শনিবার, ৯ মার্চ ২০১৯

ওবায়দুল কাদের এখন কথা বলতে পারছেন: ডা. রিজভী

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ওবায়দুল কাদের এখন কথা বলতে পারছেন: ডা. রিজভী
শনিবার, ৯ মার্চ ২০১৯



ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কথা বলতে পারছেন। তার শরীর থেকে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার নলসহ সব ধরনের যন্ত্র খুলে ফেলা হয়েছে। এরপর তিনি চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

সিঙ্গাপুরে কাদেরের সঙ্গে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সেতুমন্ত্রীর শরীরের সব একস্ট্রার্নাল ডিভাইস খুলে নেওয়া হয়েছে। তার লাস্ট যে এন্ডোটাকিয়াটা ছিল, সেটাও খুলে নেওয়া হয়েছে। এখন উনি সব ডিভাইসমুক্ত। উনি আজকে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। সেকেন্ডলি উনার হার্ট ১০০ ভাগ স্টেবল আছে, উনার প্রেসার ঠিকঠাকমতো মেনটেইন হচ্ছে। রক্তে ইনফেকশন আগে থেকে কনট্রোলে চলে এসেছে। কিডনির অবস্থাও অনেক উন্নতি হয়েছে। এই মূহুর্তে তার সামান্য শারীরিক দুর্বলতা আছে। এই দুর্বলতা দুয়েকদিনের মধ্যে ওভারকাম করলে উনাকে আমরা কেবিনে নিয়ে যেতে পারব।

বর্তমানে ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। কাদেরের চিকিৎসায় গঠিত পাঁচ সদস্যের চিকিৎসক দলের সিনিয়র সদস্য ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি তার চিকিৎসার সর্বশেষ অগ্রগতি জানিয়ে শনিবার সকালে ব্রিফ করেছেন। এরপর তার বরাত দিয়ে ডা. আবু নাসার রিজভী এসব তথ্য জানান।

ডা. সেবাস্টিনের ব্রিফের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের, ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জা, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও ডা. আবু নাসার রিজভী।

গত ৩ মার্চ ভোরে হঠাৎ করে ওবায়দুল কাদেরের শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিলে তাকে বিএসএমএমইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। দ্রুত এনজিওগ্রাম করার পর তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে একটি ব্লকে রিং পরানো হয়। এরপর তার শারীরিক অবস্থার আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও করণীয় ঠিক করতে দুপুরেই ভারত থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী প্রসাদ শেঠিকে ঢাকায় উড়িয়ে আনা হয়। ডা. দেবী শেঠির পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩১:০৫   ৫৯৬ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #