বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

মহাসড়কের উন্নয়ন কর্মকান্ডের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা, প্রচন্ড দূর্ভোগে জনজীবন

Home Page » প্রথমপাতা » মহাসড়কের উন্নয়ন কর্মকান্ডের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা, প্রচন্ড দূর্ভোগে জনজীবন
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৯



নির্মানাধীন সড়কে চরম দূর্ভোগের শিকার পথ যাত্রীরা
সাব্বির হোসেন সোহাগ, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ- উন্নয়নের মহাসড়কে সারাদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করণে মাওয়া-খুলনা, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক প্রসস্থ্য করণের ব্যাপক কর্মকান্ডে সামান্যতম অনিয়ন্ত্রিত ও অব্যবস্থাপনায় চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্থানীয়, দুরপাল্লার যাত্রীসহ সর্বসাধারণ। ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা মহাসড়ক সরেজমিন পরিদর্শনে দেখতে পাওয়া যায়, মহাসড়কে ছোট-বড় যানবাহনের অভাব না থাকলেও নির্ধারিত স্থানে যাত্রী ওঠা-নামার ব্যবস্থার পরিবর্তন, সড়কের ব্যাপক বেহাল দশা ও ধূলা-বালিতে জরাজীর্ণ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, সড়কের পাশে থাকা দোকান-পাট, বসতবাড়ী-ঘর সহ সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, প্রায় অর্ধশত বাস-মিনিবাস কাউন্টার থাকলেও যাত্রী ছাউনীর ব্যবস্থা, পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা ও মহাসড়ক থেকে সংযোগ সড়কে পারাপারের কোন নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা না থাকায় ও থ্রি-হুইলারের ব্যাপক অনিয়ন্ত্রিত চলাচলে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা, চরম দূর্ভোগ, তিব্র যানজট অতিষ্ট করে তুলছে সকলকে। একাধিক পথচারী, ফুটপাথের দোকানদার, শিক্ষার্থী, যাত্রী, গাড়ীর চালক, অটোচালক ও রিক্সা-ভ্যান চালকের সাথে কথা হলে তারা অনিয়ন্ত্রিত ও অব্যবস্থাপনার জন্য চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে এ অবস্থা থেকে অনিতিবিলম্বে পরিত্রাণের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। মহাসড়কের কর্মকান্ডের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর (ভাঙ্গা) সাথে তাঁর কার্যালয় ও মুঠোফোনে রিপোর্টি লেখা পর্যন্ত বারংবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালনের পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ভাঙ্গা হাই-ওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, বেপরোয়া গতিরোধে স্পিড গান ব্যবহার করে মামলা দেওয়া, মহাসড়কে চলাচলরত থ্রি হুইলার জাতীয় গাড়ী ডাম্পিং এর জন্য ৩২ টি গাড়ী জব্দ করা হয়েছে ইতি মধ্যে, আমি আমাদের ফোর্স নিয়ে হত এবং আহত কম হওয়ার লক্ষে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিমাদ্রী খীসা জানান, হাই-ওয়ের কাজ যেহেতু চলমান, কাজটি শেষ হলে যাত্রী ছাউনী, পাবলিক টয়লেট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সমন্বয় মিটিংয়ে পৌরসভা সংলগ্ন স্থানে বাস টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সরকারী খাসজমি দেখতে বলা হয়েছে। বাস টার্মিনালের মধ্যেই যাবতীয় অসুবিধাগুলির কাজ সম্পন্ন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৩:৩৬   ৭৯৪ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #  #  #  #