শুক্রবার, ৩ এপ্রিল ২০২০

“রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “(৩য় খন্ড-৬ষ্ঠ পর্ব)-জালাল উদ্দীন মাহমুদ

Home Page » বিনোদন » “রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “(৩য় খন্ড-৬ষ্ঠ পর্ব)-জালাল উদ্দীন মাহমুদ
শুক্রবার, ৩ এপ্রিল ২০২০



 জালাল উদ্দীন মাহমুদ

৯১তম পর্ব–
সপ্তপদী মার্কেট শাখা ,বগুড়া –

– , গোডাউন কিপার -বাকী বিল্লাহ (৪)
একদিন আমি আমার বিষয় -সম্পত্তি যা আছে সব বাকীকে নগদে লিখে দিতে চেয়ে ছিলাম। সে কাহিনি এখন বলতে চাই।

কিছু দিন থেকেই লক্ষ্য করছিলাম চর্বি জাতীয় খাবার খেলে পেটে অস্বস্তি সহ ব্যাথা হয়। কখনো কখনো বমি হয়। জ্বরও আসে। তাই আমি চর্বিজাতীয় খাবার অ্যাভয়েড করতাম। সেদিন বাসায় সকালে কি যেন কি কারনে চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেয়েছিলাম। অফিসে পৌঁছার ঘণ্টা দুয়েক পর আচমকা তলপেটের উপরের ডান পাশে তীব্র ব্যথা শুরু হলো। সাথে বোধ হয় জ্বরও আসলো। ব্যথা আস্তে আস্তে পীঠের দিকেও যেতে লাগলো। ভীষণ অস্বস্তি লাগছিল। ম্যানেজার স্যার সেদিন ছুটিতে। কাউকে কিছু বলতেও পারছিলাম না। সামনে বাকী বিল্লাহ ছিল। বাকী বিল্লাহকে বললাম বাকী আমাকে এখনই বাসায় পৌঁছে দিন। তাড়াতাড়ি। অন্য গোডাউন কীপার শাহজাহানকে কোনমতে বুঝিয়ে বলে গেটের দিকে হাঁটা শুরু কললাম। ব্যাংকে বেশ ভিড় । ভীড়ের কারণে সেকেন্ড অফিসার আনোয়ারা ম্যাডাম সিটে আছে কিনা তা বুঝতে পারলাম না। ঋণ বিভাগের জন্য ব্যাংকের এক কোনায় আলাদা এটা চেম্বার ছিল ,সেখানে আমি বসতাম। সেজন্য এবং ভিড়ের কারনে আমি যে বেদনায় কাতরাতে কাতরাতে বের হচ্ছি তা বোধহয় কারোর নজরেও পড়ল না। আমি কোন রকমে বাকীর কাঁধে ভর দিয়ে রিকশায় উঠেই বাকীর কোলে লুটিয়ে পড়লাম।

সম্বিৎ ফিরে পেয়ে দেখি আমি তিন কী চার তলার একটা রুমের জানালার পাশের একটা বেডে সফেদ সাদা বিছানার উপর শুয়ে আছি। আর জানালা দিয়ে নীল আকাশের সাদা সাদা মেঘের মধ্য দিয়ে আমাদের এ বিল্ডিং উড়ে চলেছে। পরম প্রশান্তি আমার মনে। পাশের বেডে দেখি বাকী বিল্লাহ বসে আছে। আমি ডাকলাম তাকে

- বাবা, বাকি বিল্লাহ।
জ্বী ,জ্বী স্যার বলেন। আমার কাছে এসে বসে কপালে হাত রেখে বাকী বলল এখন ভালো আছেন স্যার?
- বাবা বাকী আমি এখানে কেন? আমরা কোথায় যাচ্ছি ?
-স্যার আপনার অসুখ বেশি দেখে আমি আপনাকে এ ক্লিনিকে ভর্তি করায়েছি। ক্লিনিকের ম্যানেজার আমার দেশি। খুব ভাল মানুষ। আমরা এক সাথে তাবলীগ জামাতে যাই। আপনি এখন ভালো আছেন স্যার ?
-আমি খুব ভালো আছি বাবা বাকী। আপনি খু-উ-ব ভালো মানুষ বাবা।
- আপনি রেস্ট নেন স্যার। আমি পাশের বেডে বসি। বাকী পাশের বেডে যেয়ে বসল।
- বাকী, আপনি খুব ভালো। কেন জানি না আমার কেবলই প্রশংসা করতে ইচ্ছে করছিল।
- স্যার এখন কথা না বলে একটু রেষ্ট নেন। কিছুক্ষণ পরেই মাগরিবের আযান দিবে ,আমি কি আপনার বাসায় ও ব্যাংকে একটু সংবাদ দিয়ে আসব স্যার ?
এ ধরনের দুনিয়াদারির কোনও কথা বলার প্রবৃত্তি বোধ হয় আমার ছিল না তখন। আমি জানালা দিয়ে আবার তাকিয়ে দেখলাম মেঘের ভিতর দিয়ে বিল্ডিংটা তখনও উড়ে চলেছে। আমার চোখে তখনও ঘুম ঘুম ভাব। পৃথিবীতে ব্যথা বেদনা দুঃখ কষ্ট বলে যে কিছু আছে তা কেন জানি আমি ভুলে গেলাম। মনে হলো আমি দেহ শুণ্য এক স্বত্ত্বা। এ পৃথিবীতে আমার আর কিছুরই প্রয়োজন নাই। ভাবতে ভাবতেই মনে হয় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

এক সময় ঘুমের ঘোর হাল্কা হয়ে আসল। ঘুমঘুম ভাব নিয়েই জোরে কিন্তু মোলায়েম স্বরে হাঁক ছাড়লাম।
- বাবা বাকী বিল্লাহ।
- জ্বী স্যার।
- আপনি খুব ভাল। এ পৃথিবীর সবাই খুব ভাল। বাবা-মার দিকে খেয়াল রাখবেন বাবা। তাদের চেয়ে আপন এ দুনিয়াতে কেউ নাই। টাকা-পয়সা হাতের ময়লা বাবা এর কোনও দাম নাই,এর কোনই দাম নাই।
-স্যার আপনি আরো একটু রেস্ট নেন। এখনই এশার নামাজের আযান দিবে। আমি শুনে এসেছি এশার নামাজের পরপরই আপনাকে রিলিজ দিবে। কারন আপনার আর ব্যখা নাই । পরে কিছু পরিক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা দিবে। কিন্তু এ ধরনের দুনিয়াদারির কোনও কথা বলার প্রবৃত্তি বোধ হয় আমার তখনও ছিল না । আমার মনের মধ্যে হাজী মোঃ মহসীনের আদর্শ ভর করেছে।

-আমার ব্যাংকে যা টাকা- পয়সা আছে, গ্রামে যা জায়গা- জমি আছে এবং শহরে যে বাড়ী- ঘর আছে সব আপনাকে দিয়ে দিলাম। আপনি শুধু আমার কাছে এসে বসেন। আমার সব সম্পত্তি আজ থেকে আপনার।
- স্যার আপনি এসব কি বলছেন (কাঁদতে কাঁদতে রুম থেকে বের হয়ে গেল এবং একজন নার্সকে নিয়ে এল)।
- সিস্টার সিস্টার দেখেন আমার স্যার বোধ হয় পাগল হয়ে গেছে। সিস্টার সব শুনে বাকীকে বলল ভয় পাবেন না। উনার ব্যথা দ্রুত কমানোর জন্য অন্য সব ঔষধের সাথে মরফিন ইনজেকশন দেয়া আছে। মরফিন ট্যাবলেট দিলে ৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘোর কেটে যেত। কিন্তু উনি তখন মুখ খুলছিলেন না দেখে মরফিন ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। উনার আর ব্যথা- বেদনার অনুভূতি নাই। উনি এখন অন্য জগৎ এ আছেন। তবে বার ঘণ্টা পার হলে এ ঘোর কেটে যাবে। মরফিন ইনজেকশন কথাটা শোনা মাত্রই বাকী চিৎকার করে কান্না শুরু করে দিল। সিস্টার বাকীকে বেড থেকে নেমে নেমে চেয়ারে বসতে বলল। সিস্টার একজন ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে এসে তার পরামর্শে মনে আরেকটা ঘুমের ইনজেকশন দিল। আমি আবার ঘুমিয়ে পড়লাম।

রাত ১১ টার পর উঠে বিছানায় বসলাম। আমার দিকে তাকিয়ে বাকী হাসি হাসি মুখে বলে উঠল –এই তো স্যারকে এখন সুস্থ মনে হচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ। বাকী রুম থেকে বের হয়ে যেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই রিলিজ অর্ডার নিয়ে আসল। আমি বললাম –ক্লিনিকের বিল ? বাকী বলল –কাল দিলেও হবে।

বাকী আমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসল। তখন আমি ভালো। অফিস থেকে বাসায় আসতে মাঝে-মধ্যে এমনিতেই আমার রাত ১০টা বাজে। তাই কেউ উদ্বিগ্ণ ছিল না। কিন্তু এ অসুখের খবরে সবাই উদ্বিগ্ণ হয়ে উঠল। বাকীর কাছ থেকে পুরা ঘটনা শুনলো। বাকী বেশ রসিয়ে রসিয়ে সব বলল। যদিও আমি সব মনে করতে পাছিলাম না , কিন্তু সত্যবাদী বাকী যে মিথ্যা বলে না –এটা সবাই জানতো। আমার ঘোরের মধ্যে থাকার সময়ের ঘটনা বাকীর মুখ থেকে শুনে আমার মুখস্থ হয়ে গেল। অনেক হাসলাম আমি।

বাকী কেন বাসায় সংবাদ দেয়নি এ নিয়ে বাকীকে বাসায় কিছু কৈফিয়ত দিতে হলো । তাছাড়াও রাতের খাবার শেষ করে যেতে যেতে বাকীর বোধহয় বেশ রাতই হয়েছিল সেদিন।

পরের দিন অফিসে ঢুকতেই আনোয়ারা আপা ডেকে জিজ্ঞাসা করল কি হয়েছিল কাল তোমার? বাকীই আমার হয়ে উত্তর দিল। এখানেও বেশ বেশ রসিয়ে রসিয়ে বলল। অসুখ হয়েছিল বুঝলাম –কিন্তু তুমি বাকিকে সব সম্পত্তি লিখে দিতে চেয়েছিলে কেন ? আমি বললাম –জানি না।
পাশেই বসে ছিল আমার পূর্ব পরিচিত একজন মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভ। ডি ডি করতে এসেছে। সে বলল-এটা মরফিন ইনজেকশন দেবার কারণে।
আপা বললেন-মরফিন তো একটা মাদক দ্রব্য।
আমি ভাবলাম-মাদক দ্রব্য আমাকে কেন দিবে? সে সময় মরফিন সম্পর্কে আমাদের তেমন কিছু জানা ছিল না।
সে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভকে আমি আমার চেম্বারে নিয়ে “মরফিন” সম্পর্কে জানতে চাইলাম। সে বলল আগামি কাল সে আর একজনকে নিয়ে আসবে এবং সে নাকি ভাল বলতে পারবে। আমি যেন কাল অফিস শেষে বাসায় না যাই। একটু দেরি হতে পারে।
পরদিন। ছুটি শেষে ম্যানেজার স্যার যোগদান করেছেন। আনোয়ারা আপা আমার অসুখের বিষয়ে তাকে বলায় –তিনি আমাকে ও বাকীকে ডেকে সব বৃত্তান্ত জেনে নিল। এ বৃতান্ত এভাবে বারবার বলাতে আমার মাথাতেও স্থায়ীভাবে আসন গেড়ে বসল। মরফিন সম্পর্কে ম্যানেজার মোজাহার স্যারেরও অনেক জানার আগ্রহ দেখলাম। অফিস শেষে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভ ও তার সঙ্গী আসলে আমরা ম্যানেজার স্যারের চেম্বারেই বসলাম।
-মরফিন জিনিসটা আসলে কী ? ম্যানেজার স্যার ডাইরেক্ট প্রশ্ন করলেন।
-পপি ফুল বা পপি গাছের নাম শুনেছেন ? মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভ এর সাথি জানতে চাইল।
-শুনেছি বোধ হয় কিন্তু সে কথা পরে হবে, আগে মরফিন সম্পর্কে বলেন ? ম্যানেজার স্যার বললেন।
- সেটাই বলব। তবে শুরু করতে হবে পপি গাছ দিয়ে।
পপি একই সাথে বিখ্যাত এবং কুখ্যাত একটি গাছ। পপি বিখ্যাত তার ফুলের জন্য। প্রজাতি ভেদে পপি ফুল সাদা, পিংক, লাল ও পার্পল রঙের হয়। ফুলের পাপড়িগুলো রেশমের মতো কোমল। পপির ফলের বীজগুলি তরকারি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিজের নাম পোস্তদানা। রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করতে পোস্তদানা আমরা ব্যবহার করে থাকি। পোস্ত বীজ আস্ত অথবা গুঁড়ো অবস্থায় বিভিন্ন খাদ্যে মশলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পপি গাছ কুখ্যাত এ জন্য যে এ গাছের ফল থেকেই তৈরি হয় সর্বনাশা মাদক আফিম। পোস্ত হল শুকনো ফলের বীজ। আর ওই ফলটিরই কাঁচা অবস্থায় খোসার নির্যাস হল আফিম।এর পর বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অন্যান্য উপজাত জৈব রাসায়নিক দ্রব্য বানানো হয়।এটি থেকে হিরোইন ছাড়াও মরফিন পাওয়া যায়, যা ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

-ঔষধ হিসেবে এর কাজ কী? আমি জানতে চাইলাম।
-এটি বেদনানাশক বা ব্যথা কমানোর ঔষধ যা বেদনানুভূতিনাশক; এটি বেদনাবোধের অনুভূতিকে অসাড় করে দেয় ।সেন্ট্রাল স্নায়ুতন্ত্র এর উপর উত্তেজনাপূর্ণ বা উপকারী প্রভাব ফেলতে পারে।
- মরফিন ছাড়া তো আরো অনেক বেদনা নাশক ঔষধ আছে।
- তা আছে। তবে মরফিনের এত জনপ্রিয়তার কারণ এর মতো ব্যথা কমানোর ক্ষমতা অন্য আর কোনও ঔষুধের নেই। তাছাড়া এটি খুব সস্তার ঔষধ। মরফিন সম্পর্কে বলা যায়- ম্যাক্সিমাম রিলিফ উইদ মিনিমাম কস্ট।
এ সময় গলা খাকারি দিয়ে বাকী কথা বলে উঠল।
-স্যার আমি শুনেছিলাম ডাক্তার যখন বুঝতে পারে এ রোগিটা মারা যাবে তখন তাকে মরফিন ইন্জেকশন দেয়। স্যারকে মরফিন ইন্জেশন দেয়া হয়েছে শুনে আমি খুব কেঁদেছিলাম।
- দেখেন ভাই , অনেকে এ কথা বলে যা ঠিক নয়। এমন কি মরফিনের ডোজ খেলে বেদনাহীন মৃত্যু হয় কি হয় না এ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে কিন্তু এর সঠিক ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেনি।মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভ বলল।
আমার আবার সাহিত্যের দিকে একটু করে ঝোঁক ছিল।’ আমি বললাম আজ থেকে প্রায় দুই হাজার ৭০০ বছর আগে গ্রিক অন্ধ কবি হোমার দুইটি মহাকাব্য লিখেন ইলিয়াড, আর ওডিসি।
হোমারের মহাকাব্য ওডিসিতে রানী হেলেনকে মিশরীয় রানীর দেয়া উপহারটি এক ধরনের “অপিয়াম” সমৃদ্ধ ঔষুধ ছিল বলে ধারণা করা হয় যা কিনা বিস্মৃতি আনায়নে সক্ষম। এই “অপিয়াম” থেকেই পরবর্তীতে মরফিন বানানো হয়। আদি কাল থেকেই এ মরফিন জাতীয় জিনিস প্রচলিত ছিল বোঝাতে আমি এ প্রসঙ্গটি তুললাম বটে, কিন্তু আমার এ কাহিনীর দিকে কারো মনোযোগ দিতে দেখলাম না।
বরং মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভ বলল , জালাল ভাইয়ের ভাগ্য ভাল মরফিন সেখানে ছিল। মরফিনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা এটি ঠিকমতো পাওয়া যায় ন। এটা ভুলে গেলে চলবে না যে মরফিন একটি নেশার ওষুধও বটে। সুতারং এটি খুব সহজলভ্য হলে সমাজের ক্ষতি হতে পারে। যেহেতু ক্যান্সার চিকিত্সায় মরফিন ছাড়া চলে না, তাই সমস্ত ক্যান্সার হসপিটালে মরফিন পাওয়া দরকার। বাস্তবে কিন্তু তা পাওয়া যায় না।
মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভ এবং তার সাথি মনে হয় আজ বেশ প্রস্তুতিই নিয়ে এসেছিল। আরো কিছু বলতে চাচ্ছিল। কিন্তু ম্যানেজার স্যারের বাসায় ফেরার তাড়া ছিল। আমারও কিঞ্চিৎ তাড়া ছিল। ম্যানেজার বললেন জালালের সব সম্পতি বাকী বিল্লাহকে লিখে দেবার মত এত উদার হবার আর বাকীর কান্নাকাটির মূল কারণ যে মরফিন তা আমি বুঝতে পারছি। আর বাকী বিল্লাহ আপনার জালাল স্যার কি এখনও আপনাকে বাবা বাকী , বাবা বাকী বলে ডাকে ?
-না আর ডাকে না স্যার। সবাই হেসে উঠল । আমি ভাবলাম এটার কারনও কি ঐ “মরফিন” ? হবে হয়তো। (ক্রমশ)

*************************************************************************

বাংলাদেশ সময়: ২১:১২:৩৮   ৯৩৯ বার পঠিত   #  #