রবিবার, ৭ জুলাই ২০১৯

ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ায় আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি: সাঈদ খোকন

Home Page » জাতীয় » ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ায় আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি: সাঈদ খোকন
রবিবার, ৭ জুলাই ২০১৯



ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজঃ মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো কারণ বা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ ও জনসচেতনতার সমন্বয়ের মাধ্যমে এসব দুই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

রবিবার সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা মহানগরীর মশক নিধন সংক্রান্ত এক সভায় তিনি এসব বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ডিএনসিসি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, মশক নিধনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সেমিনার, ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে মসজিদে খুতবা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এছাড়া টিভি, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, ডিজিটাল প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জনমনে সচেতনতা বাড়াতে এরইমধ্যে প্রতিটি এলাকা থেকে মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের সাতজন করে নাগরিক নিয়ে ২৮ জনের ‘কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে কোনো সমস্যা হলে তা সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ছে।

সাঈদ খোকন বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে অন্যান্য এলাকার তুলনায় মশার উপদ্রব বা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু আমাদের যেসব নতুন ইউনিয়নগুলো যুক্ত হয়েছে কিংবা ধানমন্ডি, মানিকনগর ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বেশ কিছু ঝোপঝাড় রয়েছে, সেখানে গাছপালা রয়েছে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ব্যাপক এলাকাতে ডেঙ্গু বা মশার উপদ্রব তেমনভাবে নেই, আমি আমার জনগণকে আশ্বস্ত করে বলছি।’

তিনি বলেন, ‘যতটুকু বেড়েছে তা সবাই মিলে দ্রুততম সময়ে…. স্বাভাবিক পরিস্থিতি এখনো আছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতির বাইরে আমরা যেতে দেব না। সবশেষে যে কথাটি বলব- আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।’

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘ভয় ধরে গেলে মারাত্মক বিষয় হয়ে যায়। একটা মশায় কামড় দিলে ডেঙ্গু হয়ে যাবে, কমপ্লিকেটেড (জটিল) হয়ে যেতে পারে। বিষয়টা একেবারেই সেই রকম নয়। আমরা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ৯৮ থেকে ৯৯ শতাংশ ডেঙ্গু হচ্ছে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু, ৭ থেকে ১০ দিনের জ্বরে এটা সেরে যায়। এটাতে কেমন কোনো ক্ষতির কারণ থাকে না। আমার এই চার বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছুই নেই।’

কতজন আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২১শ’ রোগী ছিল। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছেন এক হাজার ৮৭৫ জন। তিনশ’ জন এখনও চিকিৎসাধীন। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত দুইজন রোগী মারা গেছেন। ১৭ কোটি মানুষের দেশ। এখন বলুন, এটা আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থা কিনা। এটা আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৮:৪০   ৬১৬ বার পঠিত   #  #  #  #