সোমবার, ১৮ মার্চ ২০১৯

মধ্যনগরে জলসায় সেঁচে চলছে মাছ ধরার মহোৎসব

Home Page » জাতীয় » মধ্যনগরে জলসায় সেঁচে চলছে মাছ ধরার মহোৎসব
সোমবার, ১৮ মার্চ ২০১৯



জলসায় সেঁচে চলছে মাছ ধরার মহোৎসব

আল-আমিন আহমেদ সালমান, স্টাপ রিপোর্টার বঙ্গ-নিউজ:- সুনামমঞ্জের মধ্যনগর  থানার  হাওর পারের ক্ষুদ্র  জলশায়গুলোর পানি  শুকিয়ে চলছে ইজারাদারদের মাছ ধরার মহোৎসব ।
ইজারাদাররা পাম্প-মেশিন দিয়ে হাওর পারের ক্ষুদ্র জলশায় গুলো শুকিয়ে  ধরছে মাছ। ইজারাদারগন এলাকার প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়ায় এলাকার সাধারন মানুষ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনএবং ইজারাদারগন রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়ায় স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর দেখেও না দেখার ভান করে থাকে।জলশায়ের  তলা শুকিয়ে চলছে ইজারাদারদের মাছ ধরার মহোৎসব যার ফলে  আমাদের কাছ থেকে দেশীয় প্রজাতির চির চেনা মাছগুলো শিং, মাগুর, কৈ, টেংরা, পুঁটি, শোল, টাকি, বাইল্যা, মিনি, বেদা, রানী, বাইম,কাইলা,কৈলা,পাবদা,ঘইন্যা,তারা বাইম,মকা, ইছা, তিতনা  ইত্যাদি মাছ গুলো হারিয়ে যাচ্ছে।

এভাবে মাছ ধরলে হাওর এলাকার মাছ ও জলজ উদ্ভীদের বংশ বিস্তার কমে যাবার আশংকা করছে হাওর অঞ্চলের সাধারন মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে,পোনানিধন ও প্রজনন ধ্বংসের মুল চক্রটি ইজারাদারের কাছ থেকে সেঁচের জন্য জলসায় গুলো খরিদ করে। জলসায় সেঁচের খরিদার মধ্যনগর চামরদানী ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামের প্রসন্ন তালুকদারের ছেলে পরিতোষ তালুকদার (৪০)এর নিকট নিষিদ্ধ বিল সেঁচের কথা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের  জানায় আমাদের বিগারগাতি বিল প্রতি বছরের মতো এবছর প্রসাশান ও স্থানীয় সাংবাদিকদের মেনেজ করে জলসায় সেঁচে মাছ ধরছি।

হাওর গবেষক সজল কান্তি সরকার জানান, হাওরের জলশায় গুলো সেঁচার কারনে হাওরের পরিবেশের ওপর মারাত্নক প্রভাব পড়ছে। মাছ ও জলজ উদ্ভীদের বংশ বিস্তারের ব্যাঘাত ঘটছে। তাই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হাওরের পরিবেশ গুলো রক্ষা করা।
এবং হাওর কবি জীবন কৃষ্ণ সরকার  জানান, “দুঃখ জনক হলেও সত্য যে এসব ইজারাদাররা কোন না কোন ভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর আশ্রয়,প্রশ্রয়ে এই কাজগুলো করে থাকে।যার চড়া মূল্য দিতে হয় আমাদের সসমগ্র হাওরবাসীকে।এর থেকে পরিত্রাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুদৃষ্টি কামনা করছি।”
এই বিষয়ে ধর্মপাশা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত সিদ্দিকী সাংবাদিকদের মুঠোফোনে  কথা জানান, বিগারগাতি বিল সেঁচে মাছ ধরা বন্ধ করার জন্য আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করব।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০২:৫৬   ৯৯২ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #