শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
শহিদদের বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক সকল প্রাণে
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » শহিদদের বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক সকল প্রাণে
বছর ঘুরে এলো আবার শহিদ দিবস তথা ভাষা শহিদ দিবস।এই বিষয়টা একদিকে যেমন আনন্দের,পৃথিবীতে ভাষার জন্য এমনভাবে কেউ জীবন দেয়নি, যেকারনে সারা বিশ্বে পালিত হয় আমাদের এই দিবসটি।অন্যদিকে বেদনার। কারন এই দিনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন আমাদের রফিক, শফিক,জব্বার নামে আরো নাম না জানা অনেক ভাই।।তাদের আর্তনাদ কানে ভেসে আসে বার বার এবং এটাই হওয়া উচিত।কারন আমাদের মায়ের ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাঁদেরকে ভুলে আমরা পাষন্ডের পরিচয় দিতে পারিনা। তবে সবদিক বিবেচনায় এই দিনটি আমাদের অনেক তাৎপর্যময় একটি দিন।যে দিনটিতে শুরু হযেছিল আমাদের মুক্তির আন্দোলনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সেই দিনটির তাৎপর্যের শেষ হবে কেন? বলার অপেক্ষা রাখেনা আজকের এই বঙ্গভূমি বাংলাদেশ সেটা ৫২ ‘র ভাষা আন্দোলনের অনেকটা ফসল।কারন ভাষা আন্দোলনে সফলতাই আমাদেরকে পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্ষেত্রে অনেকটা সাহস যুগিয়েছে।তাই তো আজ প্রাণ খুলে গাই “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি,আমি কি ভুলিতে পারি”। সত্যি তাই,আজকের পড়া লেখা,জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা কোন কিছুই সুষ্টুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হতোনা যদি মায়ের ভাষা ব্যবহারের অধিকার ফিরে না পেতাম।তাইতো আজ মুখে মুখে শহিদদের বার্তা,শহিদ ভাইয়েরা আমাদের জন্য যে আত্ম ত্যাগের শিক্ষা দিয়ে গেছেন তা ছড়িয়ে পড়ুক সকল প্রাণে।হে, দেশের আবাল বৃদ্ধ বনিতা কেউ যেনো শহিদ দিবস পালন থেকে বিরত না থাকে,স্কুল কলেজের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেনো দিবসটি সম্পর্কে সম্মখ ধারণা রাখতে পারে এই ব্যাপারে সকলে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।শহিদরা চেয়েছিলেন আমাদের মায়ের ভাষা আমরা যেনো নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে পারি,তাই আমাদের উচিত হবে সর্বক্ষেত্রে বাংলাভাষার মর্যাদা রক্ষা করা,কোন ক্রমেই যেনো বাংলা ভাষার অমর্যাদা তথা বিকৃতি না হয়, সেদিকটা যেনো সবাই খেয়াল রাখি।
সবশেষে সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনা করে লেখাটি শেষ করছি।শহিদ দিবস অমর হোক।
লেখক
জীবন কৃষ্ণ সরকার
কবি ও প্রাবন্ধিক
সভাপতি,হাওর সাহিত্য উন্নয়ন সংস্থা(হাসুস) বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩২:৩০ ৭১৭ বার পঠিত