শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৯
এক বছর ধরে বন্ধ নার্স নিবন্ধন পরীক্ষা
Home Page » প্রথমপাতা » এক বছর ধরে বন্ধ নার্স নিবন্ধন পরীক্ষা
বঙ্গ-নিউজঃ এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে নার্সদের কম্প্রিহেনসিভ লাইসেন্স বা নিবন্ধন পরীক্ষা। তাই এক বছর আগে পরীক্ষা শেষ হলেও নার্স হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছেন না আট হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।
এ পরিস্থিতিতে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পরীক্ষা বন্ধ থাকার প্রতিবাদ এবং দ্রুত নিবন্ধন দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করেন তারা। লাইসেন্সিং পরীক্ষা বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় তাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আরও বড় কর্মসূচি দেবেন বলেও তারা হুঁশিয়ারি দেন। সমাবেশে তারা জানান, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এক মামলার জেরে তাদের নিবন্ধন পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে।
সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আবিদা সুলতানা বলেন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট ভর্তির ক্ষেত্রে এইচএসসি ব্যাকগ্রাউন্ড, জিপিএ, বয়স, সেশন, জেলা ও পুরুষ-নারী কোটা বিবেচনা করলেও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এর কোনোটিই মানা হয় না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্সিং স্টুডেন্ট ভর্তির ব্যবস্থা থাকলেও কারিগরিতে তা নেই। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধিভুক্ত সব নার্সিং প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষ থেকে হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস বাধ্যতামূলক হলেও কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে তা নেই। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে নার্সদের কারিকুলামের সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কারিকুলাম কোনোভাবেই যায় না।
তিনি বলেন, কারিগরি বোর্ড নিবন্ধন দাবি করার ফলে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি, বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং কোর্স সম্পন্ন করে আট হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর নিবন্ধন পরীক্ষা দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। আমরা দ্রুত নিবন্ধন পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি।
সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন বলেন, জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নিবন্ধন পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকা আকলিমা শাহনাজ বলেন, কারিগরি বোর্ডের পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের নিবন্ধনের দাবি অযৌক্তিক। তাদের যদি নিবন্ধন দেওয়া হয়, তাহলে নার্সিং শিক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়নে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে। হাসপাতালে সেবার মান ধ্বংস হবে। সেবা গ্রহণে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হবে।