বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০

ঢাবির মাস্টার প্লানে শিক্ষার্থীদের চাওয়া

Home Page » প্রথমপাতা » ঢাবির মাস্টার প্লানে শিক্ষার্থীদের চাওয়া
বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০



ফাইল ছবি

সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের মতামত মূল্যায়ন হবে বলে পুরোপুরি আশা করি না তবে আমাদের দায়িত্ব বোধ থেকেই প্রত্যাশাগুলো তুলে ধরা।এসব বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা বন্ধুদের সুযোগ সুবিধার আলোকেই যৌক্তিক এসব সুপারিশ ।

১.আমাদের ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের চলাচলের আধিক্যের কারণে নিরাপত্তার খুব অভাব। তাই বহিরাগত নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রসাশনকে ২টা টেকসই ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্প নেই।
(ক) ক্যাম্পাসকে সিসি ক্যামেড়ার আওতায় আনতে হবে।
(খ)বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার বিকল্প হিসেবে আন্ডারগ্রাউন্ড রোড তৈরী করতে হবে। এতে করে আমাদের ক্যাম্পাস আমাদের জন্যই সংরক্ষিত থাকবে।

২. ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চালু করতে হবে। এবং এই বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র ঘুরবে এবং সকল শিক্ষার্থীদের,শিক্ষকদের এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য প্রবেশাধিকার থাকবে।
বিঃদ্রঃ রেজিস্ট্রার ভবনের কাছে যেগুলো বাস নষ্ট হয়ে পরে আছে সেগুলো ঠিক করে কাজে লাগালে প্রশাসনের আহামরি খরচও হবে না আবার শিক্ষার্থীরা আকাশ চুম্বি রিকশাভারার হাত থেকেও বাঁচবে।

৩.বিশ্ববিদ্যালয়ের যেহেতু আবাসন সিট সংকট সেহেতু ভর্তির সময়ই আবাসিক ও অনাবাসিক সিটের ভিত্তিতে ভর্তি করতে হবে। ভর্তির পর সিট নিয়ে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের চরম অনিশ্চয়তায় ফেলে রাজনৈতিক দাস বানানোর পক্রিয়া বন্ধ করতে হবে ।এবং বর্তমান যারা আবাসিক সিট না পাওয়ায় আশেপাশের মেসে থাকছে তাদের ভাড়া বিশ্বিবদ্যালয়কে বহন করতে হবে। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের ভর্তি করিয়ে যে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয়কেই নিতে হবে।

৪. জায়গার সংকটের বিকল্প হিসেবে বহুতল ভবন ও আন্ডারগ্রাউন্ড ভবন নির্মান করতে হবে।

৫.শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরি সুবিধা বাড়াতে হবে এবং বই নিয়ে যাওয়ার অনুমতি সংযুক্ত করতে হবে।শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ বিশ্ববিদ্যালয়কেই নিশ্চিত করতে হবে এবং মনে রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই পড়াশোনা করতে আসে তাই এটার সুযোগ করে দেওয়া সবার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ ।

৬.ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মত দেশের অভ্যন্তরিন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা চাইলেই কিছু কোর্স অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রহণ করার সুযোগ দিতে হবে।

৭.একাডেমিক ইমেইলের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮.ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সর্বত্র ওয়াই-ফাই সুবিধা দিতে হবে।

৯.শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য স্বল্প মূল্যে কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

১০. প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করে হলেও স্বল্প মূল্যে মান সম্মত খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।

আহমেদ হিমেল

শিক্ষার্থী ,ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ,২য় বর্ষ , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৬:৫৭   ৪৭১ বার পঠিত