সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১

করোনার ভয়াল থাবায় চাকুরিহীন ৩ লাখ গার্মেন্টসকর্মী

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » করোনার ভয়াল থাবায় চাকুরিহীন ৩ লাখ গার্মেন্টসকর্মী
সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১



একটি গারমেন্ট ফ্যাক্টরী

স্বপন চক্রবর্তী,বঙ্গ-নিউজ: করোনায় শুধু লক্ষ্য প্রাণ কেড়ে নেয়নি, আক্রান্ত করেছে কোটি কোটি মানুষকে। অনেক পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তি মারা যাওয়ায় পরিবারটি আজ বেঁচে থাকার চিন্তায় অন্ধকার দেখছে সম্মুখে। যাদের উপার্জন আসতো বিদেশ থেকে তারাও চাকুরি হারিয়ে দেশে ফিরেছ। মোট কথা বিশ্ব অর্থনীতির আজ মেরুদণ্ড ভেঙ্গে পঙ্গু হয়েছে। মহামারি করোনাভাইরাসের এই সংকটকালীন সময়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সাড়ে ৩ লাখেরও বেশি শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। শনিবার প্রকাশিত সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) পরিচালিত এক যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে গড়ে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং প্রতি ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের সংখ্যা গড়ে কমে দাঁড়িয়েছে ৮৮৬ থেকে ৭৯০ তে। চাকরি হারিয়েছে মোট ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

২০২০ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের ৬১০টি প্রতিষ্ঠানে এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়। সমীক্ষার নাম দেয়া হয়েছে ‘ভালনেরাবিলিটি, রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড রিকভারি ইন দ্য আরএমজি সেক্টর ইন ভিউ অব কোভিড প্যান্ডেমিক: ফাইন্ডিংস ফ্রম দ্য ইন্টারপ্রাইজ সার্ভে’।

দেখা গেছে, করোনার সময়ে বন্ধ হওয়া ফ্যাক্টরির সংখ্যা ২৩২টি। যা দেশের মোট ফ্যাক্টরির প্রায় ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এর মধ্যে ১৮৮টি বিজিএমইএ’র সদস্য। তাদের ২ দশমিক ৭ শতাংশ শ্রমিকের চাকরি চলে গেছে। গবেষণার সময় তারা এ তথ্য জানিয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, করোনার সময় অর্ডার কম ছিল। তাই বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করে ছাঁটাই করেছে।

গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, করোনার প্রভাবে রপ্তানি নির্ভর খাতটি নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তা সত্ত্বেও সরকারি প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে তা অনেকটা ধীর গতিতে হচ্ছে। বেশি সমস্যায় পড়েছে সংগঠনের বাইরে থাকা ছোট ফ্যাক্টরিগুলো।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অধিকাংশ ছোট ফ্যাক্টরিই প্রণোদনা প্যাকেজের জন্য আবেদনের জটিল প্রক্রিয়ার কারণে তা পায়নি। প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের চাহিদা পূরণ সম্ভব হলেও বাকিরা ক্ষতির মুখে থেকে গেছে। বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ৯০ শতাংশ সাহায্যের আবেদন করতে পেরেছিল। ছোট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ সংখ্যাটা মাত্র ৪০ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১১:২৯:০২   ৫৭৯ বার পঠিত