বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২০

অযথা রিটকারিরা দেশ ও জনগনের শত্রু

Home Page » বিবিধ » অযথা রিটকারিরা দেশ ও জনগনের শত্রু
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২০



---

 

অযথা রিটকারিরা দেশ ও জনগনের শত্রু।কারন অযোক্তিক রিটের কারনেও অনেক সময় ভালো কোন কাজ সাময়িক সময়ের জন্য হলেও ভোগান্তিতে পরে।এর বাস্তব উদাহরণ হলো সদ্য প্রকাশিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার ফল নিয়ে করা রিটটি।অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে, বুয়েট থেকে সফটওয়ারের মাধ্যমে নির্ভুল ফল প্রকাশের পরও একদল রিট ব্যাবসায়ীর উস্কানি  কারনে সদ্যোত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে যা দেশ ও জনগনের চরম ক্ষতি বয়ে আনছে।শিক্ষকরা একদিকে যেমন যোগ না দিতে পারায় তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে পড়েছেন দুর্বিপাকে অপর দিকে নতুন বছরের প্রথমেই বিদ্যালয়গুলো ভুগছে যা প্রতিষ্ঠনগুলোর জন্য চরম কবষতি বয়ে আনছে।তাই এই ব্যাপারটা সরকারের দ্রুত সুরাহার দাবি রাখছি,সেই সাথে অসাধু রিট ব্যবসায়ীদের থেকে সকলের দূরে থাকার আহ্বান করছি।

 

পাঠকের স্বার্থে প্রাইমারির বিস্তারিত নিয়োগ সংক্রান্ত নিউজটি তুলে ধরা হলো।

 

প্রাথমিকে রিটকারিদের অযথা অর্থ ব্যয়,প্রাপ্তি শূন্য

 

সদ্য ঘোষিত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল বাতিলের কোন সুযোগ নেই।প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা -২০১৩ পর্যালোচনা করে জানা যায় “ধারা ৭ এর “ক” উপধারা মতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলা ৬০%,পোষ্য ২০% এবং পুরুষ প্রার্থী ২০% নিয়োগ দিতে হবে” এই বিধিটির উপর ভিত্তি করেই মূলত রিটকারিরা ফল বাতিলের আবেদনটি করেছেন।কিন্তু একই ধারায় “খ” উপধারায় উল্লেখ রয়েছে “উপজেলা/থানা ভিত্তিক শূন্যপদ অনুযায়ী কোন কোন কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাক্রম অনুযায়ী একই উপজেলার, ক্ষেত্র মতে থানায় উত্তীর্ণ সাধারণ প্রার্থীদের দ্বারা তাহা পূরণ করা হইবে”।তাহলে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়ায় তারা পুরুষ প্রার্থী দ্বারা পুরণ করেছেন, বিধিতেও তা অনুমোদিত।সুতরাং বলাই যাচ্ছে ঘোষিত ফল বাতিলের তেমন সুযোগ নেই।ফলে বলাই যাচ্ছে প্রাথমিকে রিটকারিদের অযথা অর্থ ব্যয়,প্রাপ্তির ঝুলি শুন্য।

 

তাছাড়া বুয়েট থেকে ফল ঘোষনার পরও কেন ফলে এত ত্রুটি থাকবে সে বিষয়টিই এখন জনমনে ঘরপাক খাচ্ছে জনমনে।তাহলে বুয়েটিয়ান  বলতেই কি থাকলো? সদ্য ঘোষিত প্রাইমারি রেজাল্টে বলা হচ্ছে ত্রুটি হয়েছে। যে কারনে আদালত রুল জারি করেছে।আদালতের রুলই যদি সঠিক হয় তাহলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ কর্তারা কি অদক্ষ অযোগ্য? যদি তাই হয় তাহলে তাদের ভুলের খেসারত নিয়োগপ্রাপ্তরা দেবে কেনো? নিয়োগপ্রাপ্তরা অধিকাংশই বিভিন্ন পেশায় ছিল যা ইতোমধ্যেই তারা ছেড়ে দিয়েছে নতুন জবের আশায়।এটাই সত্য,এটাই স্বাভাবিক।এখন যদি কোন কারনে ফল বাতিল হয় তাহলে যারা বাদ পড়বে তাদের কি গতি হবে সেটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।তারা চাইলেই আর আগের পেশায় যেতে পারবেনা এটাই নিশ্চিত।যদি এমন হতো ঘোষিত ফলের ২/৩ দিনের মাথায় ফল বাতিল হতো তাহলে ভিন্ন কথা ছিল।কিন্তু এখন ফল বাতিল করা মানে নিয়োগপ্রাপ্তদের অনেকের রিযিক মুখ থেকে কেঁড়ে নেয়া যা মানবতার সুস্পষ্ট লঙ্গন।তাদের উপর মা-বাবা সহ আত্মীয় পরিজন নির্ভরশীল।তাই বিষয়টি সরকারের দ্রুত সুরাহা করা উচিত।যদি ঘোষিত ফলাফলে ত্রুটি হয়েও থাকে প্রয়োজনে নির্বাচিতদের নিয়োগ দিয়ে প্রাপ্য পোষ্যদের মাঠপর্যায়ে দ্রুত শুন্যপদ সংগ্রহ করে প্যানেল করে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।আশাকরি এই পদ্ধিতে সমস্যাটির সুরাহা দ্রুত হবে এবং কোন পক্ষেরই সমস্যা হবেনা।আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন।

 

লেখক

জীবন কৃষ্ণ সরকার

কবি ও প্রাবন্ধিক

সভাপতি, হাওর সাহিত্য উন্নয়ন সংস্থা (হাসুস) বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪৩:৩২   ১০৭৭ বার পঠিত