শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০১৩
রাষ্ট্রপতির প্রথম জানাজা ভৈরবে, দাফন বনানীতে
Home Page » সংবাদ শিরোনাম » রাষ্ট্রপতির প্রথম জানাজা ভৈরবে, দাফন বনানীতেজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের প্রথম জানাজা হবে তার জন্মভূমি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় ভৈরবের হাজী আসমত আলী কলেজ মাঠে জিল্লুর রহমানের প্রথম জানাজা হবে।
এরপর ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে দ্বিতীয় জানাজার পর শুক্রবার দুপুরে এক ঘণ্টা বঙ্গভবনে রাখা হবে রাষ্ট্রপতির কফিন। সেখানে বিদেশি কূটনীতিকরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে রাষ্ট্রপতিকে। সেখানে স্ত্রী আইভি রহমানের কবরেই সমাহিত হবেন তিনি।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. জিল্লুর রহমান বুধবার মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার পর তার মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দর থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাষ্ট্রপতির মরদেহ নেয়া হয় বঙ্গভবনে। সেখানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিল্লুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বঙ্গভবনে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিকালে রাষ্ট্রপতির মরদেহ নেয়া হবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। সেখানেই হিমঘরে রাখা হবে তার মরদেহ।
১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জন্মগ্রহণ করেন জিল্লুর রহমান। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর সব সময় ওই আসন থেকে নির্বাচন করেন তিনি।
ভৈরব থেকে ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জিল্লুর রহমান।
২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলায় স্ত্রী আইভী রহমান নিহত হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও তিনি প্রায়ই চলে যেতেন ভৈরবে। সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে মিশতেন, কথা বলতেন একান্ত আপনজনের মতো।
বুধবার বিকালে তার মৃত্যুর খবর শুনে দলমত নির্বিশেষে সবাই ছুটে যায় ভৈরবে তার স্ত্রী আইভি রহমানের নামে করা বাসস্থান আইভি ভবনের সামনে।
তখন অনেকের মুখেই কোনো কথা ছিল না, চোখে ছিল অশ্রু।
বাংলাদেশ সময়: ০:৪২:৩০ ৫২৫ বার পঠিত