শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৩

৩৪৫ কর্মকর্তা হলেন যুগ্মসচিব

Home Page » জাতীয় » ৩৪৫ কর্মকর্তা হলেন যুগ্মসচিব
শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৩



bangladesh-government-logo_7253_0.jpgবঙ্গ- নিউজ ডটকমঃজাতীয় নির্বাচনের আগে পদ না থাকলেও উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব পদে তিন ব্যাচ থেকে ৩৪৫ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।যুগ্মসচিব হলেন ৩৪৫ কর্মকর্তা

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৩২৬ কর্মকর্তার পদোন্নতি সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। বাকি ১৯ কর্মকর্তা লিয়েনে থাকায় তাদের আদেশ পরে জারি করা হবে। পদোন্নতিপ্রাপ্তরা আগের পদেই বহাল থাকছেন।

যদিও এবারের পদোন্নতিতে বিরোধীদলীয় নেতার একান্ত সচিবসহ বিএনপিসমর্থিত কয়েক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে এ প্রক্রিয়াকে নিরপেক্ষ দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন ব্যাচের প্রায় আড়াইশ’ কর্মকর্তাকে ‘অদক্ষ ও দুর্নীতিবাজ’ আখ্যায়িত করে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বঞ্চিত কর্মকর্তারা এটিকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। শিগগিরই তারা তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী কেন তাদের পদোন্নতি বঞ্চিত করা হলো জানতে চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।

সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী মেধাবী ও যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এসিআর ও অতীত জীবন মূল্যায়ন করে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড যাদের সুপারিশ করেছে তাদেরই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। মেধাক্রমে প্রথমদিকে থাকলেও গোয়েন্দা রিপোর্ট ভালো না থাকায় অনেক কর্মকর্তাকে পদোন্নতির আওতাভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। যাদের সব রিপোর্ট ভালো পাওয়া গেছে তাদেরই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুস সোবহান শিকদার  বলেন, “এ পদোন্নতিতে কোনো ধরনের অস্বচ্ছতার ছাপ নেই। পদোন্নতির ক্ষেত্রে যেসব দিক বিবেচনা করার প্রয়োজন তা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অদক্ষ, দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে কাউকে বাদ দেওয়া হয়নি। বরং অনেক অদক্ষ কর্মকর্তা এবার পদোন্নতি পেয়ে গেছেন। যেহেতু পদোন্নতি দিলেও তারা আগের পদে কাজ করবেন- এ বিবেচনায়ই তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।”

বর্তমান সরকারের আমলে যুগ্মসচিব পদে এবারই প্রথম একসঙ্গে এত সংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হলো। এর আগে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি এ পদে ২৬৪ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল। এবার পদোন্নতিতে ৮৪ ব্যাচের ৬০, ৮৫ ব্যাচের ১২১ ও ৮৬ ব্যাচের ১১৫ জন কর্মকর্তাকে বিবেচনায় আনা হয়েছে। তাদের বিবেচনায় আনতে গিয়ে মেধাক্রমে প্রথমদিকে থাকা প্রায় আড়াইশ’ কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

কেন তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এবার যাদের বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগকে অদক্ষ ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তবে তাদের এসিআর ভালো থাকলেও কেন দুর্নীতিবাজ ও অদক্ষ হিসেবে আখ্যায়িত করা হলো তার কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আবার কাউকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টকেই প্রাধান্য দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলে জানা গেছে। এ নিয়েও প্রশাসনে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৪৭:৪৪   ৪০৩ বার পঠিত