রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০

ধর্ষনের প্রথম ধাপ ধর্ষকের বিকৃত মস্তিষ্কের ‘নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি’

Home Page » বিবিধ » ধর্ষনের প্রথম ধাপ ধর্ষকের বিকৃত মস্তিষ্কের ‘নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি’
রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০



প্রতীকী ছবি।
গোপন চোখের একটু চাওয়া
মনের যত কথা
জানেন সবি সর্বজ্ঞানী
সবকিছুরই শ্রোতা

যৌন কেলেঙ্কারীর শুরুটা হয় দেখা থেকে,যেমন আগুনের শুরুটা হয় একটি স্ফুলিঙ্গ থেকে।আল্লাহ তায়ালা একজনের চেয়ে আরেকজনকে বেশি সৌন্দর্য দান করেছেন।মানুষ যতো সুন্দরী কাউকে দেখুক না কেন,তার তৃষ্ণা কখনো শেষ হয় না। যৌন তৃষ্ণার সাগরে সাঁতার কেটে সে কখনো তীরে পৌছাতে পারে না।কারন এ সাগর কূলহীন।হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী র বলেন”কুদৃষ্টি যতই দেওয়া হোক,চাই তা হাজারো নারী পুরুষ দর্শন করা,তবুও তার পরিতৃপ্তি আসবে না।কারন কুদৃষ্টি এমন এক পিপাসা লাগায়, যা কখনো নিবারন হয় না।পানিশূন্যতার রোগী এ পরিমান পানি পান করুক যে তার পেট ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয় তবুও সে পরিতৃপ্ত হবে না। মানুষের চোখ যখন লাগামহীন হয়ে যায়, তখন তার থেকেই কুকর্মের সৃষ্টি হয়।এ কারনেই দার্শনিক বলেন,” কুদৃষ্টি দুষ্টের মূল”।

বর্তমান সময়ে সংবাদপত্র,ম্যাগাজিন,ইন্টারনেট ও টেলিভিশনে অশ্লীল ছবি দেখা সহজলভ্য হয়ে গেছে।মানুষ সহজেই অশ্লীল ও নগ্ন ছবি দেখতে পাচ্ছে।যুবতীরা বুক টান করে রাস্তাঘাটে ঘুরছে। বিনোদনের নামে পথে ঘাটে নারীদের নারীদের নগ্ন ছবি ছড়িয়ে আছে।এ অবস্থায় যুবকতো দূরের কথা,বুড়োদের দৃষ্টিও সংরক্ষন করা কঠিন হয়ে পড়ছে।এক ঠেং কবরে মনে হচ্ছে তার যৌবন উতলিয়ে পড়ছে।এসবকিছু দেখে দেখে যখন তাদের যৌবন চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে,তখনই তারা ধর্ষণের মত জঘন্য কাজে তারা জড়িয়ে পড়ছে।ক্ষুধার্থ নেকড়ের মত তারা শিশু,যুবতী,গৃহবধূ এমনকি আশি বছরের বৃদ্ধ ও তাদের কাছ থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

কারো সাথে ব্যভিচার করতে হলে প্রথমে,যার সাথে ব্যভিচার করবে তার সম্মতি লাগে,উপযুক্ত জায়গা ও সুযোগের প্রয়োজন হয়,আর নির্জনতার দরকার হয়।কিন্তু কুদৃষ্টি, অশ্লীলতার জন্য তো এসবের কিছুই লাগে না।তাই আমরা বলতেও পারি না কার মনে কি আছে।যার জন্য আমরা নিজের আত্বীয়ের কাছেও অনেক সময় হিংস্রতার শিকার হই।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সিলেটের এমসি কলেজের ঘটনা,নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ঘটনাগুলো টনক নাড়া দেওয়ার মত ছিল।মনে হচ্ছে নিজেকেই প্রশ্ন করি,সত্যিই কি জাহেলিয়াত এসে গেলো?যখন আপনি কারো প্রতি কুদৃষ্টু দেন তখন একটু চিন্তা করবেন,আমারওতো মা,বোন,কন্যা,স্ত্রী, ছোট ভাই আছে।তাদের প্রতি যদি কেহ আপনার মত এরুপ লুলোপদৃষ্টিতে তাকায় তাহলে আপনার কেমন লাগবে।কুদৃষ্টি আশে শয়তানের পক্ষ থেকে।এজন্য আপনি শয়তানকে শাস্তি দিতে পারেন।মাওলান আশরাফ আলী থানবী র বলেন,” কুদৃষ্টি দেওয়ার শাস্তি নিজেই নিজের উপর আরোপ করে নিন বিশ রাকাত নফল নামাজ।তাতে দেখবেন কয়েকদিনেই প্রবৃত্তি কমে যাবে।কারন তখন শয়তান বলবে,এ লোক একবার কুদৃষ্টি দেওয়া চল্লিশবার সেজদা করেছে।এমন যেন না হয় তার গুনাহগুলো পুণ্য দিয়ে পাল্টে দেওয়া হয়।তাতে আমার সারাজীবনের চেষ্টা বিফলে যাবে।

নারী পুরুষের যৌবিক চাহিদা সৃষ্টিগত।আল্লাহ তায়ালা একে অপরের প্রতি দুর্বল করেই সৃষ্টি করেছেন।তবে প্রতিটি কাজেরইতো একটা নির্দিষ্ট সময় রয়েছে।

লেখকঃ মোঃমহিউদ্দিন
আরবি বিভাগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ সময়: ১০:০৮:৪০   ৭৯২ বার পঠিত   #  #  #  #