বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০

ফরিদপুরে বসতবাড়ীতে নিরাপদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদনে সব্জি ও ফলের চারা বিতরন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

Home Page » প্রথমপাতা » ফরিদপুরে বসতবাড়ীতে নিরাপদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদনে সব্জি ও ফলের চারা বিতরন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০



গাজীপুর বিএআরআই এর পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) কৃষিবিদ মোঃ হাবিবুর রহমান শেখ, ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক ড.বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, বিএআরআই ফরিদপুরের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত বৈজ্ঞানিক সহকারীবৃন্দ
জিল্লুর রহমান রাসেল, ফরিদপুর প্রতিনিধি:

খামার পদ্ধতিতে গবেষণার মাধ্যমে কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে সমতল ইকো-সিস্টেম প্রকল্পের আওতায় বিএআরসি এর এনএটিপি ফেজ ২ এর অর্থায়নে ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ ফরিদপুরের আয়োজনে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের শোলাকুন্ডু গ্রামে এ কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বিকেল ৫ টায় ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর বিএআরআই এর পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) কৃষিবিদ মোঃ হাবিবুর রহমান শেখ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক ড.বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস। এছাড়া উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও বিএআরআই ফরিদপুরের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত বৈজ্ঞানিক সহকারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিএআরআই ফরিদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এফ এম রুহুল কুদ্দুস।
প্রধান অতিথি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বসতবাড়ীর পতিত জায়গাগুলো সবজি ও ফল চাষের আওতায় এনে সবজি ও ফল উৎপাদন বৃদ্ধি করা। যাতে কৃষক তার পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পুরণ করে উৎপাদিত অতিরিক্ত সবজি, ফল বাজারে বিক্রি করে লাভবানও হতে পারে। ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ সে লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে।
ড.সেলিম আহম্মেদ জানান, করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই কর্মহীন, এর মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যাদের বাড়ীতে পতিত জমি আছে কিন্তু সঠিক প্রশিক্ষণ ও আনুষঙ্গিক সহযোগীতা পেলে এরা কিছুটা হলেও দুঃখ লাঘব করতে পারবে। সে লক্ষ নিয়ে শোলাকুন্ডু এলাকার ১২ টি পরিবারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সবজি ও ফলের বাগান করার পাশাপাশি হাঁস মুরগী, গরু ছাগল পালন ও মৎস চাষের প্রতিও আগ্রহী করে গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা প্রথমে এমন ১২ টি পরিবারকে সিলেক্ট করি যারা কোন কাজ কর্ম করছিলো না এবং এদের বাড়ীর সামনে পিছনে বেশ কিছু জমিও ছিলো। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি ও অন্যান্য সুবিধাদি দিয়েছি। এখন এরা সকলেই বেশ ভাল অবস্থায় রয়েছে। আজ শতাধিক নারী ও পুরুষের মাঝে বারি ৪ আম, মাল্টা, পেয়ারা, বিচি ছাড়া লেবু ও পেঁপের চারা বিতরণ করা হচ্ছে। তারা যাতে এসব গাছের সঠিক পরিচর্যা করতে পারে সে বিষয়ে আমাদের কর্মকর্তাগণ নিয়মিতভাবে খোজ খবর রাখেন।
উপকারভোগী কৃষক মানিক জানান, আমরা দরীদ্র কৃষক নিজেদের তেমন জমি নাই। বাড়ীর সামনে পিছনে যে জমি ছিলো তাতে জঙ্গল ছিলো। স্যারেরা এসে আমাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ দিছে, সার, বীজ, গাছ দিছে। তারপর আমরা জঙ্গল পরিস্কার করে এই জমিতে জৈব সার দিয়ে গাছ লাগাইছি। পেঁপে, ঢেড়স, বিভিন্ন শাক ও ফলের গাছ লাগাইছি। আমরা বাড়িতে এসব চাষ করে নিজেদের পুষ্টি চাহিদা পুরন করে কিছু আবার বাজারে নিয়ে বিক্রিও করতে পারি। এখন আমারা সবজি, ফলও পাইতেছি আবার টাকার অভাবও দুর হইছে। এ উদ্যোগকে আমরা কৃষক কৃষাণীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।

বাংলাদেশ সময়: ২২:১৮:৪৯   ৬৬০ বার পঠিত   #  #  #