বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০
“রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “ -জালাল উদ্দীন মাহমুদ
Home Page » বিনোদন » “রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “ -জালাল উদ্দীন মাহমুদ৯৯তম পর্ব– (৩য় খন্ড-১৪তম পর্ব)
সপ্তপদী মার্কেট শাখা ,বগুড়া —-
চরিত্রের অপবাদ-৭
- সে মহিলাটির রূপের বর্ণনা শুরু করে। ধীরে ধীরে সে তার চোখ, চুল ও রূপের প্রশংসা করবে। অধিকাংশ মেয়ে নিজের প্রশংসা পুরুষের মুখে শুনতে পছন্দ করে থাকে, আর এই পছন্দের ফাঁদেই তারা অনেক সময় আটকা পড়ে যায়। কিন্তু তার খেসারত তাকে সারা জীবন কেঁদে কেঁদে দিতে হয়।
যা হোক এক সময় পুরুষটি বলে বসে-
“মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী
দেব খোঁপায় তারার ফুল”। বা এরূপ অন্য কিছু।
-তার পর ?
-দুই বন্ধুর অন্তরঙ্গতা থেকে পুরো ব্যাপারটা এক সময় ডেটিং এ রূপ নেয়।
- কিন্তু এ ধরণের পুরুষদের মহিলারা কিভাবে চিনতে পারবে ?
-এ ধরণের পুরুষদের চেনার সহজ উপায় হলো, দেখা হওয়ার সাথে সাথেই যারা বন্ধু হওয়ার জন্য বেশি উদগ্রীব হয়ে পড়ে , তারাই এ ধরণের পুরুষ। এ ধরণের পুরুষরা সব নারীর সাথে বন্ধুত্ব করে না বরং তাঁরা যে নারীর প্রতি বেশি আকর্ষণ বোধ করে কেবল তাদেরকেই বন্ধুত্বের মরণ ফাঁদে ফেলতে চেষ্টা করে । তাঁরা সাধারণতঃ প্রথমে বন্ধুত্বের নাম দিয়ে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে গিয়ে সর্বনাশ করে।
- শুধু কি পুরুষের দোষ নারীদের কোনও দোষ নেই? যে সব পুরুষ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়াচ্ছেন তাদের সঙ্গী কারা? তারাও তো একজন নারী। পুরুষ সমাজের সদস্য হিসেবে আমার অবধারিত প্রশ্ন এবার ছুঁড়ে মারলাম আপার দিকে। (ক্রমশঃ)
********************
ডিসক্লেইমারঃ-”রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন” অনেক পুরনো স্মৃতিনির্ভর আত্মজীবনীমূলক লেখা। স্মৃতি-বিভ্রাট তো ঘটতেই পারে । তাছাড়া মূল ঘটনা বর্ণনা করতে কাল্পনিক সংলাপ বা ঘটনা ,ইত্যাদি সন্নিবেশিত হয়ে থাকতে পারে। জ্ঞানমূলক আলোচনা সহজ করতে কল্পিত ঘটনাও থাকতে পারে। তাই বইটির প্রকাশিত এবং প্রকাশিতব্য খন্ড /পর্বগুলোকে উপন্যাসধর্মী আত্মজীবনী হিসেবে গণ্য করতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে ছদ্মনামও ব্যবহার করেছি। এ সব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কারো কোন আপত্তি থাকলে আমাকে জানালে তা সংশোধন করে নিব।
&&&&&&&&&&&&&&&&&
বাংলাদেশ সময়: ৮:৪৩:০৩ ৫০২ বার পঠিত #রঙ্গে ভরা ব্যাংকিং.স্মৃতিচারণ মূলক #সাহিত্য. জালাল উদ্দীন মাহমুদের লেখা