রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

যাত্রা শুরু হলো প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারের

Home Page » জাতীয় » যাত্রা শুরু হলো প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারের
রবিবার, ২৮ জুন ২০২০



প্রতীকি ছবি

বঙ্গ-নিউজ: স্বপন চক্রবর্তী, প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারের যাত্রা শুরু হলো। সম্প্রচার সাংবাদিকদের সংগঠন বিজেসির এই উদ্যোগে সহযোগী হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউট, গাজী গ্রুপ, বাঁধন, সবার জন্য সবার ঢাকা ও ওলওয়েল ডটকম। কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ, ডেটাবেইজ তৈরি এবং প্লাজমা দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে যোগাযোগ তৈরিতে যাত্রা শুরু করেছে প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার। শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কার্যালয়ে এর উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই কাজের সমন্বয়ের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামে একটি কল সেন্টার করা হয়েছে। প্লাজমা সংগ্রহ করা হচ্ছে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে। গত এক মাস ধরে পাইলট প্রকল্পের আওতায় ৩৬ জন কোভিড-১৯ আক্রান্তকে প্লাজমা সংগ্রহ করে দিয়েছে প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার।

এ সময় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক, ওলওয়েল ডটকমের সম্বন্বয়ক ডা. তুষার মাহমুদ, বাঁধন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রকীব আহমেদ, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। অনলাইনে যুক্ত হয়েছিলেন ডা. সামন্তলাল সেন, স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নান ও বিজেসির চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক।

পরীক্ষামূলক ব্যবহার ছাড়া প্লাজমা থেরাপি না দিতে সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। প্লাজমা থেরাপি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো গাইডলাইন তৈরি করেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল বলেন, “প্লাজমা সেন্টার থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করতে হলে চিকিৎসকদের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন আসতে হবে।

“নইলে কাউকে প্লাজমা দেব না। প্লাজমা দাতা জানবেন কাকে দেওয়া হয়েছে। গ্রহীতা জানলেন তাকে কে প্লাজমা দিয়েছেন। যে অসাধু চক্র সক্রিয় হয়েছে তাদের আমরা নিস্ক্রিয় করে দিতে চাই।”

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক বলেন, প্লাজমা থেরাপির যথেচ্ছ প্রয়োগ হলে সুফল পাওয়া যাবে না।

“এমন নয় যে প্লাজমা দিলেই রোগী ভালো হয়ে যাবে। এটাকে গবেষণার বাইরে প্রয়োগ করার সুযোগ কম। যাদের দরকার তাদেরই যেন এই থেরাপি দেওয়া হয়। অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।”

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, প্লাজমার সদ্ব্যবহার করা সবার নৈতিক দায়িত্ব।

“যার কাছ থেকে পাচ্ছি তাকে সম্মান দেওয়ার জন্য হলেও এটার যেন অপব্যবহার না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্যারাসিটামল আমরা যখন ইচ্ছা তখন খাই, প্লাজমার ব্যবহার যেন সে রকম করে না ফেলি।”

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “কিছু অসাধু ব্যক্তি প্লাজমা থেরাপি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। দেশে যা চলছে এতে আমার মনে হয়, একটা ব্যবস্থা আমরা করি।

“এই সময় যারা অমানবিক কাজ করছে তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। যারা প্রতারণা করছে তাদের কাউকে ছাড় দেবে না সরকার। মানুষকে যেন তারা হয়রানি না করতে পারে সেজন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা দেখব।”

প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার জানিয়েছে, প্লাজমা দানে সক্ষম যে কেউ প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারের 01841188024-25 নম্বরে ফোন করে প্লাজমা দিতে পারবেন। এছাড়া https://plasma.gazivm.com/donate এই ওয়েব লিঙ্কে গিয়ে প্লাজমা দেওয়ার আগ্রহের কথা জানাতে পারবেন।

অপরদিকে যারা প্লাজমা নিতে চান তাদের http://plasma.gazivm.com/request- এ যোগাযোগ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০:০৩:২৮   ৫৮৪ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #