রবিবার, ২৫ আগস্ট ২০১৯
হাসুস’র প্রথম সাহিত্য প্রতিযোগিতায় সেরা ১০ কবি’র কবিতা
Home Page » শিক্ষাঙ্গন » হাসুস’র প্রথম সাহিত্য প্রতিযোগিতায় সেরা ১০ কবি’র কবিতামা জননী
আলহাজ শেখ এমএ ওয়ারিশ।
যতইনা আমি লেখক ও কবি
যতইনা লেখি গাই,
মায়ের লাগিয়া কবিতা লিখিয়া
মনেতে শান্তি পাই।
মা ছিলেন মোর জানেরও জান
আমার নয়নমণি,
স্মরণ হইলে তাহার কথাটি
দুইচোখে আসে পানি।
বহুদিন হয় দেখিনা মায়েরে
হায় হুতাসেই থাকি,
কেমন করিয়া চলিয়া গেলেন
মা আমারে দিয়া ফাঁকি।
দিবস যামিনী খুঁজিতেছি আমি
পাইনা কোথাও জননীরে,
কোনখানে গিয়া পাইবো তাহারে
বলিয়া দাওনা আমারে।
থাকিতে মা ধন করিতা আদর
কতো না যতন করিয়া,
ডাকিতেন মোরে নামটি ধরিয়া
প্রাণটি যাইতো ভরিয়া।
দশমাস দশদিন রাখিলা মা
পবিত্র পেটে ধরিয়া,
কত লাথিগোঁতা দিয়েছি মায়ের
পেটের ভিতরে নড়িয়া।
উদরে ধরিয়া লালন করিয়া
জনম দুখিনী মা,
প্রসব ব্যাথায় অস্থির তবু
দুঃখ করেন না।
জনমের পরে মলত্যাগ করে
নষ্ট করিয়াছি মায়ের কাপড়,
রাতের আরাম করিয়া হারাম
জাগিয়াছিলেন মা কতযে প্রহর।
বুকের দুগ্ধ খাওয়াইছেন
কত যে কষ্ট করিয়া,
আমার পানেতে চাহিয়া মায়ের
প্রাণটি যাইতো ভরিয়া।
মায়ের আদর স্নেহের ছোঁয়াটি
ভুলিতে পারি না ভাবী নিরবধি,
শিশুকিশোর যৌবন বার্ধ্যক্যে
সকল সময়ই আজ অবধি।
জননী আমার ছিলেন যখন
মরণ পথের যাত্রী,
তখনও মায়ে আমার কথাটি
ভাবিতেন দিবারাত্রি।
সেই না মায়েরে কেমন করিয়া
ভুলিয়া রহিব আমি,
শক্তি দে প্রভু ধৈর্য্য ধরিতে,
তুমি অন্তর্যামী।
জনম ভরিয়া দিয়া গিয়াছেন
করিয়াছেন শুধুই দান,
বিনিময়ে কিছু নিলেন না মায়ে
চাইলেন নাতো প্রতিদান।
মা ধন ছিলেন সুখের সাগরে
রঙিন নৌকার পাল,
দুখের দিনে সেই না সমুদ্রে
ধরেন নায়ের হাল।
ভুবন জুড়িয়া মায়ের সমান
স্নেহময়ী কেহ নাই,
সেই না মায়ের চরণের নিচে
চাই যে একটু ঠাঁই।
মা যে হইলেন মানিক রতন
সপ্ত রাজার ধন,
হৃদয় মাজারে রাখিয়াছি মাকে
করিয়া অনেক যতন।
বছরের পর বছর যাইবে
যুগের পরেও যাইবে যুগ,
কালের পরেও যাইবে যে কাল
দেখিব কখন মায়ের মুখ?
মাতৃস্মৃতি মনেতে পড়িলে
হৃদয়ে বাজেযে কান্নার ধ্বনি,
শুধিতে পারিলে মায়েরই ঋণ
মিঠিতো মনের কিছুটা গ্লানি।
নিজের হাতেই শুয়াইয়াছি যে
মায়েরে ঐ ছোট্ট কবরে,
সেই না কথাটি মনে হইলেই
বুকটা শুধুই ধরপর করে।
দরজা জানালা বন্ধ যে সব
নিঝুম আঁধার সেই ঘরে,
আলোও বাতাস ডুকিতে পারে না
মা যে থাকিবেন কেমন করে ?
জননীর তরে দোয়া চাহিতেছি
মহান আল্লার দরবারে,
ফাতেমা মায়ের সঙ্গী করিয়া
ত্বরাইও রোজ হাসরে।।
বিবর্ণ
______/গুলশান আরা রুবী
সবুজের বুক ছিড়ে বহে যায় রক্তের ধারা
আমারই বুকে মারিলে বিষ মাকা তীরের চোরা ।
পতঙ্গ হয়ে বিহঙ্গে উড়তে ছিলাম
নীল আকাশের গায়
এমন তীর মারলে আমায়
বুকটা ছিড়ে যায়।
মুক্ত হাওয়ার সুখ বিহনে
উড়ে বেড়ায় পক্ষি হয়ে
ঐ নীল তেপান্তরের বায়।
নীল নীলিমা ভেসে বেড়ায়
ঐ স্বপ্নের পরীরা
চৈতালি হাওয়ায় উড়ে বেড়ায়
আমারই মনের রাজ্যে শুধু গগণের গায়
জীবন করিলে ক্ষত বাঁধ ভাঙ্গা নদীর মতন।
পিচ ঢালা পথের পথিক চলেছি একা
পূর্ণিমার ঐ চাঁদের সাথে হবে না যে দেখা।
রবির আলো শশীর আলো হয়েছে একাকার
খুঁজেছি কত অমাবস্যার রাতে
এতটা পথ পারি দিয়ে নতুন কিছুর সন্ধানে মরভূমির বুকে সু-প্রভাতে
বিবর্ণ বালুচরের মধ্যে সে সুখের ঘর
দিলে না বাঁচতে স্বাধীনতা তরে
একি ছিল তোর নির্জনতার স্তর।
বিশ্ব বন্ধু
(সনেট কবিতা)
মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহিদ
গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিলে
সারা বিশ্বে চমক তুমি দেখিয়ে দিলে।
মা বাবা গ্রামবাসী ডাকতো খোকা বলে
খোকা থেকে ধীরে ধীরে করে বড় হলে।
ছোট থেকেই মনটা ছিল কতো বড়
বলতে তুমি ঘুরে ঘুরে সবাই পড়।
জানতে তুমি শিখতে তুমি স্বপ্ন নিয়ে
সবাইকে ভালোবাসতে অন্তর দিয়ে।
লেখা পড়া শিখেই হলে মহান নেতা
বাঘের মতো ক্ষমতা ছিল ন্যায়ে জেতা।
গর্জে উঠলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে একা
বাঙালি পেলো স্বাধীনতা সুখের দেখা।
তুমি বাঙালি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু
জাতিসংঘ বললো তুমি “বিশ্ব বন্ধু”।
জীবন সংগ্রামী
আবু তালহা বিন মনির
নজরুলের কবিতা থেকে ফুটন্ত,
আমি এক অকুতোভয় কবিতা সৈনিক ।
আমি সুরমার নিরব স্রোতে ভাসা,
কচুরিপানার রঙিন ফুল ।
আমি পাড়ি দিয়েছি মরুভূমির ন্যায় উত্তপ্ত মাঠ,
আমার উপর আছড়ে পড়েছে বিশাল জলাধারের ভয়ংকর ঢেউ ।
আমার উপর হানা দিয়েছে কালবৈশাখীর ঝড়,
থামাতে পারেনি আমায়!
আমি তিলে তিলে গড়ে উঠেছি,
শনি-হালির কাদা মাখা শরীর নিয়ে ।
আমি বেড়ে উঠেছি উত্তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে ।
জীবন সংগ্রামে আমি এক অসীম যোদ্ধা,
তাই আজ তুলেছি পাল,ছেড়েছি হাল,
যাব অজানা গন্তব্যে ।
ঠিকানাহীন,মাঝিবিহীন তরী চলেছে এঁকেবেঁকে ।
অসীম এক যোদ্ধা আমি নেমেছি জীবন সংগ্রামে,
যেতায় গিয়ে তীর ঘেঁষবে তরী,
তাঁবু বাধব সেই বালুর মাঠে ।
সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে,
সফলতা আনব কুড়ে।
জন্মাষ্টমী
ধীরেন্দ্র কুমার দেবনাথ শ্যামল
২৩/০৮/২০১৯
ভাদ্রপদী রোহিনী যুক্ত
কৃষ্ণাষ্টমী তিথিতে বাদলা রাতে
পূর্ণ্যতীর্থ ভারতের বক্ষে
মথুরা নগরীর কারাকক্ষে
ভগবান নামিয়ে আসেন
এ ধরাতে।
অসুর বংশ নিধন করে
শান্তির বাণী প্রতিষ্ঠাতে
জন্মনেন ভগবান পৃথিবীতে।
ধর্মের গ্লানি অধর্মের অভ্যুত্থান
তখনই জন্মনেন স্বয়ং ভগবান।
প্রতি বছর অষ্টমী তিথিতে
জন্মাষ্টমী পালিত হয় এ ধরাতে।
কবিতার নাম:-বন্ধু
কবি:-রিদওয়ান হাসান
——————————
বন্ধু জানো বন্ধু মানো
বন্ধু ভাবো তারে,
অশ্রু আবেগ হৃদয় মাঝে
রেখেছো তুমি যারে ।
সময় সুযোগ আপদ বিপদ
দুঃখ সুখের মাঝে,
আগলে রাখে বন্ধু তোমায়
আকাশ নীলের সাঁঝে।
কখনো দুঃখ কখনো আবেগ
কখনো সুখের গীতি,
দুদিন গেলেই হয়ে যাবে তা
পরম দুঃখের স্মৃতি।
তাইতো সুখের পরশ পেতে
বন্ধু সবাই চায়,
বন্ধু হিনা এই জগতে
বেঁচে থাকা দায় ।
হাওরপাড়ে জন্ম অামার
মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম
…………………………
হাওরপাড়ে জন্ম অামার
হাওরপাড়েই বাড়ি
ছোট্ট একটি গ্রাম আমার
নামটি পনারকুড়ি।
এই হাওরে নিত্য-নতুন
কত মানুষ অাসে,
নানান মানুষের ভ্রমণ ও কাজের
চিত্র চোখে ভাসে।
জন্ম নিয়ে এই এলাকায়
দেখছি কত কিছু
প্রকৃতির লীলাভূমিতে মিশে অাছে
নারী-পুরুষ ও শিশু।
অাল্লাহ তা’অালা অামার স্বপ্ন
করে দিয়েছে পূর্ণ,
হাওরপাড়ে জন্ম বলে
জীবন আমার ধন্য।
অবাক আবিষ্কার
মনিরুল সুজ্জল
…………………….
মোবাইল তুমি নিয়েছ কেরে,
মধুর ঘুমের স্বাদ।
মোবাইল তুমি বসেছ পেতে,
টাকা লুটাইবার ফাদ।
মোবাইল তুমি মায়ের বকুনি,
বাবার তিরষ্কার।
মোবাইল তুমি পকেট খালির,
অবাক আবিষ্কার।
মোবাইল তুমি ছেলে মেয়ের নষ্ট প্রেমের গ্লু,
মোবাইল তুমি গভীর সম্পর্ক ছিন্ন করার ক্লু।
মোবাইল তুমি যুবক ছেলের,
শক্ত হারের ক্ষয়।
মোবাইল তুমি আনছ ডেকে,
চরিএতে লয়।
মোবাইল তুমি নারি ভুষণ,
লজ্জা নিয়েছ কেড়ে।
মোবাই তোমার জন্যই আজ,
দর্ষন গেছে বেড়ে।
মোবাইল তুমি নিভুতে কেরেছ,
চোখের জ্যোতি।
মোবাইল তুমি উপকারি নয়,
বেশিটাই কর ক্ষতি।
মোবাইল তুমি মিথ্যা বলার,
সেরা কল কাটি।
তোমার আড়ালে যায়না চেনা,
কে ভুয়া কে খাটি।
মোবাইল তুমি সব ভেজালের,
আসল রহস্য।
তবু তোমায় ছাড়া চলেনা,
আজ গোটা বিশ্ব।।
আমার মা
___________________
হাসিনা হাসি
মাগো অামায় জন্মের অাগে
রেখেছ তোমার পেটে,
যা খেয়েছ তাই খেয়েছি
অনেক লেটে পুটে।
ওঠত যখন বিষাক্ত বিষ
কাতর হতে ব্যাথায়,
ধৈর্য ধারণ করতে তখন
সন্তান লাভের অাশায়।
দশ মাস দশ দিন পার হয়ে যখন
হলাম ভূমিষ্ঠ,
অামার মুখটা দেখে তখন
হলে সন্তুষ্ঠ।
নিজে না খেয়ে মাগো
অামাকে খাওয়াও,
তোমার শত কষ্ট গুলো
নিজের অাঁচলে লুকাও।
মা গো তুমি জনম দু:খী
তবুও দু:খ যাও ভুলে,
এখন একটু সেবা করতে মা
দাও তোমার পা দু খানি মেলে।
দরদী মা
এ,ডি দিলীপ
মা ডাক যে কত মধুর সুসন্তানে বুঝে
মায়ের মত আপন কেহ পাবেনা জগৎ খুঁজে।
দশ মাস দশদিন মা সন্তানকে রাখিল জটরে,
কত কষ্ট মা আমার সহেছিল অন্তরে।
ভূমিষ্ঠ হয়ে সন্তান এই পৃথিবীতে আসে,
দুঃখ ভুলে মা তখন আনন্দেতে হাসে।
ভুলে যায় সকল কষ্ট দেখে চাঁদ মুখ,
অমুল্য ধন পেয়ে মায়ের আনন্দে ভরে বুক।
স্নেহ ভরে সন্তানকে মা কোলে নেয় তুলে,
সন্তানের মুখে হাসি ফোঁটায় সব যাতনা ভুলে।
কত কষ্ট করে সহ্য মা সন্তানের লাগিয়া,
সন্তানের যত্ন করে মা কত রাত জাগিয়া।
সন্তানের সুখে হয় সুখি নিজের ভাবনা না ভাবে, এমন দরদি মায়ের আদর পৃথিবীর কোথাও নাহি পাবে।
ভুল করিয়া কেহ দুঃখ দিওনা মায়ের মনে
দুঃখ বিনে সুখ পাবেনা খুঁজে ত্রি ভূবনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:২৯:৫০ ৭৪৬ বার পঠিত