শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৩

শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠলো ইংলিশরা

Home Page » খেলা » শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠলো ইংলিশরা
শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৩



england-v-australia.jpgতোহা,বঙ্গ-নিউজ ডটকম:ক্রিকেট নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ তাঁর কখনোই চোখে পড়েনি। ক্রিকেটতীর্থের ডাক উপেক্ষা করতে পারেননি কমনওয়েলথ প্রধান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সাদা জামা, হালকা নীল স্কার্ট আর মাথায় নীল রংয়ের রাজসিক টুপিতে মোহনীয় রানী কাল আলোকিত করেন ক্রিকেটের মক্কা লর্ডস। দুই দলের খেলোয়াড়দের সাথে কুশল বিনিময়েই থেমে থাকেননি, লর্ডসের রয়্যাল বক্সে বসে উপভোগ করেছেন অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের বেশকিছুটা খেলা। শুরুতে রানীকে আনন্দ দেয়ার মত তেমন কিছু করতে পারেনি ট্রেন্টব্রিজ টেস্টে নাটকীয় জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ড। তবে ইয়ান বেল, জোনাথন ট্রট ও জীবন পাওয়া জনি বেয়ার্সটোর ব্যাটে সেই ধাক্কা দিনশেষে ভালোভাবেই সামলে ওঠে স্বাগতিকরা। অথচ সকালে প্রথম আধঘন্টার মধ্যেই রায়ান হ্যারিসের জোড়া আঘাতে মাত্র ২৮ রানে টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় অ্যালিস্টার কুকের দল। লর্ডসের ইতিহাস থেকেই প্রেরণা খুঁজতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। এ মাঠে খেলা ৩৬ টেস্টে ৬টি হারের বিপরীতে ১৬টিতে জয় অজিদের। সিরিজে ফেরার জন্য এর চেয়ে ভালো উপলক্ষ্য বোধ হয় আর হয় না। যে কারণে খেলা দেখতে লন্ডনে ছুটে গিয়েছেন অস্ট্রেলীয় অভিনেতা রাসেল ক্রো, সাবেক উইকেটরক্ষক অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, আর সাবেক অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ তো বেল বাজিয়ে শুরু করেছেন ম্যাচ। তাদের সেই উপস্থিতিকে ভালোভাবেই কাজে লাগান মিচেল স্টার্কের বদলি হিসেবে এ ম্যাচে খেলতে নামা হ্যারিস। ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে পাঁচ বলের মধ্যে ডানহাতি এ পেসার ফিরিয়ে দেন ওপেনার জো রুট ও চার নম্বরে নামা পিটারসেনকে। লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ চেয়েছিলেন রুট। কিন্তু হক আই পদ্ধতিতে দেখা যায় বলটি তার লেগ স্ট্যাম্পে আঘাত করত। ফলে বৃথা যায় রুটের (৬) রিভিউ আবেদন। তিন বল পর হ্যারিসের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল পিটারসেনের (২) ব্যাটের কিনারা ছুয়ে আশ্রয় নেয় হাডিনের গ্লাভসে। অবশ্য এর আগের ওভারেই ম্যাচের প্রথম উইকেটটি আসে ওয়াটসনের হাত ঘুরে। প্যাটিনসনকে সরিয়ে ওয়াটসনকে বোলিংয়ে আনার দু’বলের মধ্যে সুফল পেয়ে যান মাইকেল ক্লার্ক। অজি অলরাউন্ডারের সুইং করে ভেতরে ঢোকা বলটি ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের (১২) পায়ে লাগার পর তর্জনী উঁচিয়ে ধরতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি আম্পায়ারকে। পরপর দু’ওভারের এই তান্ডবে ইংল্যান্ড ষষ্ঠ ওভারেই পরিণত হয় ২৮/৩ এ। সেখান থেকেই প্রাথমিক প্রতিরোধটা গড়েন ৪র্থ উইকেটে ৯৯ রান যোগ করা ট্রট ও বেল। আর কোন উইকেট না হারিয়ে দু’জন লাঞ্চে দলীয় ৮০ রান নিয়ে। লাঞ্চ থেকে ফিরে ১১টি বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের ১৭তম ফিফটি পূরণের খানিক পরই হ্যারিসের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন ট্রট (৫৮)। অন্যপ্রান্তে অবিচল ছিলেন বেল। তাকে সঙ্গ দেয়া বেয়ার্সটো ব্যক্তিগত ২১ রানে পিটার সিডলের বলে বোল্ড হয়েও বেঁচে যান তৃতীয় আম্পায়ারের সহায়তায়। যে বলে বেয়ার্সটোর স্ট্যাম্প উপড়ে দেন সিডল সেটিতে তার পা ক্রিজের বাইরে চলে যাওয়ায় রিপ্লে দেখে নো বলের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। প্যাভিলিয়নমুখী হয়েও ফিরে এসে বেয়ার্সটো পেয়ে যান ক্যারিয়ারের ৪র্থ টেস্ট ফিফটি। অবশ্য ততক্ষণে ১৯তম টেস্ট সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে গেছেন বেল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬৬ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ২৩৪/৪। অবিচ্ছিন্ন ৫ম উইকেটে ১০৭ রান যোগ করা বেল ১৭৫ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে তখন ৮৬ রানে অপরাজিত। সঙ্গী বেয়ার্সটোর সংগ্রহ পাঁচ বাউন্ডারিতে ৫৩ রান।

বাংলাদেশ সময়: ৪:০৫:১৯   ৪৪১ বার পঠিত