বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০

খুলছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পরীক্ষণ থিয়েটার হল - রাজার চিঠি !

Home Page » বিনোদন » খুলছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পরীক্ষণ থিয়েটার হল - রাজার চিঠি !
বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০



ফাইল ছবি, জাগরনী থিয়েটার

স্টাফ রিপোর্টার বঙ্গনিউজঃ  সাভার (ঢাকা) থেকে : করোনা পরবর্তী শিল্পকলায় জাগরণী থিয়েটারের ১৫তম প্রযোজনা ‘রাজার চিঠি’ নাটকের ৩৪ তম মঞ্চায়ন

‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে মঞ্চ নাটক’ স্লোগানে আবারো জমে ওঠছে নাট্যাঙ্গন, জমে উঠছে মঞ্চ। করোনার ভয়কে পেছনে ফেলে জেগে ওঠার চেষ্টা করছেন থিয়েটার কর্মীগণ। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পরীক্ষণ হলে জাগরনী থিয়েটারের ১৫তম প্রযোজনা ‘রাজার চিঠি’ নাটকের ৩৪তম মঞ্চায়নের নিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাগরণী থিয়েটারের সাধারন সম্পাদক ম্বরণ সাহা।

কাহিনি সংক্ষেপ: ১৯৩৯ সালে শাহজাদপুরের শ্রী হরিদাস বসাকের একটি চিঠির উত্তরে চিঠি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই চিঠি এবং রবীন্দ্রসাহিত্যের প্রভাবে হরিদাস বসাকের জীবন রবীন্দ্রনাথের ‘ঠাকুরদা’ চরিত্রের মতো হয়ে ওঠে। এই কাহিনি নিয়েই ‘রাজার চিঠি’ নাটকটি লেখা। এক সময় যুবক হরিদাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। এ নিয়ে তার পরিবার-পরিজন এবং বন্ধুবান্ধব হাসাহাসি করেছিল। কিন্তু দেখা যায়, একদিন রবীন্দ্রনাথ সে চিঠির উত্তর দিয়েছেন। এ সময় হরিদাস বসাককে সবাই সমীহ করতে শুরু করে। অন্যদিকে হরিদাস বসাকও সাহিত্যসংস্কৃতির কাজে নিজেকে সঁপে দেন। সময়ের প্রবাহে আসে ১৯৪৭ সাল। এ সময় অনেকেই দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যায়। কিন্তু যে ঠিকানায় রবীন্দ্রনাথ তাকে চিঠি লিখেছেন, সে ঠিকানা হরিদাস বসাক বদল করতে চান না। নাটকে ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগের চিত্র এবং হরিদাস বসাকের মাতৃভূমি আঁকড়ে থাকা দেখা যায়। এরপর আসে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতায় হরিদাস বসাকের স্বপ্নভঙ্গ হয়। পুড়িয়ে ফেলা বাড়ি ঘর দুয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে হরিদাস বসাক সে দিন তাঁর আত্মজনের খোঁজ নেন না, শুধু শিশুর মতো হাহাকার করেন চিঠিটির জন্য। এ অবস্থায় পাকিস্তানি আর্মি এসে দাঁড়ায় হরিদাস বসাকের সামনে। তার মুখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম শুনে আর্মিরা তাকে বেয়োনেট দিয়ে মারতে থাকে। কাহিনি এখানেই শেষ হয়েছে, কিন্তু এর বিস্তৃতি বহু দূর পর্যন্ত প্রসারিত।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য শাহজাদপুরের কাহিনী নিয়ে নাটকটি রচনা করেন মাহফুজা হিলালী আর নির্দেশনা প্রদান করেন দেবাশীষ ঘোষ। নাটকটির মূল চরিত্র হরিদাস বসাক এর ভূমিকায় অভিনয় করবেন স্মরণ সাহা। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করবেন শাহানা জাহান সিদ্দিকা, মো: বাহারুল ইসলাম, শাহানাজ শারমিন খান সীমু, ইয়াসিন শামিম, মো: রফিকুল ইসলাম, সজীব ঘোষ, পল্লব সরকার, মো: আকাশ মিয়া, সুুমী আক্তার মীম, শ্রাবণ সূএধর, সাবেকুন নাহার মুন এবং মো: ইমন হোসেন। নাটকটির কোরিওগ্রাফি অনিকেত পাল বাবু, সংগীতে রামিজ রাজু, আলোক নিয়ন্ত্রণ ঠান্ডু রায়হান, পোষাক ডিজাইন এনাম তারা সাকী, পোস্টার ও সুভ্যেনীর ডিজাইন শোয়েব হাসনাত মিতুল এবং আলোক সরবরাহে আব্দুল মালেক মিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৯:২৮   ৫৫৯ বার পঠিত   #  #  #