বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
বাংলাদেশের আরেক সাফল্য, অবাক বিষ্ময়ে দেখবে বিশ্ব
Home Page » জাতীয় » বাংলাদেশের আরেক সাফল্য, অবাক বিষ্ময়ে দেখবে বিশ্বস্বপন চক্রবর্তী, বঙ্গ-নিউজ: এক সময়ের তলাবিহীন ঝুড়ি বলে উপেক্ষা করা দেশ এখন বিশ্বের বিরাট বিস্ময়। অন্যান্য বহু দিকের উন্নয়নের মতো ইতিমধ্যে খাদ্যেও আমাদের সফলতা এসেছ। এবার সাফল্যের ঝুড়িতে সংযোজিত হতে যাচ্ছে ব্রী-১০০ জাতের ধান। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত জিঙ্কসমৃদ্ধ ৫ জাতের চিকন চালের তালিকায় নতুন আরেকটি জাত যুক্ত হয়েছে। আগেরগুলোর পাশাপাশি এটির উৎপাদনও শুরু হচ্ছে চলতি মাসে। এতে করে ধানের উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমন জিঙ্ক-আয়রণ সমৃদ্ধ হওয়ায় ভাতের পুষ্টিগুণও বাড়াবে। ব্রির বিজ্ঞানীদের বিগত ১৪ বছরের গবেষণার সর্বশেষ এই সাফল্য অবাক হয়ে দেখবে গোটা বিশ্ব।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত জিঙ্কসমৃদ্ধ চিকন চালগুলো হলো ব্রি-৬২, ব্রি-৬৪, ব্রি-৭২, ব্রি-৭৪ ও ব্রি-৮৪। এর সঙ্গে এবার নতুন জাতের ব্রি-১০০ যুক্ত করেছেন তারা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, অন্য ধানের চেয়ে নতুন এই জাতের ফলন ও জিঙ্কের পরিমাণ দুটোই বেশি। তাছাড়া এটি আরো চিকন এবং ঝরঝরে ভাত হবে।
জানা গেছে, ব্রি-১০০ অনুমোদনের জন্য জাতীয় বীজ বোর্ডকে সুপারিশ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটি। অনুমোদন সাপেক্ষে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই বীজ উৎপাদন শুরুর কথা জানানো হয়েছে। বোরো ধানের চেয়েও অল্প সময়ে নতুন এই জাতের ফলন আসবে বলে জানানো হয়। ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এর ফসল তোলা যাবে।
এ বিষয়ে ব্রির উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আবদুল কাদের বলেন, কৃষিক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে এই ধান। এটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসলে সুবিধা পাবে কৃষকরা, সুফল পাবে দেশের মানুষ।
ব্রির বিজ্ঞানীরা জানান, বোরো ধানের নতুন এই জাত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৯:২২ ৮১৮ বার পঠিত #উন্নত ধান-ব্রি-১০০ #বাংলাদেশ ধান গবেষণা #বাংলাদেশের সাফল্য