রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১

নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এমন ব্রিজ গুলো ভেঙ্গে ফেলার সিদ্বন্ত নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর

Home Page » জাতীয় » নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এমন ব্রিজ গুলো ভেঙ্গে ফেলার সিদ্বন্ত নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর
রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১



ফাইল ছবি

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য গঠিত মাস্টারপ্ল্যান কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকার চারপাশে যেসব ব্রিজ নৌ চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করছে সেগুলোকে ভেঙ্গে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

তিনি আজ রবিবার ( ১৫ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঢাকার চারপাশের নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য গঠিত মাস্টারপ্ল্যান কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)সহ যে সকল মন্ত্রণালয় অথবা অধিদপ্তর থেকে ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এমন ব্রিজ ভেঙে নৌ চলাচলের উপযোগী করে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি বলেন, নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধিসহ রাজধানীর উন্নয়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর কিংবা সংস্থা থেকে অনেক প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে ওভারল্যাপিং অর্থাৎ একই কাজের জন্য একাধিক প্রকল্প আছে কি না তা যাচাই-বাছাই করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।

এ প্রসঙ্গে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পসমূহে অব্যবস্থাপনা দূর করে সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় করে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গৃহীত প্রকল্পের তালিকা চাওয়া হয়েছে। সব প্রকল্পগুলোকে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের অধীনে আনা হবে।

ঢাকার চারপাশে নদীর ৯০ শতাংশ দখলমুক্ত হয়েছে এবং কিছু জায়গায় মসজিদ, মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থাকায় জটিলতা আছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির কাজ ধীর গতি এসেছে। অবৈধভাবে যে কেউ নদ-নদী, খাল-বিল দখল করে রাখুক না কেন তাদের উচ্ছেদ করে দখল মুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে চিহ্নিত খালগুলোর একটির সাথে আরেকটি সংযোগ স্থাপন করার লক্ষ্যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য দুই পাশে ওয়াকওয়ে এবং ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে।

মাস্টার প্ল্যানের সময়সীমা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান মাস্টার প্ল্যানের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। দশ বছর মেয়াদী এ প্ল্যানের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে অনুষ্ঠিত সভায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী কমিশনের চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব/অতিরিক্তসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:২১:১৮   ৪৬৩ বার পঠিত   #  #  #