তুমি আমার চেতনার শিখা,সকল প্রেরণা
তুমি আমার অস্থি-মজ্জা,প্রাণের সঞ্চালনা
তুমি আমার রবীন্দ্র-নজরুল-শামছুর রাহমান
বাংলা শব্দের গতিময় ছন্দ,বন্যার মত বহমান।

তুমি জয়নুলের তুলির আঁচড়,মোটা ক্যানভাসের পটে
দুর্ভিক্ষে কিংবা সবুজ বিপ্লবে যখন যেমন ঘটে।
মধুপানরত ধান-শালিক তুমি লাল শিমুলের ফুলে
মৌমাছি গুঞ্জন সরিষা ফুলে,নদীতে নৌকা, পাল তুলে তুলে।

দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ তুমি,বাছুরের ক্ষিপ্র গতিতে ছুটা
কোকিলের কুহু, ময়–রের কেকা,সকালের ফুল ফোটা।
নদীর কলতান,মাল্লার গান,ম–র্ছনা উদাস বাউলের
কিষানীরা খাটে উদয়াস্ত মাঠে পুটলিতে পিঠা চাউলের।

মায়ের আঁচল সম অশ্বত্থের ছায়,ঘুমায় ক্লান্ত পথিক,
অবিরাম গায় দোয়েল শ্যামা,মুখরিত চারিদিক।
শ্যামলা মেয়ে নেচে গেয়ে ঝিলের পানে ধায়
শাপলা নিয়ে ঘরে ফিরে মল বাজে তার পায়।

তুমি আমার বজ্রকন্ঠ,“আর যদি একটা গুলি চলে”
তোমার প্রেরণায় পেলাম স্বদেশ,পরাধীনতা পিছু ফেলে।
আজকে মোরা গর্বিত জাতি,অটুট স্বাধীনতা,
একুশ ! তোমায় ভুলে যাব ? কখনো হয় কি তা?

বাংলাদেশ সময়: ৯:৫৯:৩১   ৬৯৮ বার পঠিত   #বাংলা কবিতা  #ভাষার কবিতা  #শ্রষ্ঠ বাংলা কবিতা  #স্বপন চক্রবর্তীর কবিতা