শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০১৩
চলে গেলেন বিপুল ভট্টাচার্য
Home Page » প্রথমপাতা » চলে গেলেন বিপুল ভট্টাচার্যস্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে তার সহ-শিল্পী ফকির আলমগীর জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর শংকরে আহমদ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই শিল্পী।, “গত সাড়ে ৩ বছর একা একা ফুসফুসের ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে আজ পৃথিবীকে বিদায় জানালো বিপুল।”
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মাত্র ১৬ বছর বয়সে গানে গানে বাংলার মুক্তিকামী মানুষের মনে প্রেরণা যুগিয়েছেন বিপুল ভট্টাচার্য। তিনি মুক্তিসংগ্রামী শিল্পী সংস্থারও সদস্য ছিলেন।
চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘মুক্তির গান’ নামে যে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন, তার ১১টি গানের মধ্যে ১০টিই বিপুল ভট্টাচার্যের গাওয়া।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ছায়ানটের শিক্ষক বিপুল ভট্টাচার্যের মরদেহ সকালে হাসপাতাল থেকে ছায়ানটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তার মোহাম্মদপুরের বাসায়।
রাতে মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রেখে শনিবার সকাল ১১টায় সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মরদেহ রাখা হবে বলে জানান সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি গোলাম কুদ্দুস।
এরপর পোস্তগোলা শ্মশানঘাটে এই শিল্পীর শেষকৃত্য হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান বাংলাদেশ লোক সংগীত পরিষদের নেতা ইন্দ্র মোহন রাজবংশী।
২০১০ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে বিপুলের ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। তখন টাকার অভাবে চিকিত্সা করাতে না পেরে দেশে ফিরে আসেন এই শিল্পী। এরপর ডেল্টা হাসপাতালে তাকে কেমো থেরাপি দেয়া হয়।
গত মাসে দিনি কিছুদিন রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও পরে তাকে আহমদ মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।
বিপুল ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৫৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলায়। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক বিপুল জীবিকা নির্বাহ করতেন গান গেয়ে ও শিখিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৩:০২ ৩৭৭ বার পঠিত