রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ১০০ বস্তা রিলিফের চাল আটক

Home Page » প্রথমপাতা » ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ১০০ বস্তা রিলিফের চাল আটক
রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯



 ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ লিখা ১০০ বস্তা রিলিফের চাল পাচারের সময়ে আটক হওয়া মামলার তদন্ত কাজে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

এ মামলায় প্রকৃত আসামিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং মামলার বাদি নানা ফন্দিফিকির শুরু করেছেন বলে এলাকায় জনশ্রুতি আছে।

এদিকে এ মামলায় এজাহারভুক্ত সাতজন ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। রিলিফের এসব চাল উদ্ধারের সময়ে আটক পাঁচ দুস্থ শ্রমিককে অজানা কারণে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলেও সরকারি এ চাল পাচারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত মামলার এজাহার নামীয় অন্যতম আসামি শাহজাহান ও ওসমান এই দুইজনকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।

জনশ্রুতি রয়েছে, শাহজাহান গ্রেফতার হলে সরকারি এ চাল পাচারের গুমর ফাঁস হয়ে যাবে এবং এতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ফেঁসে যেতে পারেন। তাই ইউপি চেয়ারম্যানের কলকাঠিতে শাহজাহান ও ওসমান নিরাপদে আছেন। এ মামলার বাদি সরাইল থানার এএসআই গোপী মোহন সরকারের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যানের দহরমমহরম রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডির ১০০ বস্তা চাল আটক করে পুলিশ। এসময় দু’টি ট্রাক্টর সহ পাঁচ শ্রমিক শাকিল, রাজন, সাইফুর রহমান, মাসুদ ও তৌহিদ মিয়া ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের হাতে আটক হন। আটক শ্রমিকেরা পুলিশকে জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্যের ছেলে শাহজাহান মিয়ার কথামতো তারা এসব চালের বস্তা শাহজাদাপুর ইউপি ভবন থেকে এনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মামার বাড়িতে মজুত করেন।

এদিকে সরকারি এ চাল উদ্ধারের ঘটনায় সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব ও সেই ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসারকে (রিলিফ অফিসার) কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। পরবর্তীতে তারা তিন কার্য দিবসের মধ্যে নোটিশের জবাবও দিয়েছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখনো দেননি কেউ।

তবে সেই ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা কাজী আবদুল মোমেন জানান, আমি শোকজ এর জবাব দিয়েছি। তিনি দাবি করেন, ভিজিডির রিলিফ বিতরণে ইউপি চেয়ারম্যান নিয়মবহির্ভূত কাজ করেছেন। এসবের আমি কিছুই জানিনা, অথচ চাল বিতরণ করা হয়েছে। এই রিলিফের চাল বিতরণের দায়ভার সম্পূর্ণ চেয়ারম্যানের।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল হক শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, এ মামলায় পুলিশ তৎপর রয়েছে। এটি সরকারি চাল আত্মসাৎ মামলা। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ মামলায় আটক পাঁচজনের সাত দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্তকারী অফিসার আদালতে উপস্থিত থেকে এ রিমান্ড শুনানিতে অংশ নিবেন। আসামি শাহজাহান মিয়াকে গ্রেফতার করতে আমরা ইতোমধ্যে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছিলাম। তবে তাকে গ্রেফতারে আমরা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৬:১২   ৬৬৭ বার পঠিত   #  #