙ্গে ঝুমার বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাদ সাধেন জেসমিন।
এনিয়ে ইসরাফিলের সঙ্গে জেসমিনের মনোমালিন্য হয়। এক পর্যায়ে মেয়েকে নিয়ে নরসিংদী চলে যান তিনি।
গত ২৩ জুলাই ঝুমাকে নরসিংদী জেলখানার মোড় থেকে ইসরাফিল ও তার গাড়িচালক ফয়সাল তুলে নিয়ে যায় বলে মামলায় অভিযোগ করেন জেসমিন।
তিনি বলেন, “ইসরাফিলের মোবাইলে যোগাযোগ করলে সে জানায়, ঝুমা তার বিবাহিত স্ত্রী। এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে জীবনে হত্যা করে ফেলবে বলেও আমাকে হুমকি দেয়।”
নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে করা ওই মামলায় জেসমিন বলেছেন, তার মেয়ের বয়স ১৪ বছর। ফলে বিয়ের করার বয়স তার নয়।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে দণ্ডনীয়।
বাংলাদেশ সময়: ০:৩৭:৩১ ৪২৭ বার পঠিত