বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০১৩
মীর কাসেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৮ জুলাই
Home Page » জাতীয় » মীর কাসেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৮ জুলাইবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় আটক জামায়াতের নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ১৮ জুলাই দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৭ জুন দিন ধার্য করেছিলেন। একই সঙ্গে ওই দিনের মধ্যে আসামিপক্ষকে ডকুমেন্ট দাখিলের নিদের্শ দেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডাভোকেট মিজানুল ইসলাম অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আট সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেন।
এ সময় প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম আসামিপক্ষের আবেদনের বিরোধিতা করে এক সপ্তাহের সময় দেয়ার পক্ষে মত দেন।
পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তিন সপ্তাহের সময় মঞ্জুর করে।
এর আগে গত ১৬ মে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমসহ প্রসিকিউশন টিম ১৪টি অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর দাখিল করেন।
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আনা ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১১ ও ১২ নাম্বার অভিযোগ ছাড়া বাকি সব অভিযোগই অপহরণ করে নির্যাতনের বর্ণনা রয়েছে।
১১ নাম্বার অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তর সালের ২৮ নভেম্বর শহীদ জসিমসহ ছয়জনকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
১২ নাম্বার অভিযোগে বলা হয়, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ তিনজনকে অপহরণ করে নির্যাতন করা হয়। এরপর সেখান থেকে দুইজনকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হয়।
এ ছাড়া বাকি সবগুলো অভিযোগই আটক করে নির্যাতনের বর্ণনা রয়েছে।
এর আগে গত ৬ মে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি অভিযোগে তদন্ত চূড়ান্ত করে তদন্ত সংস্থা প্রসিকিউশনের জমা দেয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে ওই দিন বিকেলে মতিঝিলে দৈনিক নয়া দিগন্ত কার্যালয়ের (দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশন) থেকে তাকে গ্রেফতার করে বিকেল সোয়া চারটার দিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেম আলীকে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এরপর ১৯ জুন মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে মীর কাসেমের জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়।
একই সঙ্গে ৫ জুলাই তার বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।
গত ৮ জুলাই প্রসিকিউশনের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মীর কাসেম আলীকে সেভ হোমে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় ট্রাইব্যুনাল। এরপর পর্যায়ক্রমে তাকে সেভ হোমে নিয়ে দুই বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে মীর কাসেম আলীকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫৩:০১ ৪০৩ বার পঠিত