মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯

দেশি খামারের দুধ নিয়ে যা বলা হলো হাইকোর্টে

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » দেশি খামারের দুধ নিয়ে যা বলা হলো হাইকোর্টে
মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯



 ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজঃ আমরা শুধুই তরল দুধ নিয়ে ব্যস্ত আছি। গুড়ো দুধে কি আছে তা দেখা দরকার। আমরা চাই না, দেশীয় দুধ বন্ধ হওয়ার কারণে বিদেশী গুড়ো দুধে বাজার সয়লাব হয়ে যাক। দেশীয় খামারীদের দুধ বন্ধ হোক, এটা আমরা চাই না। আমাদের চাওয়া, দেশীয় খামারীদের দুধের উৎপাদনের বিস্তার আরো বাড়–ক। তবে সেটা হতে হবে নিরাপদ ও মান সম্পন্ন। আন্তর্জাতিক মানদ- অনুসরণ করতে হবে। কোনোভাবেই তা যেন জনস্বাস্থের জন্য অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ না হয়।
প্যাকেটজাত দুধের বিষয়ে শুনানিতে গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালকুদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ এসব কথা বলেন। এসময় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফরিদুল ইসলাম বলেন, গুড়ো দুধ পরীক্ষার নির্দেশ দিতে পারেন আদালত। আদালত বলেন, এটা দেখার দায়িত্ব আপনাদের ও বিএসটিআই’র। আদালতের কেন আদেশ দিতে হবে? আইনে আপনাদেরইতো ক্ষমতা দেয়া আছে। আপনারা কেন সেটা পরীক্ষা করছেন না? জবাবে এ আইনজীবী বলেন, আমরা পরীক্ষা করতে গেলে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যবসায়ীরাই প্রশ্ন তুলবে যে কেন আমরা তা পরীক্ষা করছি। আদালত আদেশ দিলে সেই প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকবে না।
এরপর বিএসটিআই’র আইনজীবী ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান বলেন, দুধে যে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে তার অধিকাংশই সহনীয় মাত্রায়। আর সীসা পাওয়া গেছে সহনীয় মাত্রার চেয়ে সামান্য কিছু উপরে। তাই এই দুধ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কিনা তা পরীক্ষা করে মাতমত জানতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করা যেতে পারে। তিনি বলেন, বিদেশে প্রতিবছর ২/৩ বার দুধ পরীক্ষা করা হয়। এটা দেখার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি আছে। আমাদের দেশেও এরকম একটি কমিটি করার জন্য আদালতের আদেশ চাচ্ছি।
আর রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, দুধ নিয়ে গবেষণা করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুককে হুমকি দিয়েছে কোম্পানিগুলো। তারা লিগ্যাল নোটিশও দিয়েছে বলে আদালতের নজরে আনেন তিনি। পরে আদালত আগামী ২০ অক্টোবর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
গত ১৬ জুলাই পশু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গবাদি পশুকে কোন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন অনুযায়ী ক্ষতিকারক উপাদান থাকা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতকে জানাতে বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়। সম্পাদনা : ইকবাল খান

বাংলাদেশ সময়: ১৮:১১:২৯   ৮৮১ বার পঠিত   #  #  #  #