মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চা বাগানে অতিমাত্রায় ঔষধ ব্যবহারে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » চা বাগানে অতিমাত্রায় ঔষধ ব্যবহারে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯



ফাইল ছবি
বঙ্গ-নিউজঃ চা বাগানে ছিটানো হয় অতিমাত্রায় ছত্রাকনাশক কপার অক্সিক্লোরাইড ওষুধ। এর অতিমাত্রার ফলে চা গাছে ক্ষতিকর প্রভাবসহ রয়েছে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির দিকও। এমন রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে পরিবেশের উপরও পড়ছে মারাত্মক প্রভাব। বিডি নিউজ২৪.কম
কমলগঞ্জ উপজেলার মিরতিঙ্গা চা বাগানের একটি সেকশনে সম্প্রতি এভাবে অতিমাত্রায় ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করা হয়েছে। দ্রবণটি চায়ের পাতায় শুকিয়ে সাদা রং ধারণ করেছে। সেকশনের বেশ কিছু জায়গায় এমন বেশি মাত্রায় কীটনাশকের অবস্থা বিরাজ করছে।
চা বাগানের সর্দার বা কীটনাশক শ্রমিকরা ভুলবশত এমন ছত্রাকনাশক মিশ্রণটি প্রয়োগ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোনো নজরদারি।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) জানায়, কপার অক্সিক্লোরাইড মূলত ছত্রাক আক্রমণ ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়। চা পাতার বাড়ন্ত পর্যায়ে পাতার ঝলসানো রোগ ও পাতার দাগ রোগ দূরীকরণে এটি ব্যবহার করা হয়। এটি সুনির্দিষ্ট পরিমাণে পানির সঙ্গে সংমিশ্রণ না করে মাত্রাতিরিক্ত বা অতিমাত্রায় ব্যবহার করা হলে এর ক্ষতির প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রায়হান মজিদ হিমেল বলেন, চা গাছের পাতায় স্প্রে করলে সাধারণত সাদা সাদা দাগ থাকে। এজন্য আমরা প্রতিটি বাগানকেই সুনির্দিষ্ট মাত্রায় স্প্রে করতে বলে থাকি। তাহলে সাত থেকে দশ দিন পরে যখন পাতা তুলতে আসবে তখন আর চা পাতার উপর এমন দাগগুলো থাকে না।
নতুন কুঁড়িগুলো এক সপ্তাহ বা দেড় সপ্তাহ পর উত্তোলন করা হলে এতোদিনে রৌদ্রতাপ বা বৃষ্টির পানিতে সেই চা গাছের পাতায় জমে থাকা রাসায়নিক পদার্থগুলোর ক্ষতিকর দিকটি আর থাকে না। ফলে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির দিকটি তখন নেই বললেই চলে।

বাংলাদেশ সময়: ২:০৪:১৮   ৮৬০ বার পঠিত   #  #  #  #