বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৩

” সব ইউনিয়নে ‘বাড়ি-খামার’ নিয়ে যাচ্ছে সরকার”

Home Page » জাতীয় » ” সব ইউনিয়নে ‘বাড়ি-খামার’ নিয়ে যাচ্ছে সরকার”
বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৩



ektibari.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃনির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের বিশেষ দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ সারাদেশে বিস্তার ঘটছে মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি সংশোধন করে এর মেয়াদ ২০১৬ এর জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আওতা বাড়ানো হয়েছে দ্বিগুনের বেশি।বরাদ্দ বেড়েছে তিনগুন।‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক জরিপের ভিত্তিতে গ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্য গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন সৃষ্টি করে সুফল ভোগীদের দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, ঋণ, অনুদান ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়েছে।আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে জুন, ২০১৪ মেয়াদের জন্য প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় একনেকপরে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর কমিয়ে ব্যয় বরাদ্দও কমানো হয়।এক হাজার ৯৩২টি ইউনিয়নে প্রকল্পটি চালু আছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মঙ্গলবারের সভায় এর কার্যক্রম দেশের সব ইউনিয়নে (৪৫০৩টি ইউনিয়ন) সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত হয়।খরচ তিনগুনের মতো বেড়ে দাঁড়াবে তিন হাজার ১৬৩ কোটি টাকায়।

নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রকল্পটি সম্প্রসারণ করা হয়েছে কিনা- এ প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি। দরিদ্র মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি। কেউ যদি এতে নির্বাচনের গন্ধ পান তাহলে আমাদের বলার কিছু নেই।”

গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রকল্পটি চালু করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রকল্পটি বাতিল করা হয়।

সামগ্রিক গ্রামীণ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিটি বাড়িকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্বতন্ত্র কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা এবং ২০১৫ সালের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে এ প্রকল্প ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের ৫৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ২০১৫ সালে তা কমিয়ে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।

গত এক দশকের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিশ্ব ব্যাংক মনে করছে, নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগেই চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেব মতে, ২০১০ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ।

প্রকল্পের আওতায় দরিদ্রদের মাঝে দুগ্ধবতী গাভী, মৎস্য, হাস-মুরগী ও ফসলের বীজ বিতরণ চলছে। প্রকল্প সদর দপ্তর, জেলা, উপজেলা এবং গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন দপ্তরে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং এবং অনলাইন ব্যাংকিং চালুও এই প্রকল্পের লক্ষ্য।

মঙ্গলবারের বৈঠকে মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এতে প্রায় চার হাজার ৫৩২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ব্যয়ের মধ্যে তিন হাজার ৯২৮ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং বাকি ৬০৪ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য থেকে মেটানো হবে।

বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ অন্যান্য মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ৮:২০:৪১   ৪৮০ বার পঠিত