শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯
আম্র-পালী আমের নামকরণের ইতিহাস -৪: জালাল উদদীন মাহমুদ
Home Page » বিনোদন » আম্র-পালী আমের নামকরণের ইতিহাস -৪: জালাল উদদীন মাহমুদআম্রপালী বাস করতেন বৈশালী শহরে । বৈশালী ছিল প্রাচীন ভারতের একটি শহর। এটি বর্তমানে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের বিহার রাজ্যের অন্তর্গত একটি প্রত্নক্ষেত্র । গৌতম বুদ্ধ একাধিকবার বৈশালীতে এসেছিলেন। তাঁর সমসাময়িক কালে বৈশালী ছিল একটি সমৃদ্ধ ও বর্ধিষ্ণু শহর। চীনা পর্যটক ফাহিয়েন (খ্রিস্টীয় ৪র্থ শতাব্দী) ও হিউয়েন সাংয়ের ভ্রমণবিবরণীতে বৈশালী শহরের কথা উল্লিখিত হয়েছে।
বৈশালীতে তৎকালীন প্রচলিত নিয়মানুসারে সর্বাঙ্গসুন্দরী রমণী বিবাহ করতে পারতেন না তিনি হতেন গণভোগ্যা। অতএব সর্বাঙ্গসুন্দরী রমণীরুপে স্বীকৃতা আম্রপালীকেও এই প্রচলিত নিয়ম শৃঙ্খলে আবদ্ধা হতে হবে। সমাজপতিরা বিধান দেয়, আম্রপালী কোনওদিন বিয়ে করতে পারবেন না | কারণ এত রূপ যৌবন নিয়ে তিনি কোনও একমাত্র পুরুষের ভোগ্যা হতে পারেন না |
সেদিনের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হল, আম্রপালী হবেন বৈশালীর নগরবধূ ( অনেকে বলেন নগরবধূর ইংরেজী courtesan. courtesan মানে a woman, usually with a high social position, who in the past had sexual relationships with rich or important men in exchange for money. | অর্থাত্ বহু পুরুষের ভোগ্যা | ) বৌদ্ধ ও জৈন গ্রন্থে তাঁকে জনপদকল্যাণী বলেও উল্লেখ করা হয়েছে | কেবল উচ্চবংশের পুরুষই পেতে পারবেন তাঁর সঙ্গসুখ | জনপদকল্যাণী নিজেই নিজের সঙ্গী নির্বাচন করতে পারবেন | কিন্তু বিয়ে কোনওদিনও নয় | তাঁকে লক্ষ্য করে সে আমলে বৈশালীতে নতুন আইন তৈরি হয়ে গেল, অনিন্দ্য সুন্দরী নারী কখনও পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হতে পারবেন না। জনসাধরণের আনন্দের জন্য তাঁকে উৎসর্গ করা হবে।
এইসব সিদ্ধান্ত সেদিনের সভায় গৃহীত হলে আম্রপালীর পিতা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও বিচলিত হয়ে পড়লেন,কিন্ত সভায় গৃহীত এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো রকম প্রতিবাদ করতেও সাহসী হলেন না। স্নেহময় পিতার মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে আম্রপালী তখন কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে সভায় এই সিদ্ধান্ত স্বেচ্ছায় শিরোধার্য করে নিলেন। আম্রপালীর উক্ত শর্তগুলি ভীষণ অশ্লীল মনে হবে। সে গুলি জানাব কিনা বুঝতে পারছি না। (ক্রমশঃ)।
বাংলাদেশ সময়: ১০:০৪:১০ ৮৪৭ বার পঠিত #bangla news #bangladeshi News #bd news #bongo-news(বঙ্গ-নিউজ) #জাতীয় #শিরোনাম