রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৩

“নারীমুক্তি: বাংলাদেশের সহযোগিতা চান মালালা ইউসুফজাই”

Home Page » বিশ্ব » “নারীমুক্তি: বাংলাদেশের সহযোগিতা চান মালালা ইউসুফজাই”
রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৩



malala-with-dr-momen.jpgবঙ্গ- নিউজ ডটকমঃ বাংলাদেশে নারী শিক্ষার প্রসারের প্রশংসা করে পাকিস্তানেও তা বিস্তৃত করতে সহযোগিতা চেয়েছেন তালেবান হামলায় বেঁচে যাওয়া কিশোরী মালালা ইউসুফজাই।শনিবার নিউ ইয়র্কে এক ইফতার অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেনের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ বিষয়ে কথা বলেন মালালা।

তার সম্মানেই পাকিস্তান মিশনে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।

মালালা এই অনুষ্ঠানে আসেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টোর শাল পরে, যিনি ২০০৭ সালে নির্বাচনী প্রচারের সময় আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন।

পাকিস্তানে নারীমুক্তির চেষ্টায় বেনজীরের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও অনুষ্ঠানে স্মরণ করেন মালালা। পাকিস্তানে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় উচ্চকণ্ঠ হওয়ায় ‘সচেতন বিশ্বের’ প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

এ কে এ মোমেনের সঙ্গে আলাপচারিতায় মালালা বলেন, জঙ্গিরা বই আর কলমকেই ভয় পায়। তাই বাংলাদেশে নারী শিক্ষার যে ব্যাপক কার্যক্রম চলছে তাকে পাকিস্তানেও বিস্তৃত করতে বাংলাদেশকে আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।

বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়েও প্রশংসা ঝরে এই কিশোরীর কণ্ঠে।

মালালা করেন, “তালেবান জঙ্গিরা আমাকে মেরে সবকিছু স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। দুর্বলতা, ভয় আর আশাভঙ্গের দিন শেষ। নারীদের মধ্যে শক্তি আর সাহস ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। বই আর কলম বদলে দিতে পারে এ পৃথিবীকে।

আগের দিন নিজের ষোড়শ জন্মদিনে জাতিসংঘ দপ্তরে দেয়া বক্তৃতাতেও একই কথা বলেন মালালা ইউসুফজাই, যিনি গত অক্টোবরে পাকিস্তনের সোয়াত উপত্যকায় তালেবান বন্দুকধারীর হামলার শিকার হন।

সব শিশুর জন্য শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার প্রচারাভিযানের অংশ হিসাবে নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ দপ্তরে তাকে বক্তৃতা করার আমন্ত্রণ জানানো হয়।

মালালার বক্তৃতার প্রশংসা করে ড. মোমেন বলেন, তার বক্তব্য গোটা বিশ্বকে অপসংস্কৃতি ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠার সাহস যোগাবে।

রাষ্ট্রদূত মোমেনকে এ সময় জানানো হয়, বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী শিক্ষা কেন্দ্র ছড়িয়ে দিতে মালালা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে।

ওই তহবিলের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মালালা ফাউন্ডেশন স্কুল প্রতিষ্ঠার আগ্রহের কথা বলেন ড. মোমেন।

মালালা ইউসুফজাইকে দেখতে এবং তাকে অভিনন্দন জানাতে শতশত পাকিস্তানি নারীকে পাকিস্তান মিশনের বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। নিজের দেশের এই সাহসী কিশোরীকে ভালবাসা জানাতে এসে তাদের অনেককেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়তে দেখা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ৯:৪৯:১৬   ৪০৯ বার পঠিত