বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মধ্যনগরে হাওরে জমি নেই ; তবুও পিআইসির সভাপতি

Home Page » সারাদেশ » মধ্যনগরে হাওরে জমি নেই ; তবুও পিআইসির সভাপতি
বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১



হাওরে জমি নেই তবুও পিআইসির সভাপতি

আল-আমিন সালমান, স্টাফ  রিপোর্টার, বঙ্গ-নিউজঃসুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানার বংশীকুন্ডা (দঃ)ইউনিয়নের শালদীঘা হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের সংস্কার কাজে দুটি পিআইসি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে  শালদীঘা গুরমার হাওর বর্ধিতাংশের ১৪৭ও ১৪৮ নম্বর পিআইসি ফসলরক্ষা বাঁধের সংস্কার কাজের দুটি কমিটিতে যাদের কে সভাপতি  ও সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়েছে তাদের ঐ হাওরে কোনো জমি নেই।যার ফলে স্থানীয় কৃষকেরা ঐ পিআইসি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।শালদীঘা হাওরের ১৪৭ নম্বর পিআইসির সভাপতি  মির্জাপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ ও সদস্য সচিব  একই গ্রামের আব্দুর রশিদ,   এবং ১৪৮ নম্বর পিআইসির সভাপতি চাপাইতি গ্রামের রিপন মিয়া  ও সদস্য সচিব  আবু সাঈদ।শালদীঘা হাওর থেকে তাদের বাড়ির বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে।

শালদীঘা হাওরের কৃষক সুধীন সরকার বলেন,  যাদের কে এই হাওরের ১৪৭ নম্বর ও ১৪৮ নম্বর পিআইসির সভাপতি ও সদস্যসচিব করা হয়েছে। এরা হাওরের কোনো কৃষক নয়।তাই প্রকৃত কৃষকদের দিয়ে কমিটি গঠন করার দাবি জানাচ্ছি।

নিশ্চিন্তপুর গ্রামের কৃষক মোঃ ইলিয়াস জানান, যারা অবৈধভাবে ভাবে দুটি পিআইসিতে স্থান পেয়েছে এরা এই হাওরের কোনো কৃষক নয়।


শালদীঘা হাওরের  ১৪৭ পিআইসির অভিযুক্ত  সভাপতি  আব্দুল আজিজ ও সদস্য সচিব আব্দুর রশিদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।


শালদীঘা হাওরের ১৪৮ নম্বর পিআইসির অভিযুক্ত  সভাপতি রিপন মিয়া বলেন, এই হাওরে আমার  কতটুকু জমি আছে। দলিল পত্রাদি না দেখে বলা যাবে না। একটি কুচক্রী মহল আমাদের পিআইসির কমিটি বাতিল করার জন্য মিথ্যা ভিত্তীহিন অভিযোগ দিয়েছে।

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান বলেন, দুটি পিআইসির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:১৭:৪৭   ৫৫২ বার পঠিত   #  #