শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০২০
মাদক মামলার বিচার ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইন পাস
Home Page » জাতীয় » মাদক মামলার বিচার ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইন পাসমোঃ আরিফ হুসাইন, প্রতিবেদক-বঙ্গনিউজঃ মাদক মামলার বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান বাদ দিয়ে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) বিল, ২০২০’ সংসদে পাস হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।
‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন’২০১৮ অনুসারে মাদক মামলার বিচারে মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান ছিল। কিন্তু আইনটি সংশোধন হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল গঠন না করেও মাদক মামলার বিচার করা যাবে, এতে করে মামলা জট হ্রাস পাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সংসদ সদস্যদের বক্তব্যঃ
বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপনের সময় জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, “বিচার আটকে আছে প্রায় এক লাখ। মামলা আছে তিন লাখ। চার লাখ মামলা ঝুলে আছে। ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়নি।“১৮ থেকে ২০ সাল দুটি বছর। যখন আইন তৈরি করব কেয়ারফুল হওয়া দরকার। ট্রাইব্যুনাল করতে পারব না। কিন্তু আইন করলাম!”
জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, “৩৮ লাখ মামলার দেশ। ছোট খাট অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধ শিকার করে নিতে পারে পাঁচ বছরের জায়গায় তিন বছর জেল দেওয়া যায়। এটা করার সুযোগ নেই। উপজেলায় সব সেক্টরের কর্মকর্তা আছে, কোর্ট নাই। উপজেলায় কোর্ট নেওয়ার সময় এসেছে। তাহলে জেলা পর্যায়ে আসতে হবে না। দুর্ভোগে পড়তে হবে না। ন্যায় বিচারের হাহাকার থেকে মুক্তি প্রয়োজন।”
বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, “লাখ লাখ মাদকের মামলা ঝুলে আছে। ভয়াবহতা থেকে রক্ষার জন্য শুধু আইন করছি, সংশোধন করছি। প্রয়োগ কার্যকারিতা নাই।”
বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, “চল যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে- সময় এতই খারাপ যে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হচ্ছে। মাত্র ২৫ গ্রামের জন্য মৃত্যুদণ্ড। অপরাধ কমেছে? বিচার বিভাগের ওপর সরকার কি ভরসা রেখেছে? মাদক নির্মূলের চেষ্টা করেছে?
“তাই যদি করত দুই বছরে কী করে ৮০০ জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়। বেশিরভাগ ছিল মাদক ব্যবসায়ী। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ভয়ঙ্কর গতিতে ইয়াবার প্রসার ঘটেছে। একজন সাবেক এমপির নাম এসেছিল মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায়।”
তিনি বলেন, “খুচরা দুয়েকটা ব্যবসায়ীকে বিচারবহির্ভূত হত্যার আওতায় এনে মাদক দমন হবে না, আগেও চেষ্টা হয়েছিল, হয়নি। গোড়ায় হাত দিতে হবে। একজন এমপির নাম আসছে। দ্বিতীয় ব্যক্তি তার আপন ছোটভাই। পরিবারের ২৬ জনের নাম আসছে। গোড়ায় হাত না দিলে সমস্যার সমাধান হবে না। সরকারি সংস্থার তালিকায় যার নাম আসছে বারবার, তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল।”
বাংলাদেশ সময়: ০:০২:২৮ ৫৫৮ বার পঠিত ##ট্রাইবুনাল ##মাদক মামলা #সংসদ #সংসদ সদস্য