রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৯

শা’বান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যে একটি পূণ্যময় রাত শবে বরাত

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » শা’বান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যে একটি পূণ্যময় রাত শবে বরাত
রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৯



 ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজঃ শবে বরাত (আরবি: ليلة البراءة‎, প্রতিবর্ণী. লাইলাতুল বারআত‎) বা মধ্য-শা’বান (আরবি: نصف شعبان‎, প্রতিবর্ণী. Niṣf Sha‘bān‎) হচ্ছে হিজরী শা’বান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যে পালিত একটি পূণ্যময় রাত। এই রাতকে লাইলাতুল বরাত বলা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের অনেক মুসলমান ইবাদাতের মাধ্যমে এই রাত পালন করেন। তবে মুসলিমদের কোনো কোনো দল এই রাতে বিশেষ কোনো ইবাদাতের নির্দেশ নেই বলে মনে করেন।

কুরআন ও হাদিসে উল্লেখঃ

এই বিশেষ রাতের ব্যাপারে কুরআনে সরাসরি কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। অবশ্য কেউ কেউ সূরা আদ-দুখান এর ৩ নং আয়াতে উল্লেখিত বরকতময় রাতকে শবে বরাত হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। অন্যরা বরকতময় রাত দ্বারা শবে কদরকে বুঝানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। সিহাহ সিত্তাহ বা বিশুদ্ধ ছয়টি হাদিসগ্রন্থের কোনো কোনো হাদিসে এই রাতের বিশেষত্ব নির্দেশক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য হাদিস গ্রন্থেও এই রাতের বিশেষত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়। হাদিসগুলোর সনদ বিভিন্ন মানের এবং এবিষয়ে মতভেদ বিদ্যমান। হাদিস শাস্ত্রে ‘শবে বরাত’ বলতে যে পরিভাষাটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা হলো “লাইলাতুন নিসফি মিন শা’বান” তথা “শা’বান মাসের মধ্য রজনী”। একটি হাদীসে বলা হয়েছে,

আয়িশা (রাঃ) বলেন, এক রাতে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে (বিছানায়) না পেয়ে তাঁর খোঁজে বের হলাম। আমি লক্ষ্য করলাম, তিনি জান্নাতুল বাকিতে, তাঁর মাথা আকাশের দিকে তুলে আছেন। তিনি বলেন, হে আয়িশা! তুমি কি আশঙ্কা করেছো যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার প্রতি অবিচার করবেন? আয়িশা (রাঃ) বলেন, তা নয়, বরং আমি ভাবলাম যে, আপনি হয়তো আপনার কোন স্ত্রীর কাছে গেছেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে অবতরণ করেন এবং কালব গোত্রের মেষপালের পশমের চাইতেও অধিক সংখ্যক লোকের গুনাহ মাফ করেন।

আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে,

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন।

তথ্য সূত্র উইকিপিডিয়া

বাংলাদেশ সময়: ৬:৫২:০৪   ৬৫৩ বার পঠিত