শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০

“রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন“ -জালাল উদ্দীন মাহমুদ

Home Page » বিনোদন » “রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন“ -জালাল উদ্দীন মাহমুদ
শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০



জালাল উদ্দীন মাহমুদ

১০০ তম পর্ব– (৩য় খন্ড-১৫তম সিরিজ)

সপ্তপদী মার্কেট শাখা ,বগুড়া —-

চরিত্রের অপবাদ-৮ (শেষ)

- খেয়াল করে দেখ আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটাই এমন যে, কোনোভাবে মেয়েদের পা পিছলে গেলে তাকে নিয়ে টানা-হ্যাছড়া শুরু হয়ে যায়। একইক্ষেত্রে পুরুষরা ভুল করলে সেটা নিয়ে তেমন কথা হয় না কিন্তু। মনে হচ্ছে আপা আমাকে ইনডাইরেক্ট আক্রমণ করতে যাচ্ছেন। আমি আর আলোচনা দীর্ঘায়িত করতে চাইলাম না । ঝানু সাংবাদিকের মত শেষ প্রশ্নটা করলাম।
একজন দীর্ঘ অভিজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত মহিলা চাকুরীজীবী হিসেবে কর্মজীবী মহিলাদের প্রতি এ বিষয়ে আপনার পরামর্শ কি ?
-দেখ আমি কিন্তু এখনও অবসর নেইনি। ব্যাংকের চাকুরী জীবন শেষ করে অন্য একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে এখনও জব করছি। সেখানেও অনেক মহিলা কর্মকর্তা আছে। তাদেরকেও আমি এসব ব্যাপারে বলে থাকি।
- এ দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকেই আপনি সারাদেশের কর্মজীবী মহিলাদের জন্য যদি কোনও পরামর্শ দিতেন –
—–কোথায় যেন পড়েছিলাম-বর্তমানে সারাবিশ্বে প্রতি দশজন নারীর মধ্যে নয়জন নারীই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে যৌন হয়রানির শিকার হন। তাই জীবন চলার পথে মেয়েদের প্রতিটি পা ফেলতে হবে অত্যন্ত দেখে শুনে। মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়াটা অন্যায় কিছু নয়। তবে কারও সঙ্গে মিশতে হবে তাকে জেনে-শুনে। মনে রাখতে হবে একটা ভুল সারা জীবনের কান্না । এ ধরনের সম্পর্কে কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউই সুখী হয় না। এ ধরনের বিবাহিত পুরুষরা কখনোই মহিলাটির জন্য নিজের স্ত্রীকে ত্যাগ করে না।
-তা তো বুঝলাম। কিন্তু কেউ যদি ইতোমধ্যেই এ ধরনের অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়ে থাকে –তার ব্যাপারে আপনার কি পরামর্শ?
-এ ধরনের সম্পর্কে ইতোমধ্যেই কেউ জড়িয়ে গিয়ে থাকলে নিজের মনকে প্রশ্ন করতে হবে এই সম্পর্কের ভবিষ্যত কি এবং সাময়িক উত্তেজনাবশতঃ কেন সে এমন একজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে যে কোনদিনও তার নিজের হবে না। আপা যেন অনেকটা উত্তেজিত কণ্ঠে জবাব দিলেন।
আপার বাসার খাবার টেবিলে খাবার অনেকক্ষণ ধরেই সাজানো ছিল । আপা বললেন অনেক কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে আর কোনও কথা নয়। এবার চারটে খেয়ে নাও। বুঝলাম আপা সূচনার মতই বিষয়টির উপসংহারও এড়িয়ে গেলেন। কি আর করা ,কতবার যে আপার বাসায় খেয়েছি –সে প্রসঙ্গ তুলে খেতে বসে পড়লাম।
খেতে খেতে ‘#মি টু’ আন্দোলন এর কথা মনে পড়ল । কিন্তু আপাকে আর কোন প্রশ্ন করার তাগিদ আমি নিজের মধ্যেই খুঁজে পেলাম না।আপাও এ ব্যাপারে আর কথা বলতে নারাজ। তবে মনে হলো যেটুকু বোঝার আমি বুঝে গিয়েছি। আমার লেখা পড়ে পাঠক-পাঠিকারা আপার ইঙ্গিত হয়তো ধরতে পারবেন। (ক্রমশঃ)
&&&&&&&&&&&&&&&
পরবর্তী পর্ব হাজেরা আপার জল চিকিৎসা।
——————-
ডিসক্লেইমারঃ-”রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন” অনেক পুরনো স্মৃতিনির্ভর আত্মজীবনীমূলক লেখা। স্মৃতি-বিভ্রাট তো ঘটতেই পারে , তাছাড়া মূলঘটনা বর্ণনা করতে কাল্পনিক সংলাপ বা ঘটনা ,ইত্যাদি সন্নিবেশিত হয়ে থাকতে পারে।জ্ঞানমূলক আলোচনা সহজ করতে কল্পিত ঘটনাও থাকতে পারে। তাই বইটির প্রকাশিত এবং প্রকাশিতব্য খন্ড/পর্বগুলোকে উপন্যাসধর্মী আত্মজীবনী হিসেবে গণ্য করতে হবে।কোন কোন ক্ষেত্রে ছদ্মনামও ব্যবহার করেছি। এ সব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কারো কোন আপত্তি থাকলে আমাকে জানালে তা সংশোধন করে নিব।

*****************************

বাংলাদেশ সময়: ৮:৪৩:০৪   ৫৬১ বার পঠিত   #  #