শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৩

“রাবিতে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে অবরোধ”

Home Page » প্রথমপাতা » “রাবিতে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে অবরোধ”
শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৩



ru-blockade.jpgবঙ্গ- নিউজ ডটকমঃ সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মহাসড়ক শনিবারও অবরোধ করেছে একদল শিক্ষার্থী।ঢহাজার খানেক শিক্ষার্থীর অবস্থানের কারণে সকাল ১১টা থেকে আধা ঘণ্টা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।

কোটাবিরোধী এই শিক্ষার্থীরা গত বৃহস্পতিবারও ওই মহাসড়ক কয়েকঘণ্টা অবরোধ করে রেখেছিল।

গত সপ্তাহে ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফলাফল কোটার ভিত্তিতে প্রকাশের পর অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে রাজথে নেমে আসে। বুধবার রাজধানীর শাহবাগে দিনভর সড়ক অবরোধ করে তারা।

পরদিন রাজশাহীসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধ করলেও ঢাকায় পুলিশি বাধায় কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।

বিক্ষোভের মুখে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) বুধবার ফলাফল স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানানোর পরও কোটাবিরোধীদের আন্দোলনে থাকায় এর পেছনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেছে বিভিন্ন সংগঠন।

ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে অবরোধ করার কথা ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। কিন্তু তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি পালনে নিষেধ করে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তারিকুল হাসানের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা হয় বিক্ষোভকারীদের। পরে ১৫ মিনিটের জন্য কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়ে ফটক খুলে দেয়া হয়।

বিক্ষোভরত সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী সোহেল রানা  বলেন, “কোটা প্রথার কারণে মেধার মূল্যায়ন হচ্ছে না। এর প্রতিবাদস্বরূপ আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”

কোটাবিরোধীদের বিক্ষোভ (ফাইল ছবি)।
কোটাবিরোধীদের বিক্ষোভ (ফাইল ছবি)।
কোটা প্রথা বাতিল করে মেধা ও প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে চাকরি ক্ষেত্র তৈরি করা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, তাহলে দেশের মেধাবীরা দেশের বাইরে না গিয়ে এই দেশে সুনামের সঙ্গে কর্মক্ষেত্র উজ্জ্বল করে তুলবে।

সাড়ে ১১টার পর প্রক্টরের কথায় মহাসড়ক ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।

প্রক্টর তারিকুল হাসান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা আপনাদের দাবি শিক্ষামন্ত্রী, পিএসসির চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তারা বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছে। আপনারা শান্ত হন।”

বিক্ষোভের সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশও সেখানে অবস্থান নেয়।

মতিহার থানার ওসি অসিত কুমার ঘোষ  বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা কঠোর হাতে দমন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৯:১৩   ৩৮৮ বার পঠিত