বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৩

“উদারপন্থি এল-বেবলায়ি হচ্ছেন, মিশরের প্রধানমন্ত্রী”

Home Page » প্রথমপাতা » “উদারপন্থি এল-বেবলায়ি হচ্ছেন, মিশরের প্রধানমন্ত্রী”
বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৩



sm20130709193326.jpg বঙ্গ- নিউজ ডটকমঃ ঘোষণা দেওয়া হলেও মিশরের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি মোহাম্মদ এল-বারাদিকে।প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুতকারী আন্দোলনের অন্যতম শরিক সালাফিস্ট আল-নূরের আপত্তির কারণে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়া আটকে যায় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধানের।

উদারপন্থি সাবেক অর্থমন্ত্রী হাজেম এল-বেবলায়ি বসতে যাচ্ছেন সেই পদে। মিশরের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নাম প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে এল-বারাদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

ইসলামপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের এ উচ্চপদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। গত বুধবার মুরসিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে আরব বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাংবাদিক আদালতের প্রধান বিচারপতি আদলি মনসুরের নাম ঘোষণা করেন সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।

তবে মুসলিম ব্রাদারহুড এ অন্তর্বর্তী সরকারের বা প্রেসিডেন্টের কোনো সিদ্ধান্তই গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে।

ইতোমধ্যে নির্বাচন নিয়ে প্রেসিডেন্ট যে অধ্যাদেশ জারি করেছে সেটি প্রত্যাখান করেছে দলটি।

মুরসিকে পদচ্যুত করার পর থেকে সহিংসতা বাড়ছে মিশরের। সহিংসতায় প্রায় ৫০ জন মারা গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এল-বারাদিকে নিয়ে তার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের অন্যতম শরিক সালাফিস্ট আল-নূরের আপত্তি ছিল, এল-বারাদি মুরসির একজন চরম বিরোধী। তারা মিশরীয়দের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় একজন উদারপন্থি ও অর্থনীতি ভালো বোঝেন তাকেই প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখতে পান।

মনে করা হচ্ছে, এল-বেবলায়িকে বেছে নিয়ে আল-নূরের দাবিই পূরণ করেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট।

কায়রো ও প্যারিসে পড়াশোনা করেছেন ৭৬ বছর বয়সী বেবলায়ি। অর্থনীতির ওপর ‍অর্জন করেছে ডক্টরেট ডিগ্রি।

দীর্ঘ পেশা জীবনে দেশ ও দেশের বাইরে বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন তিনি।

১৯৮৩ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত মিশরের এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রধান ছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে দেশের সর্বোচ্চ খেতাব নীল শাস পান তিনি।

বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। অর্থনীতির ওপর লিখেছেন বেশ কিছু সংখ্যক বই ও নিবন্ধ।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০১১ সালের অক্টোবরে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন এল-বেবলায়ি। কিন্তু সামরিক কাউন্সেল তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি।

মুরসি পতনের আন্দোলন জুন ৩০ ফ্রন্টে সমর্থন দেন এল-বেবলায়ি।

আইএইএর সাবেক প্রধান এল-বারাদি আন্তর্জাতিক ‍অঙ্গনে পরিচিত একটি মুখ। কয়েক দশক তিনি পশ্চিমা বিশ্বে কাটিয়েছেন। জাতিসংঘে মিশরের কূটনীতিক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। ২০০৫ সালে আইএইএর সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ৮:১০:০০   ৪০০ বার পঠিত