শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের নৃশংসতার ক্ষত ভোলার নয়-প্রধানমন্ত্রী
Home Page » জাতীয় » ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের নৃশংসতার ক্ষত ভোলার নয়-প্রধানমন্ত্রীস্বপন চক্রবর্তী, বঙ্গ-নিউজ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান যে নৃশংসতা চালিয়েছিল, বাংলাদেশ তা ভুলে যেতে পারে না। তিনি বলেন, ‘একাত্তরের ঘটনাগুলো ভোলা যায় না। সেই ক্ষত চিরদিন রয়ে যাবে।’একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের নৃশংসতা কোনোদিন ভোলার নয়, এ ব্যথা চিরদিন থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়নের ‘মিরাকল সম্পর্কে জানতে চাইলে’ ইমরান খানকে পরামর্শ দিয়েছেন উল্লেখ করে পাক হাইকমিশনার বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে আগ্রহী।
একাত্তরে পাক বাহিনীর গণহত্যার কথা উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন বলে তার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শুভেচ্ছা জানান দেশটির রাষ্ট্রদূত। এ সময় পাক প্রধানমন্ত্রীকেও তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ওপর ‘সিক্রেট ডক্যুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইয়ে ১৯৪৮-১৯৭১ সালের অনেক ঐতিহাসিক সত্য ঘটনা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র উর্দু সংস্করণ পাকিস্তানে অন্যতম বেস্ট সেলার বই।
দুই দেশের ফরেইন কনস্যুলেশন সক্রিয় করতে পাক হাইকমিশনার সহযোগিতা চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি নিয়মিত করার ক্ষেত্রে ঢাকার কোনো বাধা নেই। আমরা আঞ্চলিক সহযোগিতায় বিশ্বাস করি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী গতকাল বৃহস্পতিবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ওপর তৎকালীন পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার নথি নিয়ে প্রকাশিত সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বইয়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সবাই এই বই থেকে ১৯৪৮-৭১ সাল পর্যন্ত অনেক ঐতিহাসিক সত্য জানতে পারে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী (উর্দু সংস্করণ) পাকিস্তানে অন্যতম বেস্টসেলার বই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তানেও এটি অধিক পঠিত বই।
হাইকমিশনার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দেন। শেখ হাসিনাও হাইকমিশনারের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শুভেচ্ছা জানান। পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তাঁদের পরামর্শ দিয়েছেন। বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ফোরামগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যে ফরেন অফিস কনসুলেশন সক্রিয় করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চান।
ইকমিশনার ইমরান আহমেদ বলেন, পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এখানে কোনো বাধা নেই।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতায় বিশ্বাস করেন।
বিশ্ব অঙ্গনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন পাকিস্তানি হাইকমিশনার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সুইডিশ বিনিয়োগকারীদের প্রতি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখানে ব্যবসা করার অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছি। আমরা সেখানে অনুকূল পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করেছি। কাজেই সুইডেন এখানে বিনিয়োগ করতে পারে।’ সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিনডে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গতকাল গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেন স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্যান্সিসকো ডি এসিস বেনিতেজ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্পেনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) এবং হাইটেক পার্কগুলোতে তৈরি পোশাক, পাট, চামড়া ও ওষুধশিল্পে আরও বড় আকারের বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৩৪:১৭ ৫৫৪ বার পঠিত # #ইমরান খান #ক্ষত ভোলার নয় #পাকিস্তান #শেখ হাসিনা #সম্পর্ক #হাইকমিশনার