বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০

যথাসময়ে বই পাবে শিক্ষার্থীরা বলেন শিক্ষামন্ত্রী

Home Page » জাতীয় » যথাসময়ে বই পাবে শিক্ষার্থীরা বলেন শিক্ষামন্ত্রী
বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০



 ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজঃ করোনার কারণে পুরো দেশ লকডাউন থাকায় আগামী ২০২১ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপার দরপত্র প্রক্রিয়া যথাসময়ে শেষ করা যায়নি। তারপরও পিছিয়ে নেই কাজ। বর্তমানে পুরো দমে চলছে পাঠ্যবই ছাপার কাজ। করোনাকালে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সারাদেশের অন্তত চারশ মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা রাতদিন খাটছেন। সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের চার কোটি ছাত্রছাত্রীর জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও ১ জানুয়ারির আগেই প্রস্তুত থাকবে ৩৬ কোটি বই। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, করোনা সংক্রমণের কারলে আগামী ১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যবই উৎসব পালন করা হবে না। তবে স্কুলে স্কুলে বই যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়া হবে। ৩৬ কোটি পাঠ্যবইয়ের মধ্যে অন্তত ১০ কোটি পাঠ্যবই এরই মধ্যে ছাপিয়ে সেগুলো উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো শুরু হয়েছে।
জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ ইতোমধ্যে দেওয়া শেষ হয়েছে। এখন সব বই প্রেসে রয়েছ। ছাপা শেষে বাঁধাই করে সেখান থেকে সরাসরি উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ৩৬ কোটি বই তৈরি করা হচ্ছে। এনসিটিবির কর্মকর্তারা প্রেসে প্রেসে গিয়ে মুদ্রণ কার্যক্রম পরিদর্শন ও তদারকি করছেন।
মুদ্রণকারীরা জানান, করোনার কারণে এ বছর ছাপার কাঁচামাল দেশে সঠিক সময়ে পৌঁছেনি। আবার মুদ্রণ শ্রমিকদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণেও কাজে বিঘ্ন ঘটেছে। এতসব প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছানোর সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এম মনসুরুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য বই ছেপে উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিদিনের তথ্য আমি পাচ্ছি। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যেই সব বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, এ বছর বই উৎসব করা হবে কিনা সেটি নিয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলে দিয়েছেন। আমরাও এখন পর্যন্ত একই সিদ্ধান্তে আছি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, বই ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছায় সে প্রচেষ্টা রয়েছে। আশা করছি এর ব্যত্যয় ঘটবে না। এনসিটিবি এটি পরিচালনা করছে।
একই কথা বলেছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা।

বাংলাদেশ সময়: ১২:২৮:০৫   ৪৯৮ বার পঠিত