সোমবার, ৫ আগস্ট ২০১৯
ওষুধে মোটাতাজা গরু চেনার যেসব উপায়
Home Page » প্রথমপাতা » ওষুধে মোটাতাজা গরু চেনার যেসব উপায়বঙ্গ-নিউজঃ ঈদ-উল আযহা পালিত হবে ১২ আগস্ট। ইতোমধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসেছে গবাদিপশুর হাট। এসব হাটে প্রতিদিন আসছে শতশত গরু। অনেকেই যাচ্ছেন এসব গরুর হাটে। দেখছেন আর ভাবছেন এই গরু কৃত্রিম মোটাতাজা প্রক্রিয়ায় গড়া কি না?
এই ভাবনাটা আসা স্বাভাবিক। কেননা কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ ধরনের কৃত্রিম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করে থাকে। তাদের উদ্দেশ্য মানুষকে ধোকা দিয়ে অর্থ উপার্জন। এই প্রক্রিয়ার গরু দেখতে কিন্তু বেশ আকর্ষণীয়। আর এখানে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হয়।
জানা গেছে, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, ইনজেকশন ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে এসব পশুকে মোটাতাজা করা হয়। যা পুরোপুরি স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরুর মাংস খেলে মানুষের শরীরে পানি জমে যাওয়া, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, মূত্রনালি ও যকৃতের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এসব পশু কেনা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
এ নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে- কিভাবে এসব গরু চেনা সম্ভব? তবে এসব গরুর কিছু লক্ষণ রয়েছে যা থেকে সহজে বোঝা যায় যে এটি ইনজেকশন দিয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে।
ইনজেকশন দেয়া পশু চেনার উপায় :
দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস
কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস চলতে থাকে খুব দ্রুত। এসব গরু একটু হাঁটলেই হাঁপিয়ে উঠে। ইনজেকশন দেয়া গরুর রানের মাংস নরম হয়। স্বাভাবিকভাবে যেসব গরু মোটা হয় সেগুলোর রানের মাংস শক্ত হয়।
গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিন
কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরুর গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে ওই স্থানের মাংস স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে মোটা গবাদিপশুর ক্ষেত্রে দ্রুতই মাংস স্বাভাবিক হয়।
মুখের লালা বা ফেনা
যেসব গরুর মুখে কম লালা বা ফেনা থাকে সেই গরু কেনার চেষ্টা করুন। কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মোটা করা গরুর মুখে সবসময় বেশি পরিমাণ লাল বা ফেনা থাকবে।
শান্ত প্রকৃতির
স্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ানো বা ইনজেকশন দেয়া গরু হবে খুব শান্ত থাকে। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারবে না। পশুর ঊরুতে মাংসের পরিমাণ বেশি মনে হবে।
শরীরে পানি জমে
অতিরিক্ত হরমোনের কারণে পুরো শরীরে পানি জমে মোটা দেখাবে। আঙুল দিয়ে গরুর শরীরে চাপ দিলে সেখানে দেবে গিয়ে গর্ত হয়ে থাকবে।
সামনে খাবার ধরুন
গরুর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি নিজ থেকে জিব দিয়ে খাবার টেনে নিয়ে খেতে থাকে তবে বোঝা যাবে গরুটি সুস্থ আছে। আর যদি অসুস্থ হয়, তবে সে খাবার খেতে চাইবে না।
নাকের ওপরটা ভেজা
সুস্থ গরুর নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে। সুস্থ গরুর পিঠের কুঁজ মোটা ও টান টান হয়।
পা ও মুখ ফোলা
বিশেষ করে গরুর পা ও মুখ ফোলা, শরীর থলথল করবে, অধিকাংশ সময় গরু ঝিমাবে, সহজে নড়াচড়া করবে না- এসব গরু কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে বুঝে নিবেন। অসুস্থতার কারণে সব সময় নিরব থাকে।
তাই উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখে গরু কিনুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:১১:৩৭ ১১০০ বার পঠিত #ঈদ-উল আজহা #কোরবানী #গরু #গরুর হাট #পশুর হাট