শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১

মতি মিয়ার প্রেস ফ্রিডম পর্ব ১০২ : মৃৎশিল্পের অর্কলজি

Home Page » সাহিত্য » মতি মিয়ার প্রেস ফ্রিডম পর্ব ১০২ : মৃৎশিল্পের অর্কলজি
শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১



 মৃত শিল্প

লেখক মতি রহমানের কলাম

বাবলী রহমান এই ক’মাস ধরে ছেলের কানাডিয়ান বউ জর্জেটকে শাড়ি আর শালোয়াড়/কামিজ পড়িয়ে, মাটির সানকিতে নাস্তা খাইয়ে “বঙ্গ-কলচর”এ অভ্যস্ত করার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। আড়ং থেকে শাড়ি চুড়ি কামিজ; মাটির কাপ পিরিচ বাটি থালা তথা “সানকি” সব নিয়ে এসেছে জর্জেটের জন্য বাবলী রহমান। জর্জেট কাপ সানকি উল্টে পাল্টে দেখে নিয়ে বলে: “Interesting; Do they use these utensils in Dhaka?

আমি বল্লাম: “No one, except some archeologists, Curators in Museum and a superstore in Dhaka named Arong use these”.
অর্কলজির লোকজন মাটি খোঁড়ে হাঁড়ি পাতিল বাইরে এনে ইতিহাস নির্মান করে । Carbon dating করে দিন তারিখ নির্ণয় করে করে ওরা বলে দেয় রাজা অশোক কোন দিন কোন পূন্ড্রাধীপতিকে পাথরে চিঠি (শিলালিপি) লিখেছিলো প্রজাদের disaster assistance দেয়ার জন্
বাবলী রহমান এই যে আড়ং থেকে থালা সানকি কাপ আনলো, হাজার বছর পর কোন অর্কলজিস্ট উইনিপেগের মাটি খোঁড়ে “ধামরাইএর মৃৎশিল্পী, ঢাকার আড়ং এবং আমার বউ-ব্রুসেলস্ স্প্রাউট-খাইত” connection আবিষ্কার করবে তো?
“সানকি” নামটা সানকিব্যবহার উঠে যাওয়ার সাথেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
ম্লেচ্ছ সমাচার: Vini Vidi Vici Bong! বং।মধ্য এশিয়া থেকে বেরিয়ে আর্য্যরা ভারতে এশিয়ান হাইওয়ে দিয়ে রথ চালিয়ে দিল্লীর নেইবারহুড অযোধ্যায় এসে রাজত্ব স্থাপন করে সেই অনেক অনেক যুগ কাল আগে - শাআ ৮৭৭ বছর (শা=শাক্যমুনির আ=আগে), 877 BS (Before Sakyamuni); জনান্তিকে জিসুর জন্মের ১৫০০ B.C. (Before Christ) বছর
আগে। মোট কথা, আজ থেকে ৩৫১৭ বছর আগে। a*।Upper Ganges তথা লাহোর দিল্লী হয়ে ধাপে ধাপে, Middle Ganges ও Lower Ganges তথা বং ভূমিতে এসে Upper Ganges তথা লাহোর দিল্লী হয়ে ধাপে ধাপে, Middle Ganges ও Lower Ganges তথা বং ভূমিতে এসে মাগধী প্রাকৃত (আদি আর্য ভাষা ততদিনে বদলে গেছে) ভাষায় উচ্চারণ করলো “এলুম, দেখলুম, জয় করলুম - Vini Vidi Vici Bong! বংমাগধী আর্যদের ক’দিন আগেই গদাধর বাহুবলি পান্ডব ভীম এসেছিলো বাংলায় কর আদায় করতে। “পুন্ড্রবর্ধন নরেশ মহাবীর বাসুদেব ও কৌশিকীকচ্ছবাসী মহৌজা রাজাকে পরাজয় করিবার পর সমুদ্রসেন, চন্দ্রসেন, তাম্রলিপ্ত, কর্কটাধিপতি প্রভৃতি বঙ্গদেশাধীশ্বরদিগকে ও সুহ্মদিগের অধীশ্বর এবং মহাসাগর (বর্তমানের বঙ্গোপসাগর) কুলবাসী ম্লেচ্ছগনকে জয় করিলেন”, (সভাপর্ব, ২৯ অধ্যায়, মহাভারত পৃষ্ঠা ২৫৬)।
এই হলো গে আর্যদের বং তথা বঙ্গ বিজয়েতিহাস। বিজয়ী যারা তারা আর্য, হারলো যারা তারা অনার্য ও ইতর, ম্লেচ্ছ, বর্বর।রিক ঈটন সাহেবের ভাষায়, “This conceptual distinction (আর্য - অনার্য) gave rise to a moving cultural frontier between “clean” Indo-Aryans who hailed from points to the west, and “unclean” Mlecchas (ম্লচ্ছগন) already inhabiting regions in the path of the Indo-Aryan advance” (Eaton, 1993, P6).
“আর্যামি”তে এক রকম (প্রায় যৌনাকর্ষনের মত) টান আছে। এ টানে আবদ্ধ হয়ে ইতিহাসের প্রখ্যাত অনেক “অনার্য” গুনিজন আর্যাচার করেছেন। ঋগবেদের এক গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষক নিজে শুদ্রজাত হয়েও আর্য-মাহাত্ব গাইতে গিয়ে “বং” জনপদের publicদেরকে বলেছেন “বয়াংসি”। অর্থাৎ বংবাসীরা পইখ পাখালীর মত কিচিড় মিচিড় করা অসভ্য বর্বর এক জাত। এই বয়ানের প্রায় ৩০৮৭ বছর পর ১৯৮৭ সনের (১৯৮৭ সন+১১০০খৃ: পূ” সন=৩০৮৭বছর) কানাডার উইনিপেগ শহরের Transit Busএ বসে জাবিভূর জিয়ারতে সাথে উঁচু কন্ঠে “কিচিড় মিচিড় করে আরন্যক রচয়িতার ঐ ঐতরীয় Titleভুক্ত হয়ে গেলাম আমি! তাইতেই তো কোন এক আধুনীক আর্যঋষি বাণী দিয়েছেন, “স্বভাব যায়না ম’লে” (মরলে)। আমি ও জিয়ারত, ঢাকার বাসের মত, উইনিপেগের বাসে বসে high volumeএ কিচিড় মিচিড় করছিলাম U of Mএর ক্লাস routine নিয়ে।
U of Mএর এক ছাত্র-যাত্রী ফিস ফিসিয়ে জানতে চাইলো: - “hey buddy, which language are ya talkin in?”
(বলা বাহুল্য নয় যে, এদেশের বাস-যাত্রীরা নিজেদের মাঝে কথা বলে যেন চুরি করা প্রেমের Girl friend/Boy friend প্রেমালাপরত। “ফিস ফিস ফিস”। ফিস ফিসফিস!” !
হায় আরন্যকের ইতর!!! (প্রসঙ্গত বলে রাখি, “আরন্যক” রচনা করেছিলো এক খাস আর্য-ব্রাহ্মনের দ্বিতীয় নমশুদ্রানী-স্ত্রীর সন্তান। সখ করে বাপ তার নাম রেখেছিলো “ইতর”! রচনাতো দূরের কথা, আর্যশাস্ত্রপাঠও নিষিদ্ধ ছিলো ম্লেচ্ছ, অচ্ছুৎ শুদ্র-সন্তানের। মহিদাস (ইতরের আসল নাম) মায়ের সহায়তায় “প্রকৃতি” দেবীর কাছে শিক্ষালাভ করে Golden GPA 5সহ; রচনা করে ফেলে ঋগ্বেদের সর্বশ্রেষ্ঠ Explanatory Note, “ঐতরেয় আরন্যক”। প্রচন্ড অভিমানে পিতৃদত্ত নামটাই ব্যবহার করে শুদ্রানীপুত্র : শ্রী মহিদাস aka ইতর !“আমি এক অনার্য নারী”!
অসহায়ত্ব যখন ধীর ধীরে চরমে পৌছোয় মনের সহায়ক শক্তিগুলো তখন বিমূর্ত রূপ ধারণ করে।
এমত অবস্থায়ই বোধ হয় মানুষ নিজেকে প্রশ্ন করে, “আমি কে?” - Who am I?
এবং নিজের জন্য একটা সংজ্ঞা খুজতে থাকে সে তখন। ফেবু বন্ধুশেখ নাহার, বোধ হয় এমনই এক অসহায়ত্বের প্রান্তে দাড়িয়ে ঘোষনা করেছে তার অহংকার , “আমি এক অনার্য নারী”!

ফাইল ছবি

ইতির অনার্যত্বের ধারণা অন্যের “আর্যামি”র (Aryanism) প্রতিক্রিয়া মাত্র নয়।
*(a)ইতিহাস Discourseএর একটা বড় সমস্যা হলো ঠিক ঠিক দিন তারিখ সময় ঘন্টা বিচার। মগধের রাজা মশাই “কোন” সময়, কী রাজকীয় “পরিস্থিতিতে”, কী “আদেশ” জারি করলেন; সে আদেশ পাথড়ে খুদাই (শিলালিপি/Stone Tablet) করে ‘কী পরিস্থিতিতে” ঘোড়ায়, নৌকায়, ও গরুরগাড়িতে চড়ে বঙ্গালমুলুকে পৌছুলো ৩ বা ৬ মাস পরে - তত দিনে কেল্লা ফতেহ। বন্যাতো হয়েছিলো গেলো শাওন মাসে! জারিকৃত Disaster relief দেয়ার আদেশ পালন হল, হবে কেমনে? Relief Fund গেলো কই? তাই দিন তারিখ বিচার ইতিহাসঅধ্যাপকদের জন্য এক বিরাট হেডএক, মাথা ব্যথা!
তথ্য সূত্র:
(1) “ . . . আর্যপূর্ব বঙ্গের (এবং পুন্ড্র ও সুম্ম জনপদের) সংঘবদ্ধ জীবন যাত্রা এবং সভ্যতা আর্য সভ্যতায় আত্মীকরণ হলো বটে, কিন্তু (1) “ . . . আর্যপূর্ব বঙ্গের (এবং পুন্ড্র ও সুম্ম জনপদের) সংঘবদ্ধ জীবন যাত্রা এবং সভ্যতা আর্য সভ্যতায় আত্মীকরণ হলো বটে, কিন্তু আর্যপূর্ব বিশ্বাস, সংস্কার এবং লোকাচার বঙ্গের কৃষি, শিল্প এবং সাধারণ জীবনযাত্রায় সনাক্তযোগ্য আলাদা উপাদান হিসাবে সংরক্ষিত রইল।” - পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক Dara Shamsuddin(২০১৫): “বাংলাদেশের স্থাননাম: ইতিহাসের পদচিহ্ন”, ঢাকা: সাহিত্য প্রকাশ। (emphasis added by the present writer).
(2) “ Archeological evidence confirms that already in the second millennium B.C. rice-cultivating communities inhabited West Bengal’s Burdwan District. By the eleventh century B.C., people in this area were living in systematically aligned houses, using elaborate human cemeteries, and making copper ornaments and (2) “ Archeological evidence confirms that already in the second millennium B.C. rice-cultivating communities inhabited West Bengal’s Burdwan District. By the eleventh century B.C., people in this area were living in systematically aligned houses, using elaborate human cemeteries, and making copper ornaments and fine black-and-red pottery (Eaton, 1993, P 4).
(3) “. . . . .The same pottery associated with the diffusion of Indo-Aryan speakers throughout northern India between 500 and 200 BC. —-Northern Black polished ware — now began to appear at various sites in the western Bengal delta”. (Richard M. Eaton, 1993, P9), “The Rise of Islam and the Bengal Frontier - 1204-1760”, Berkley: University of California Press..
ছাইরাঙ্গা বাঙ্গালীর ডোম্বিনী Connection।
চর্যাপদের কবি কাহ্নুপাদ আক্ষেপ করেছেন, “নগরবাহিরি রে ডোম্বি তোহোরি কুড়িআ। ছোই ছোই জাহ সো বাহ্মনাড়িআ।” (ডোমনীরে, থাকিস কুড়েঘরে নগর ছাড়িয়া; অভাগা বাহ্মনের হৃদয় যাস ছুঁইয়া ছুঁইয়া!)
- - - আর্য, অনার্য, অস্ট্রিক, অস্ট্রলয়েড/নেগ্রিটো, ককেসয়েড, ভূমিপুত্র মুন্ডা, কোল, ভিল, সাঁতাল? বা এসবেরই জগাখিচুড়ি, শঙ্কর, সেহেতু আধা-আর্য? যা ম্লেচ্ছ ব্রাত্য-নারীর গর্ভজাত ঐতিহ্যে ডোম চাঁড়ালদের পন্ডিত?
DNA বিশেষজ্ঞগন বলছেন বর্তমান বঙ্গবাসীর একতৃতীয়াংশের মত আমজনতার শরীরে আর্য রক্ত ও দুইতৃতীয়াংশের আছে অস্ট্রলয়েড/নেগ্রিটোর শঙ্কর রক্ত! DNA উপাত্য ছাড়াই এমন বিভাজনটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে টের পাওয়া গিয়েছিলো সেই ১৯৭২-৭৩ই।
নাক দেখে চেনা আর্য - অনার্য।
ডাগর চোখ, উঁচু নাক, এবং এই কারণে উন্নাসিক মনের যে জন সে হয় আর্য। ৭০দশকে এমন ধারার নাক চোখ দেখে দেখে জাবি ক্যাম্পাসে আমরা (আমি ও রনজু ইলাহী) ক্যাম্পাসবাসীর আর্যত্ব/অনার্যত্ব নির্ণয় করতাম সুযোগ পেলেই। আমাদের ৬ জনের ছ্যাক-গ্রুপের ভেতরে খায় আলম ও রণ ইলাহী হেথা উন্নত নাসিকা, এবং এই কারণে
এক ধরণের উন্নাসিকতা ছিলো এই দুজনের মনে মনে। DNA নির্ভর ANI/ASI অনুপাতের সঙ্গে আমার “উনা/ডাচো” পদ্ধতিতে পাওয়া আর্য/অনার্যের ratio প্রায় মিল হয়ে যেতো।
ছ্যাক-গ্রুপের ২ জন Aryan (ইলাহী ও আলম, ৩৩.৩৩৩) আর ৪ জন অনার্য (মতি, মেহদী, মুকুল,, ও রনো, ৬৬.৬৬৬) । (see Professor Dara Shamsuddin, 2015 P24-25 for DNA based ANI/ASI ratios)।
আলমের হাতের মাসল ওর নাকের মতই বেশ উন্নত ছিলো তাই আমি ওর সাথে তর্কের সময় একটু সতর্ক থাকতাম। এদিকে ইলাহীর উন্নাসিকতার আরও একটা উপাত্য ছিলো। আর্য-ভাষায় কথা বলা।
JU Campusএ আমরা প্রায় সবাই যখন “আইতাছি”, “খাড়া “খাইতাছি” বলি, রনজু বলে “আঁসচি, দাঁড়া,”খাচ্চি” -
শুদ্ধ খাস আর্য বাংলা। জাবি ক্যাম্পাসে রনজু ছাড়া আরও ৩ জন শুদ্ধ আর্য-বাংলায় কথা বলতো। বাংলার অধ্যাপক মুস্তাফা নুরউল ইসলাম, সুনীল কুমার মুখোপাধ্যায় এবং ইংরেজির অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী। বলা বাহুল্য এই ৩ জনেরই নাসিকা উন্নত ছিলো। একদম মধ্য এশিয়ান আর্যদের মতন।
বাংলা কী প্রকারের ভাষা?
এ জাতীয় প্রশ্নের সহজ একটা উত্তর আমরা প্রায় সবাই জানি। আমাদের এই জানার ভিত্তি হলো বেশ ক’জন একালের আর্যবাঙ্গালী ভাষা-বিজ্ঞানীর গবেষনা সন্দর্ভ। এদের ভেতর, এই লেখার জন্য যুৎসইভাবে উল্লেখ্য ডঃ সুনীতি কুমার চট্রোপাধ্যায়, ড: সুকুমার সেন, ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, ডঃ নীহাররঞ্জন রায় ও আরও ক’জন।
এই বিশিষ্ট জনদের DNA আমার অজ্ঞাত, নাক চোখের গড়ন ও কয়েক জনের দেখা ছবি থেকেও কিছু অনুমান করতে পারিনা কেননা এই বিষয়ে কোন Training নেই আমার। আমি শুধু “ধারণা”ই করতে পারি। সংশয়াচ্ছন্ন হতে পারি এই গুনীজনদের “ভাষা ও জাতি”র আত্মপরিচয়ের সন্ধানে ব্যবহৃত ভাষা পড়ে। সিদ্ধান্ত শুনে।
এই গুনীজনদের ঐ সিদ্ধান্তগুলো হয় এ রকম:
(১) বাংলা ভাষার সঙ্গে সংষ্কৃত ভাষার সম্পর্ক নেই, যদি ছিটাফোটা কিছুটা থাকেও তা অনেক দূরসম্পর্কের আত্মীয়তার মত!!!
(২) বাংলা একটি আর্য ভাষা। (মাগধী প্রাকৃত-গৌড়িয় অপভ্রংশ যা Aryan Lingua Franca রূপে metamorphosis হয়ে হয়ে বাংলা ভাষায় রূপান্তর হয়েছে)।
(৩) বাঙ্গালীরা প্রায় ৭০ ভাগই অনার্য
(৪) ৩০ ভাগ আর্যদেরকে Later Day Saints ( read Later Day Aryans) বলা যায়, যা গ্রিক, পার্থিয়ান, শক, হুণ, কুশান, আফগানী, ইরানী, ও মোগল/মুঙ্গোলদের নিয়ে সঙ্কলিত। অনার্য বংগালরা যারা পাখির মত কিচির মিচির করতো, কোথায় গেলো metamorphosed হয়ে সেই ম্লেচ্ছরা ? “Aryan Bangla” শিখে নিয়ে এরাই কি নিজেরাই আনন্দে (স্বভাবে) Aryan হয়ে গেল ! Induction ceremony বা “নবীন বরণ-উৎসব”গুলো কেমন ছিলো, Aryanizationএর কালে?
আরণ্যকে লিখিত পূবালী স্থান ও আম পাবলিকের “নামকরণ” কোন ভাষায়?
• ম্লেচ্ছ বয়াংসিরা কি জানতো যে তারা তখন সেই কালেই “বং”, “পুন্ড্র,” “ডোম-ডোমনী,” ও/বা “ম্লেচ্ছ” ?
• ঐ ম্লেচ্ছ বয়াংসিদের “tools of self-definition’এর, I repeat “self-definition”, যন্ত্রপাতিগুলোর কী হলো? তথ্য সূত্র: (1) “ . . . আর্যপূর্ব বঙ্গের (এবং পুন্ড্র ও সুম্ম জনপদের) সংঘবদ্ধ জীবন যাত্রা এবং সভ্যতা আর্য সভ্যতায় আত্মীকরণ হলো বটে, কিন্তু (1) “ . . . আর্যপূর্ব বঙ্গের (এবং পুন্ড্র ও সুম্ম জনপদের) সংঘবদ্ধ জীবন যাত্রা এবং সভ্যতা আর্য সভ্যতায় আত্মীকরণ হলো বটে, কিন্তু আর্যপূর্ব বিশ্বাস, সংস্কার এবং লোকাচার বঙ্গের কৃষি, শিল্প এবং সাধারণ জীবনযাত্রায় সনাক্তযোগ্য আলাদা উপাদান হিসাবে সংরক্ষিত রইল।” - পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক Dara Shamsuddin(২০১৫): “বাংলাদেশের স্থাননাম: ইতিহাসের পদচিহ্ন”, ঢাকা: সাহিত্য প্রকাশ। (emphasis added by the present writer).
(2) “ Archeological evidence confirms that already in the second millennium B.C. rice-cultivating communities inhabited West Bengal’s Burdwan District. By the eleventh century B.C., people in this area were living in systematically aligned houses, using elaborate human cemeteries, and making copper ornaments and (2) “ Archeological evidence confirms that already in the second millennium B.C. rice-cultivating communities inhabited West Bengal’s Burdwan District. By the eleventh century B.C., people in this area were living in systematically aligned houses, using elaborate human cemeteries, and making copper ornaments and fine black-and-red pottery (Eaton, 1993, P 4). (3) “. . . . .The same pottery associated with the diffusion of Indo-Aryan speakers throughout northern India between 500 and 200 BC. —-Northern Black polished ware — now began to appear at various sites in the western Bengal delta”. (Richard M. Eaton, 1993, P9), “The Rise of Islam and the Bengal Frontier - 1204-1760”, Berkley: University of California Press.. সূত্র: (৪) “To control a peoples’ culture is to control their tools of self-definition in relationship to others.” - Ngugi wa Thiong’o (1986), Decolonizing the Mind: The politics of language in African literature, London: James Currey (৫) “বয়াংসি বঙ্গাবগধ্বাশ্চেরপাদাঃ।” (- অর্থাৎ পাখির মত আচরণকারী বঙ্গ, বগধ, চের ও পাদা জনপদ) - র্ঐতরেয় আরণ্যক, অজয় রায় কর্তৃক উদ্ধৃত, “বাংলাদেশ: পুরাবৃত্ত, ইতিবৃত্ত”, মুস্তাফা নূরউল ইসলাম (১৯৯০) সম্পাদিত, “বাংলাদেশঃ বাঙ্গালী, আত্মপরিচয়ের সন্ধানে, ঢাকা: সাগরপাবলিশার্স (৬) দারা শামসুদ্দীন (২০১৫), বাংলাদেশের স্থাননাম: ইতিহাসের পদচিহ্ন, ঢাকা: সাহিত্য প্রকাশ।
(৭) ভক্তিমাধব চট্রোপাধ্যায় সম্পাদিত(১৯৭৭) রামাই পন্ডিতের “শূন্যপুরাণ”, সম্ভাব্য রচনাকাল ১৪শতকের কোন এক সময়ে; ইতর রচিত বঙ্গারণ্যক!পর্ব ১ : মৃৎশিল্পের অর্কলজি বাবলী রহমান এই ক’মাস ধরে ছেলের কানাডিয়ান বউ জর্জেটকে শাড়ি আর শালোয়াড়/কামিজ পড়িয়ে, মাটির সানকিতে নাস্তা খাইয়ে “বঙ্গ-কলচর”এ অভ্যস্ত করার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। আড়ং থেকে শাড়ি চুড়ি কামিজ; মাটির কাপ পিরিচ বাটি থালা তথা “সানকি” সব নিয়ে এসেছে জর্জেটের জন্য বাবলী রহমান। জর্জেট কাপ সানকি উল্টে পাল্টে দেখে নিয়ে বলে: “Interesting; Do they use these utensils in Dhaka?
ফাইল ছবি
আমি বল্লাম: “No one, except some archeologists, Curators in Museum and a superstore in Dhaka named Arong use these”. অর্কলজির লোকজন মাটি খোঁড়ে হাঁড়ি পাতিল বাইরে এনে ইতিহাসনির্মান করে । Carbon dating করে দিন তারিখ নির্ণয় করে করে ওরা বলে দেয় রাজা অশোক কোন দিন কোন পূন্ড্রাধীপতিকে পাথরে চিঠি (শিলালিপি) লিখেছিলো প্রজাদের disaster assistance দেয়ার জন্য।

বাবলী রহমান এই যে আড়ং থেকে থালা সানকি কাপ আনলো, হাজার বছর পর কোন অর্কলজিস্ট উইনিপেগের মাটি খোঁড়ে “ধামরাইএর মৃৎশিল্পী, ঢাকার আড়ং এবং আমার বউ-ব্রুসেলস্ স্প্রাউট-খাইত” connection আবিষ্কার করবে? “সানকি” নামটা সানকিব্যবহার উঠে যাওয়ার সাথেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
পর্ব ২: ম্লেচ্ছ সমাচার:মধ্য এশিয়া থেকে বেরিয়ে আর্য্যরা ভারতে এশিয়ান হাইওয়ে দিয়ে রথ চালিয়ে দিল্লীর নেইবারহুড অযোধ্যায় এসে রাজত্ব স্থাপন করে সেই অনেক অনেক যুগ কাল আগে - শাআ ৮৭৭ বছর (শা=শাক্যমুনির আ=আগে), 877 BS (Before Sakyamuni); জনান্তিকে জিসুর জন্মের ১৫০০ B.C. (Before Christ) বছর আগে। মোট কথা, আজ থেকে ৩৫১৭ বছর আগে। a*। Upper Ganges তথা লাহোর দিল্লী হয়ে ধাপে ধাপে, Middle Ganges ও Lower Ganges তথা বং ভূমিতে এসেUpper Ganges তথা লাহোর দিল্লী হয়ে ধাপে ধাপে, Middle Ganges ও Lower Ganges তথা বং ভূমিতে এসে মাগধী প্রাকৃত (আদি আর্য ভাষা ততদিনে বদলে গেছে) ভাষায় উচ্চারণ করলো “এলুম, দেখলুম, জয় করলুম - Vini Vidi Vici Bong! বং। মাগধী আর্যদের ক’দিন আগেই গদাধর বাহুবলি পান্ডব ভীম এসেছিলো বাংলায় কর আদায় করতে। “পুন্ড্রবর্ধন নরেশ মহাবীর বাসুদেব ও কৌশিকীকচ্ছবাসী মহৌজা রাজাকে পরাজয় করিবার পর সমুদ্রসেন, চন্দ্রসেন, তাম্রলিপ্ত, কর্কটাধিপতি প্রভৃতি বঙ্গদেশাধীশ্বরদিগকে ও সুহ্মদিগের অধীশ্বর এবং মহাসাগর (বর্তমানের বঙ্গোপসাগর)কুলবাসীকুলবাসী ম্লেচ্ছগনকে জয় করিলেন”, (সভাপর্ব, ২৯ অধ্যায়, মহাভারত পৃষ্ঠা ২৫৬)। এই হলো গে আর্যদের বং তথা বঙ্গ বিজয়েতিহাস। বিজয়ী যারা তারা আর্য, হারলো যারা তারা অনার্য ও ইতর, ম্লেচ্ছ, বর্বর। রিক ঈটন সাহেবের ভাষায়, “This conceptual distinction (আর্য - অনার্য) gave rise to a moving cultural frontier between “clean” Indo-Aryans who hailed from points to the west, and “unclean” Mlecchas (ম্লচ্ছগন) already inhabiting regions in the path of the Indo-Aryan advance” (Eaton, 1993, P6). “আর্যামি”তে এক রকম (প্রায় যৌনাকর্ষনের মত) আকর্ষনের টান আছে। এ টানে আবদ্ধ হয়ে ইতিহাসের প্রখ্যাত অনেক “অনার্য” গুনিজন আর্যাচার করেছেন। ঋগবেদের এক গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষক নিজে শুদ্রজাত হয়েও আর্য-মাহাত্ব গাইতে গিয়ে “বং” জনপদের publicদেরকে বলেছেন “বয়াংসি” - অর্থাৎ বংবাসীরা পইখ পাখালীর মত কিচিড় মিচিড় করা অসভ্য বর্বর এক জাত। এই বয়ানের প্রায় ৩০৮৭ বছর পর ১৯৮৭ সনের (১৯৮৭ সন+১১০০খৃ: পূ” সন=৩০৮৭বছর) কানাডার উইনিপেগ শহরের Transit Busএ বসে জাবিভূর জিয়ারতে সাথে উঁচু কন্ঠে “কিচিড় মিচিড় করে আরন্যক রচয়িতার ঐ ঐতরীয় Titleভুক্ত হয়ে গেলাম আমি! তাইতেই তো কোন এক আধুনীক আর্যঋষি বাণী দিয়েছেন, “স্বভাব যায়না ম’লে” (মরলে)। আমি ও জিয়ারত, ঢাকার বাসের মত, উইনিপেগের বাসে বসে high volumeএ কিচিড় মিচিড় করছিলাম U of Mএর ক্লাস routine নিয়ে; U of Mএর এক ছাত্র-যাত্রী ফিস ফিসিয়ে জানতে চাইলো: - “hey buddy, which language are ya talkin in?” (বলা বাহুল্য নয় যে, এদেশের বাস-যাত্রীরা নিজেদের মাঝে কথা বলে যেন চুরি করা প্রেমের Girl friend/Boy friend প্রেমালাপরত। “ফিস ফিস ফিস”। ফিস ফিসফিস!” ! হায় আরন্যকের ইতর!!! (প্রসঙ্গত বলে রাখি, “আরন্যক” রচনা করেছিলো এক খাস আর্য-ব্রাহ্মনের দ্বিতীয় নমশুদ্রানী-স্ত্রীর সন্তান। সখ করে বাপ তার নাম রেখেছিলো “ইতর”! রচনাতো দূরের কথা, আর্যশাস্ত্রপাঠও নিষিদ্ধ ছিলো ম্লেচ্ছ, অচ্ছুৎ শুদ্র-সন্তানের। মহিদাস (ইতরের আসল নাম) মায়ের সহায়তায় “প্রকৃতি” দেবীর কাছে শিক্ষালাভ করে Golden GPA 5সহ; রচনা করে ফেলে ঋগ্বেদের সর্বশ্রেষ্ঠ Explanatory Note, “ঐতরেয় আরন্যক”। প্রচন্ড অভিমানে পিতৃদত্ত নামটাই ব্যবহার করে শুদ্রানীপুত্র : শ্রী মহিদাস aka ইতর !
পর্ব ৩: “আমি এক অনার্য নারী”! অসহায়ত্ব যখন ধীর ধীরে চরমে পৌছোয় মনের সহায়ক শক্তিগুলো তখন বিমূর্ত রূপ ধারণ করে। এমত অবস্থায়ই বোধ হয় মানুষ নিজেকে প্রশ্ন করে, “আমি কে?” - Who am I? এবং নিজের জন্য একটা সংজ্ঞা খুজতে থাকে সে তখন। ফেবু বন্ধু ইতি, Sheikh Shumsun Nahar Eity, বোধ হয় এমনই এক অসহায়ত্বের প্রান্তে দাড়িয়ে ঘোষনা করেছে তার অহংকার , “আমি এক অনার্য নারী”!
মৃত শিল্প

ইতির অনার্যত্বের ধারণা অন্যের “আর্যামি”র (Aryanism) প্রতিক্রিয়া মাত্র নয়; আরও কিছু বলতে চায় শেখ শামসুন নাহার ইতি (পাঠক, ইতির interesting outlook জানতে ওকে Face Bookএ follow করতে পারেন
*(a)ইতিহাস Discourseএর একটা বড় সমস্যা হলো ঠিক ঠিক দিন তারিখ সময় ঘন্টা বিচার। মগধের রাজা মশাই “কোন” সময়, কী রাজকীয় “পরিস্থিতিতে”, কী “আদেশ” জারি করলেন; সে আদেশ পাথড়ে খুদাই (শিলালিপি/Stone Tablet) করে ‘কী পরিস্থিতিতে” ঘোড়ায়, নৌকায়, ও গরুরগাড়িতে চড়ে বঙ্গালমুলুকে পৌছুলো ৩ বা ৬ মাস পরে - তত দিনে কেল্লা ফতেহ। বন্যাতো হয়েছিলো গেলো শাওন মাসে! জারিকৃত Disaster relief দেয়ার আদেশ পালন হল, হবে কেমনে? Relief Fund গেলো কই? তাই দিন তারিখ বিচার ইতিহাসঅধ্যাপকদের জন্য এক বিরাট হেডএক, মাথা ব্যথা! (ভারতীয়দের মতানুসারে গৌতমের জন্ম-মৃত্যু তারিখ ৬২৩-৫৪৩ BC; ইউরো-আর্যরা মনে করে গৌতম বুদ্ধ 566 BCতে জন্মে-486 BCতে অথবা ৫৫৮-৪৭৮ BCতে মরেছে; কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ডের লোকজন জানে গৌতমের তিরোধান হয়েছে ৬২৪-৫৪৪ BC সনে)। তথ্য সূত্র:(1) “ . . . আর্যপূর্ব বঙ্গের (এবং পুন্ড্র ও সুম্ম জনপদের) সংঘবদ্ধ জীবন যাত্রা এবং সভ্যতা আর্য সভ্যতায় আত্মীকরণ হলো বটে, কিন্তু (1) “ . . . আর্যপূর্ব বঙ্গের (এবং পুন্ড্র ও সুম্ম জনপদের) সংঘবদ্ধ জীবন যাত্রা এবং সভ্যতা আর্য সভ্যতায় আত্মীকরণ হলো বটে, কিন্তু আর্যপূর্ব বিশ্বাস, সংস্কার এবং লোকাচার বঙ্গের কৃষি, শিল্প এবং সাধারণ জীবনযাত্রায় সনাক্তযোগ্য আলাদা উপাদান হিসাবে সংরক্ষিত রইল।” - পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক Dara Shamsuddin (২০১৫): “বাংলাদেশের স্থাননাম: ইতিহাসের পদচিহ্ন”, ঢাকা: সাহিত্য প্রকাশ। (emphasis added by the present writer).(2) “ Archeological evidence confirms that already in the second millennium B.C. rice-cultivating communities inhabited West Bengal’s Burdwan District. By the eleventh century B.C., people in this area were living in systematically aligned houses, using elaborate human cemeteries, and making copper ornaments and (2) “ Archeological evidence confirms that already in the second millennium B.C. rice-cultivating communities inhabited West Bengal’s Burdwan District. By the eleventh century B.C., people in this area were living in systematically aligned houses, using elaborate human cemeteries, and making copper ornaments and fine black-and-red pottery (Eaton, 1993, P 4). (3) “. . . . .The same pottery associated with the diffusion of Indo-Aryan speakers throughout northern India between 500 and 200 BC. —-Northern Black polished ware — now began to appear at various sites in the western Bengal delta”. (Richard M. Eaton, 1993, P9), “The Rise of Islam and the Bengal Frontier - 1204-1760”, Berkley: University of California Press.. ইতর রচিত বঙ্গ-আরণ্যক!
পর্ব ৪ : ছাইরাঙ্গা বাঙ্গালীর ডোম্বিনী Connection।চর্যাপদের কবি কাহ্নুপাদ আক্ষেপ করেছেন, “নগরবাহিরি রে ডোম্বি তোহোরি কুড়িআ। ছোই ছোই জাহ সো বাহ্মনাড়িআ।” (ডোমনীরে, থাকিস কুড়েঘরে নগর ছাড়িয়া; অভাগা বাহ্মনের হৃদয় যাস ছুঁইয়া ছুঁইয়া! - ভাষান্তর, মতি রহমান) - - আর্য, অনার্য, অস্ট্রিক, অস্ট্রলয়েড/নেগ্রিটো, ককেসয়েড, ভূমিপুত্র মুন্ডা, কোল, ভিল, সাঁতাল? বা এসবেরই জগাখিচুড়ি, শঙ্কর, সেহেতু আধা-আর্য? যা ম্লেচ্ছ ব্রাত্য-নারীর গর্ভজাত ঐতিহ্যে ডোম চাঁড়ালদের পন্ডিত? DNA বিশেষজ্ঞগন বলছেন বর্তমান বঙ্গবাসীর একতৃতীয়াংশের মত আমজনতার শরীরে আর্য রক্ত ও দুইতৃতীয়াংশের আছে অস্ট্রলয়েড/নেগ্রিটোর শঙ্কর রক্ত! DNA উপাত্য ছাড়াই এমন বিভাজনটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে টের পাওয়া গিয়েছিলো সেই ১৯৭২-৭৩ই। নাক দেখে যায় চেনা কেবা আর্য কেবা না। ডাগর চোখ, উঁচু নাক, এবং এই কারণে উন্নাসিক মনের যে জন সে হয় আর্য। ৭০দশকে এমন ধারার নাক চোখ দেখে দেখে জাবি ক্যাম্পাসে আমরা (আমি ও রনজু ইলাহী) ক্যাম্পাসবাসীর আর্যত্ব/অনার্যত্ব নির্ণয় করতাম সুযোগ পেলেই। আমাদের ৬ জনের ছ্যাক-গ্রুপের ভেতরে আলম (Khayrul Anam) ও রনজু ইলাহী হেথা Mahbub Elahi উন্নত নাসিকা, এবং এই কারণেই এক ধরণের উন্নাসিকতা ছিলো এই দুজনের মনে মনে। DNA নির্ভর ANI/ASI অনুপাতের সঙ্গে আমার “উনা/ডাচো” পদ্ধতিতে পাওয়া আর্য/অনার্যের ratio প্রায় মিল হয়ে যেতো।
ছ্যাক-গ্রুপের ২ জন Aryan (রনজু ও আলম, ৩৩.৩৩৩) আর ৪ জন অনার্য (মতি, মেহদী, মুকুল,, ও রনো, ৬৬.৬৬৬) । (see Professor Dara Shamsuddin, 2015 P24-25 for DNA based ANI/ASI ratios)। আলমের হাতের মাসল ওর নাকের মতই বেশ উন্নত ছিলো তাই আমি ওর সাথে তর্কের সময় একটু সতর্ক থাকতাম। এদিকে রনজু ইলাহীর উন্নাসিকতার আরও একটা উপাত্য ছিলো। আর্য-ভাষায় কথা বলা। JU Campusএ আমরা প্রায় সবাই যখন “আইতাছি”, “খাড়া “খাইতাছি” বলি, রনজু বলে “আঁসচি, দাঁড়া,”খাচ্চি” - শুদ্ধ খাস আর্য বাংলা। জাবি ক্যাম্পাসে রনজু ছাড়া আরও ৩ জন শুদ্ধ আর্য-বাংলায় কথা বলতো। বাংলার অধ্যাপক মুস্তাফা নুরউল ইসলাম, সুনীল কুমার মুখোপাধ্যায় এবং ইংরেজির অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী। বলা বাহুল্য এই ৩ জনেরই নাসিকা উন্নত ছিলো। একদম মধ্য এশিয়ান আর্যদের মতন।
বাংলা কী প্রকারের ভাষা? এ জাতীয় প্রশ্নের সহজ একটা উত্তর আমরা প্রায় সবাই জানি। আমাদের এই জানার ভিত্তি হলো বেশ ক’জন একালের আর্যবাঙ্গালী ভাষা-বিজ্ঞানীর গবেষনা সন্দর্ভ। এদের ভেতর, এই লেখার জন্য যুৎসইভাবে উল্লেখ্য ডঃ সুনীতি কুমার চট্রোপাধ্যায়, ড: সুকুমার সেন, ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, ডঃ নীহাররঞ্জন রায় ও আরও ক’জন।
এই বিশিষ্ট জনদের DNA আমার অজ্ঞাত, নাক চোখের গড়ন ও কয়েক জনের দেখা ছবি থেকেও কিছু অনুমান করতে পারিনা কেননা এই বিষয়ে কোন Training নেই আমার। আমি শুধু “ধারণা”ই করতে পারি। সংশয়াচ্ছন্ন হতে পারি এই গুনীজনদের “ভাষা ও জাতি”র আত্মপরিচয়ের সন্ধানে ব্যবহৃত ভাষা পড়ে। সিদ্ধান্ত শুনে।
এই গুনীজনদের ঐ সিদ্ধান্তগুলো হয় এ রকম:(১) বাংলা ভাষার সঙ্গে সংষ্কৃত ভাষার সম্পর্ক নেই, যদি ছিটাফোটা কিছুটা থাকেও তা অনেক দূরসম্পর্কের আত্মীয়তার মত!!!
(২) বাংলা একটি আর্য ভাষা। (মাগধী প্রাকৃত-গৌড়িয় অপভ্রংশ যা Aryan Lingua Franca রূপে metamorphosis হয়ে হয়ে বাংলা ভাষায় রূপান্তর হয়েছে)।
(৩) বাঙ্গালীরা প্রায় ৭০ ভাগই অনার্য
(৪) ৩০ ভাগ আর্যদেরকে Later Day Saints ( read Later Day Aryans) বলা যায়, যা গ্রিক, পার্থিয়ান, শক, হুণ, কুশান, আফগানী, ইরানী, ও মোগল/মুঙ্গোলদের নিয়ে সঙ্কলিত।অনার্য বংগালরা যারা পাখির মত কিচির মিচির করতো, কোথায় গেলো metamorphosed হয়ে সেই ম্লেচ্ছরা ? “Aryan Bangla” শিখে নিয়ে এরাই কি নিজেরাই আনন্দে (স্বভাবে) Aryan হয়ে গেল ! Induction ceremony বা “নবীন বরণ-উৎসব”গুলো কেমন ছিলো, Aryanizationএর কালে?
• আরণ্যকে লিখিত পূবালী স্থান ও আম পাবলিকের “নামকরণ” কোন ভাষায়?
• ম্লেচ্ছ বয়াংসিরা কি জানতো যে তারা তখন সেই কালেই “বং”, “পুন্ড্র,” “ডোম-ডোমনী,” ও/বা “ম্লেচ্ছ” ?
• ঐ ম্লেচ্ছ বয়াংসিদের “tools of self-definition’এর, I repeat “self-definition”, যন্ত্রপাতিগুলোর কী হলো?
To be continued . . . সূত্র: (১) “To control a peoples’ culture is to control their tools of self-definition in relationship to others.” - Ngugi wa Thiong’o (1986), Decolonizing the Mind: The politics of language in African literature, London: James Currey
(২) “বয়াংসি বঙ্গাবগধ্বাশ্চেরপাদাঃ।” (- অর্থাৎ পাখির মত আচরণকারী বঙ্গ, বগধ, চের ও পাদা জনপদ) - র্ঐতরেয় আরণ্যক, অজয় রায় কর্তৃক উদ্ধৃত, “বাংলাদেশ: পুরাবৃত্ত, ইতিবৃত্ত”, মুস্তাফা নূরউল ইসলাম (১৯৯০) সম্পাদিত, “বাংলাদেশঃ বাঙ্গালী, আত্মপরিচয়ের সন্ধানে, ঢাকা: সাগরপাবলিশার্স।
(৩) দারা শামসুদ্দীন (২০১৫), বাংলাদেশের স্থাননাম: ইতিহাসের পদচিহ্ন, ঢাকা: সাহিত্য প্রকাশ।
(৪) ভক্তিমাধব চট্রোপাধ্যায় সম্পাদিত(১৯৭৭) রামাই পন্ডিতের “শূন্যপুরাণ”, সম্ভাব্য রচনাকাল ১৪শতকের কোন এক সময়ে;লেখক মতি রহমান

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৩:৫৮   ৭২২ বার পঠিত   #  #  #  #