মঙ্গলবার, ৯ জুন ২০২০

‘লকডাউন’ শিথিল করা হবে বিরাট ঝুঁকির কাজ: আন্তর্জাতিক গবেষণা

Home Page » জাতীয় » ‘লকডাউন’ শিথিল করা হবে বিরাট ঝুঁকির কাজ: আন্তর্জাতিক গবেষণা
মঙ্গলবার, ৯ জুন ২০২০



প্রতীকি ছবি

স্বপন চক্রবর্তী.,বঙ্গ-নিউজ: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াভহতা সারা বিশ্ব হতবাক হয়ে দেখছে। এত মৃত্যু স্মরনাতীত কালে মানুষ দেখেনি। মৃত্যু যেমন বাড়ছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। কিন্তু তা কোন প্রতিষেদক ঔষধ বা ভ্যাকসিন আজও আবিষ্কৃত হয়নি। মানুষ শুধুই অসহায় হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সহ অনেক দেশ লকডাউন শিথিল করতে চলেছে। কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া রোধে জারি করা ‘লকডাউন’ বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। এখন বিধিনিষেধ শিথিল করাটা বিরাট ঝুঁকির কাজ হবে বলে আন্তর্জাতিক দুটি গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

এ নিয়ে একটি গবেষণা হয়েছে লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজে। গবেষণায় যৌথভাবে নেতৃত্ব দেওয়া সামির ভাট সোমবার সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “সব হস্তক্ষেপ ও সব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বাদ দেওয়া হলে সেকেন্ড ওয়েভের আশঙ্কা খুব বাস্তব।”

লকডাউনের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশই নতুন কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা কমায় বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু করেছে।

ইমপেরিয়াল কলেজের এই গবেষণায় ১১টি ইউরোপীয় দেশের লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পদক্ষেপগুলোর প্রভাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এগুলো “যথেষ্ট পরিমাণে প্রভাব ফেলেছিল”, যা মে মাসের শুরুর দিকে সংক্রমণ বাড়ার হার কমাতে সহায়তা করে।

ভাট জানান, ঝুঁকি শেষ হয়ে গেছে আর দেশগুলোর বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এসে পড়েছে – এমন ধারণা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে। “আমরা কেবল এই মহামারীর শুরুতে আছি।”

ইমপেরিয়ালের গবেষণা দলটির হিসেবে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ব্রিটেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে যা দেশগুলোর মোট জনসংখ্যার ৪ শতাংশ।

ন্যাচার সাময়িকীতে প্রকাশিত অন্য গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ইরান, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউন জারির ফলে ৫৩ কোটি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে বেঁচেছে।

গবেষকরা বলছেন, লকডাউন ব্যবস্থা জারির আগে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণ ইরানে দিনে ৬৮ শতাংশ হারে এবং অন্য পাঁচটি দেশে ৩৮ শতাংশ হারে বেড়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটি যৌথভাবে নেতৃত্ব দেওয়া সলোমন সিয়াং বলেন, “ওই নীতিমালাগুলো ছাড়া আমরা হয়তো পুরোপুরি ভিন্ন একটা এপ্রিল ও মে মাস দেখতাম।”

বাংলাদেশ সময়: ১০:১৫:২২   ৬১৪ বার পঠিত   #  #  #  #