সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষী নীতির কারনে মিয়ানমারে ত্রাণ সহোযোগিতা বন্ধের হুুমকি

Home Page » জাতীয় » রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষী নীতির কারনে মিয়ানমারে ত্রাণ সহোযোগিতা বন্ধের হুুমকি
সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯



ফাইল ছবি    বঙ্গ-নিউজ: মিয়ানমারে ত্রাণ সহোযোগিতা বন্ধের হুমকি দিয়েছে জাতিসংঘ। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চলমান বিদ্বেষী নীতির কারণে এ ধরণের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে সংস্থাটি। রাখাইন সংকটের পরিপেক্ষিতে দীর্ঘদিন পর এবারই প্রথম দেশটির বিরুদ্ধে কোন কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে আন্তজার্তিক এ সংস্থাটি। এ খবর দিয়েছে আন্তজার্তিক সংবাদ সংস্থা দ্য গার্ডিয়ান।

সংবাদ সংস্থাটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী কেনাট ওস্টবি নেইপিদোকে চিঠি দিয়ে এ ধরণের তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা এখনও রাখাইনের শরণার্থী শিবিরে (ইন্টারন্যালি ডিসপ্লেসড পারসনস-আইডিপি ক্যাম্প) আটকে রাখা হয়েছে। তাদের মৌলিক মানবাধিকার ও চলাফেরার স্বাধীনতা নিশ্চিত না হলে ত্রাণ সহায়তা বন্ধ করে দেয়া হবে। মিয়ানমার অবশ্য চিঠিটিকে হুমকি হিসেবে মানতে নারাজ। তাদের দাবি, ওই চিঠিতে সহায়তার বার্তা দেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তাচৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

হত্যা-ধর্ষণসহ বর্বর নির্যাতন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। জাতিগত নিধনের ভয়াবহ বাস্তবতায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বড় অংশটি বাংলাদেশে পালিয়ে এলেও জাতিসংঘের হিসাবে চার লাখেরও বেশি মানুষ এখনও সেখানে থেকে গেছে।

২০১২ সালে রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জন্য স্থাপন করা হয় আইডিপি ক্যাম্প। তখন থেকেই এই ক্যাম্পে সহায়তা দিয়ে আসছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘ ২০১৮ সালে এক প্রতিবেদনে জানায়, অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির শিকার হওয়া এসব মানুষ সেখানকার শিবিরে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। সংস্থাটির ত্রাণবিষয়ক উপপ্রধান উরসুলা মুলার সে সময় দাবি করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি মনোযোগী হলেও রাখাইনে থেকে যাওয়া ওই চার লাখ রোহিঙ্গা আলোচনার বাইরে রয়েছে।

গত ৬ জুন মিয়ানমার সরকারকে লেখা চিঠিতে দেশটিতে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি বলেছেন, এখন থেকে চলাফেরার স্বাধীনতাসহ মৌলিক ইস্যুতে বাস্তব উন্নতি হলেই কেবল জাতিসংঘ ও তাদের দাতাগোষ্ঠীর সহায়তা দেয়া হবে।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে জাতিসংঘ-বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় প্রত্যাবাসন চুক্তি হয়েছে। তবে মুখে প্রত্যাবাসনের কথা বললেও মিয়ানমার শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৪:১২   ৫৮৫ বার পঠিত   #  #  #