মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
ধর্মপাশায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা
Home Page » সারাদেশ » ধর্মপাশায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভাস্টাফ রিপোর্টার, বঙ্গ-নিউজঃসুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুনই নদী জলমহালে জেলে শ্যামারচরণ হত্যার ঘটনায় স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ছোট ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন জড়িত নয় দাবি করে সেলবরষ ও পাইকুরাটি ইউনিয়নের সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেল ৩টায় উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের গাছতলা বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সুনই নদী জলমহাল ছয় বছরের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ইজারা পায় ধর্মপাশার সুনই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড। সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুবল চন্দ্র বর্মণ ও কো-অপ্ট (বিশেষ বিবেচনায়) সভাপতি চন্দন চন্দ্র বর্মণের লোকজনের মধ্যে জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। চন্দন বর্মণের লোকজনের দাবি সুবল চন্দ্র বর্মণের নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ছোট ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন। জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে গত ৭ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে শ্যামাচরণ বর্মণ নামের এক জেলেকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। শ্যামাচরণ বর্মণ চন্দন বর্মণের বাবা। এ ঘটনায় চন্দন বর্মণ এমপি রতন ও চেয়ারম্যান রোকনসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারি ধর্মপাশা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও ধর্মপাশা থানা পুলিশ বাদি হয়ে ৬০/৬৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার এমপি রতন ও চেয়ারম্যান রোকনের পক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে পাইকুরাটি ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফার পরিচালনায় বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাড. আব্দুল হাই তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার, মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগ নেতা অমরেশ রায় চৌধুরী, ফরদৌসুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক উপজেলা আওয়ামী লীগ, সেলবরষ ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আলা উদ্দিন শাহ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইকরাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাজ উদ্দিন আহমেদ, পাইকুরাটি ইউপি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ আকন্দ, পাইকুরাটি ইউপি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি প্রভাষক নাজমুল হাসান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা দাবি জানান, জেলে হত্যার ঘটনায় এমপি রতন ও তার ছোট ভাই রোকনকে জড়িয়ে একটি কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার করে যাচ্ছে, যা সত্য নয়। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা উদঘাটন করার পাশাপাশি হয়রানীমূলক গ্রেফতার বন্ধ করে গ্রেফতারকৃতদের ৭২ ঘন্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৭:৩৭ ৪১০ বার পঠিত #এমপি রতন #ধর্মপাশা #মানববন্ধন