বুধবার, ৭ আগস্ট ২০১৩
‘সুখরঞ্জন বালি’কে দেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ
Home Page » জাতীয় » ‘সুখরঞ্জন বালি’কে দেশে ফেরত পাঠানোর আদেশবঙ্গ-নিউজ ডটকম: ভারতে কারাবন্দি বাংলাদেশি ‘সুখরঞ্জন বালিকে’ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
বলা হচ্ছে, এই ব্যক্তিই যুদ্ধাপরাধে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার সাক্ষী।
গত ২৩ ডিসেম্বর অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার সময় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলায় আটকের পর তার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছিল, তাতে নাম লেখা হয় ‘সুখরঞ্জন বালা’।
ফলে তার পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়, যদিও তার ঠিকানাসহ অন্যান্য তথ্য সাঈদীর মামলার ‘নিখোঁজ সাক্ষী সুখরঞ্জন বালির সঙ্গে মিলে যায়।
ভারতে আটক সুখরঞ্জনকে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানোর জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হয়। সেই আবেদন মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্ট খারিজ করে দেয় বলে বিবিসি বাংলা জানায়।
একাত্তরে সুখরঞ্জন বালির ভাই বিসা বালিকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়, সেইসঙ্গে আরো অভিযোগের প্রমাণও ছিল জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে।
সাঈদীর মামলায় সুখরঞ্জন বালি প্রসিকিউশনের সাক্ষী ছিলেন। তবে তিনি ‘নিখোঁজ’ হওয়ার পর সাঈদীর আইনজীবীরা অভিযোগ তোলে, সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে চাওয়ায় তাকে সরকার তাকে ‘নিখোঁজ’ করেছে।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, “বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জী বলেছেন, দুসপ্তাহ পরে যে কোনো সময়ে ভারতে কারাবন্দি বাংলাদেশি সুখরঞ্জন বালিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো যেতে পারে।”
২০ অগাস্টের পরে সুখরঞ্জন বালিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরই সিদ্ধান্ত নেবে বলে রায়ে বলেন বিচারপতি।
হাই কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জীকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, সুখরঞ্জন বালিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলে তার জীবননাশের আশঙ্কা রয়েছে বা তাকে নিপীড়ন আর হয়রানির শিকার হতে বলে তার পরিবার যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তার সবই তাদের অনুমান৻ ওই আশঙ্কার কোনো তথ্যপ্রমাণ আবেদনকারীরা দিতে পারেননি।
গত ২৩ ডিসেম্বর আটকের পর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বাদী হয়ে সুখরঞ্জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর ভারতের বসিরহাটের আদালত গত ৩ এপ্রিল সুখরঞ্জনকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠায় এবং সাজা শেষে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বলে।
তবে সুখরঞ্জনের ভারতের কারাগারে বন্দি থাকার বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশ মিশন কিছু জানে না বলে ইতোপূর্বে জানিয়েছিল।
বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চের দেয়া এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুখরঞ্জনের উচ্চতর বেঞ্চে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া সুখরঞ্জন চাইলে ভারত সরকার বা জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কাছেও রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন বলে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০:৩৪:৩২ ৩৭৯ বার পঠিত