মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৩

“দুটি মহামারীর হুমকির সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ব “

Home Page » প্রথমপাতা » “দুটি মহামারীর হুমকির সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ব “
মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৩



two-stood-in-front-of-the-threat-of-epidemics.jpg

বঙ্গ-নিউজ ডটকম:

সব দেখে শুনে মনে হয়েছে মানব সমাজ নতুন বিপদের সম্মুখীণ হয়েছে. খুবই সম্ভাবনা রয়েছে এবারে একসাথে দুটি মহামারী শুরু হওয়ার, যা নতুন রকমের গঠনের ভাইরাসের জন্য ঘটতে চলেছে.

জর্ডনে, গ্রেট ব্রিটেনে, জার্মানীতে ও ফ্রান্সে এক নতুন ধরনের করোনাভাইরাস লক্ষ্য করা গিয়েছে. সৌদী আরবে, যেখানে এই অসুখের প্রাদুর্ভাব প্রথম নথিবদ্ধ হয়েছিল, সেখানে এক বিশেষ সম্মেলন হয়েছে, যার অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের উদ্বেগ গোপন করেন নি: আরও বেশী করে তথ্য সেই ধারণার স্বপক্ষেই যাচ্ছে যে, নতুন করোনাভাইরাস এক জনের কাছ থেকে অন্য জনের কাছে যেতে পারে.

সৌদী আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পরামর্শদাতা আরাভী খালেদ মার্গালানি রেডিও রাশিয়ার কাছে এই রোগের উপসর্গ নিয়ে বলেছেন:

“এই করোনাভাইরাস, যার থেকে সৌদী আরবে ১৫ জন মারা গিয়েছেন, তা আগে থেকে জানা কোনও ভাইরাসের মতো নয়. আপাততঃ, এটার বিরুদ্ধে কোনও ফলপ্রসূ টিকা বা ওষুধ বার করা সম্ভব হয় নি. তাছাড়া, এর একেবারেই অন্য ধরনের উপসর্গ, আমাদের চিকিত্সা বিজ্ঞান আপাততঃ নির্দিষ্ট করতেই পারে নি. আর এটাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর, কারণ আমরা জানি না, দেশের জনগনকে কি ধরনের উপসর্গের বিষয়ে সাবধান করা দরকার”.

যখন রোগীরা ক্লিনিকে আসেন, তখন তাঁরা যা নিয়ে অভিযোগ করে থাকেন, তা হল খুব জ্বর ও খুব জোরে কাশি, আর পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, একই সঙ্গে দুটি ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে. কিছু সময় পরে তাদের প্রয়োজন পড়ে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে অক্সিজেন দিয়ে রাখার.

এখানে একমাত্র ইতিবাচক ব্যাপার হল যে, আপাততঃ বাধ্যতা মূলক ভাবে সংক্রমণের শর্ত অনেক সময় ধরে ছোঁয়ার মধ্যে থাকা. এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যোগাযোগ বিভাগের চিকিত্সক গিওর্গি হার্টল বলেছেন:

“এখানে প্রধান ধাঁধা হল - কার কাছ থেকে ও কি পথে এই ছোঁয়াচে রোগ ছড়ায়. আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি, আর বোঝার চেষ্টা করছি. কিন্তু আট মাস সময় ধরে কাজ করেও কিছু বোঝা যায় নি. আর যতক্ষণ না বোঝা যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সম্ভাবনা নেই এক জনের কাছ থেকে অন্য জনের কাছে রোগ সংক্রমণের পথ বন্ধ করা. এই ভাইরাস খুবই বিপজ্জনক”.

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, যদি ভাইরাস নিজের অভিযোজন চালু রাখে, তবে এর ছড়িয়ে পড়া এক ভয়ানক মহামারীর আকার নিতে পারে. রাশিয়ার চিকিত্সা বিজ্ঞান একাডেমীর ভাইরাস সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বিজ্ঞানী ইউরি গেন্দন এই আতঙ্কের প্রধান কারণ আলাদা করে বলেছেন:

“পুরনো ভাইরাসও একজন মানুষের কাছ থেকে অন্যজন পেয়েছিল. কিন্তু পুরনো ভাইরাস থেকে মাঝারি ধরনের বিপজ্জনক রোগ হচ্ছিল, যাতে মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম ছিল, যদিও কিছু নির্দিষ্ট জটিলতা দেখা যাচ্ছিল. আর এই করোনাভাইরাস এক জনের কাছ থেকে অন্য জনের কাছে গিয়ে খুবই গুরুতর অসুখ তৈরী করে, যা মৃত্যুর কারণও হতে পারে”.

আপাততঃ, যখন ডাক্তাররা সৌদি আরবের ভাইরাস নিয়ে চিন্তা করছেন, তখন চিন থেকে আমাদের দিকে অন্য এক বিপদ এগিয়ে আসছে. আবারও তথাকথিত বার্ড ফ্লু রোগের খবর এসেছে. কিন্তু তা আবার অন্য ধরনের ভাইরাসের, যা H5N1 নয়, যা আট বছর আগে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল. আপাততঃ এই ভাইরাস এক জনের কাছ থেকে অন্য জনের কাছে ছড়িয়ে যায় না. কিন্তু এটা শুধু সময়ের প্রশ্ন.

বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৫:৪২   ৩৯৪ বার পঠিত