সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৯

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

Home Page » শিক্ষাঙ্গন » নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৯



 ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ
“মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ” জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধা দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
“মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ” জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি মোঃ সাব্বির হোসেন তানিম, তানজিল আহমেদ সহ অনান্যরা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষে “মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ” কাজ করে যাচ্ছে এবং সরকারের কাছে ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করে। দাবিগুলো হলো,
১. মুক্তিযুদ্ধা কোটা বহাল করতে হবে, এবং কমিশন গঠন করে কোটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।
২.বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান ও মুক্তিযুদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৩.১লা ডিসেম্বরকে জাতীয়ভাবে “মুক্তিযুদ্ধা দিবস” হিসেবে স্বীকৃতি এবং সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে হবে।
৪. দুর্নীতিবাজ,মাদক ব্যাবসায়ী, শেয়ারবাজার লুটপাটকারী, দেশের শত্রু। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
৫.যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বংশধরদের উপজেলা ভিত্তিক তালিকা দ্রুত প্রণয়ন করতে হবে।
৬.যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বংশধররা যারা সরকারি চাকরিতে বহাল আছে তাদের বরখাস্ত করতে হবে।
৭.যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের বংশধরদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও তাদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের অনূকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
৮. বিভিন্ন সময় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারী এবং বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ - মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষকারীদের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের হলোকাস্ট এ্যাক্ট বা জেনোসাইড ডিনায়ল ল’ এর আদলে রাষ্ট্রদোহী হিসেবে বিচার করতে হবে।
৯. কোটা সংস্কার আন্দোলনে উস্কানীদাতা ও গুজব সৃষ্টিকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে বিদেশী অনুদানে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের দৃষ্টান্ত মূকল শাস্তি দিতে হবে।
১০ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দ্রুত প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
১১. বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজ যেমনঃ কোটা সংস্কার চাই,বাঁশের কেল্লা,বিসিএস আওয়ার গোল’স,অপরাজেয় বাংলা, স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন পেইজ ও গ্রুপে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তিকারী এবং এসব গ্রুপ, পেইজ এডমিন ও মডারেটরদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১:৩১:৩২   ৬০৩ বার পঠিত   #  #  #  #