বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০১৩

অবৈধ অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যেতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে লন্ডন….

Home Page » বিবিধ » অবৈধ অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যেতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে লন্ডন….
বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০১৩



বঙ্গনিউজ ডটকমঃ

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি, লন্ডন | আপডেট: 05:13, জুলাই 25, 2013 |

 

 

 

অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকার তার গৃহীত কঠোর নীতির অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহে লন্ডনে এক নতুন প্রচারাভিযান শুরু করেছে। এতে স্থানীয় পর্যায়ের রাজনীতিকেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে বলেছেন, এর ফলে সমাজে বিভাজন তৈরি হবে। অবৈধ অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যেতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে লন্ডনে ‘দেশে ফিরে যান, নয়তো আটক করে ফেরত পাঠানো হবে’ ব্যানার ঝোলানো ভ্যান নামানো হয়েছে। এ ঘোষণাটি স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশেরও ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। বিজ্ঞাপনে একটি টেলিফোন নম্বর দিয়ে এ ধরনের অবৈধ অভিবাসীদের বলা হয়েছে, ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে সরকার তাঁদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।

লন্ডনের স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের অনেকে সরকারের এই প্রচারাভিযানে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, তাঁদের এলাকার কোথাও কোথাও জনবসতির অর্ধেকেরও বেশি অভিবাসী হওয়ায় সমাজে সন্দেহ-ভিত্তিক বিভেদ তৈরি হবে এবং তা সামাজিক উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে। একই সঙ্গে তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রচারণার কারণে অবৈধ অভিবাসীরা আরও সতর্ক হয়ে গোপনীয়তার আশ্রয় নেবেন।

বিক্ষুব্ধ রাজনীতিকদের মধ্যে ক্ষমতাসীন জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সাংসদ সাবেক মন্ত্রী সারা টিদার বলেছেন, সরকারের এই অপ্রীতিকর উদ্যোগের ফল শুভ হবে না। লেবার পার্টি নিয়ন্ত্রিত ব্রেন্ট কাউন্সিল (পৌর কর্তৃপক্ষ) বলেছে, এ বিষয়ে কোনো পরামর্শ না করে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে তারা আতঙ্কিত। লন্ডনের যেসব এলাকায় এই প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম এই ব্রেন্টের জনগোষ্ঠীর ৬৫ শতাংশই হলেন অভিবাসী। ব্রেন্ট কাউন্সিলের নেতা মুহাম্মদ বাট বলেছেন, বিপুলসংখ্যক অভিবাসীর আবেদন নিষ্পত্তি না করে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন খবরে অনুমান করা হয় যে প্রায় দুই লাখ আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

তবে অভিবাসনবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মার্ক হারপার বলেছেন, অভিবাসন প্রশ্নে সরকারের সংস্কারের অংশ হিসেবে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং এই সংস্কারের কারণে গত এক দশকের মধ্যে অভিবাসন এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও জানান, চলতি বছরেই অভিবাসনবিষয়ক নতুন আইনে অবৈধ অভিবাসীরা যাতে কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা বা স্বাস্থ্যসেবার মতো কোনো সেবা বিনা মূল্যে না পান, সে ব্যবস্থাই করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ৫:১৫:৫৭   ৪৬২ বার পঠিত